কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। কখনও তা শরীরের (Banana Flower Health Benefits) কাজে লাগে। কখনও বা চুলের উপকার করে। বাঙালি বাড়িতে কলার মোচা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পদ রান্না করা হয়। বিশেষ করে বাঙালি মেয়েরা মা, দিদিমা, ঠাকুমার কাছে এর উপকারের কথা শোনেন। ফলে বাঙালি বাড়িতে কলার মোচা নিয়ে চর্চা হতেই থাকে। যাঁরা ইতিমধ্যেই কলার মোচা খাওয়ার অভ্যেস করে ফেলেছেন, তাঁরা কলার মোচার উপকারিতা বা কলার মোচার পুষ্টিগুণ (Benefits Of Banana Flower) সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। আর যাঁদের কলার মোচা খাওয়ার অভ্যেস নেই, তাঁরা আজ থেকেই এই সুঅভ্যেস করতে পারেন।
কলার মোচার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্য়ে কী কী থাকে, একবার দেখে নেওয়া যাক। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, ক্যালসিয়ান, ফসফরাস, আয়রন, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই দ্বারা সমৃদ্ধ কলার মোচা।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। শরীরের ক্ষেত্রে এক কথায় প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে কলার মোচা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্ষেত্রে এর উপকার সর্বাধিক।
কলার মোচার পুষ্টিগুণ অপরিসীম। এর মধ্যে থাকা উপাদান জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। কলার ফুলও খুব উপকারি। ম্যালেরিয়ার ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে মোচার উপকারিতা হল, দেহে যে কোনও রকম পরজীবি ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাতে দেয় না। ফলে শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকে।
শরীরে free radical এর উপস্থিতি বিভিন্ন রকম রোগের কারণ হতে পারে। কলার ফুলের নির্যাস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। কলার মোচার উপকারিতা অনেক। বয়স হলে ত্বকে বলিরেখা পরার হাত থেকে রক্ষা করে। এমনকি প্রাথমিক ভাবে ক্যানসারকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে মোচা।
ঋতুস্রাব চলাকালীন বেশি পরিমাণে রক্তপাতের সমস্যায় ভোগেন বহু মহিলা। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি ঋতুকালীন ব্যথাও কাবু করে ফেলে অনেককে। এই সব কিছউর সহজ সমাধান হতে পারে মোচা। কলার মোচার পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতিদিন অন্তত এক কাপ করে রান্না করা মোচা খেতে পারেন। এর সঙ্গে দই বা ইয়োগার্ট মিশিয়ে খেলে আরও ভাল উপকার পাবেন। কলার মোচার গুনাগুন অনেক। আসলে মোচা দেহে প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়। যার ফলে ঋতুকালীন সময়ে রক্তপাত কিছুটা কম হয়।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। আসলে ডায়াবেটিস এখন প্রায় ঘর ঘর কি কহানি। আবার বহু মহিলা অ্যানিমিয়াতেও ভোগেন। আর এই দুই ক্ষেত্রেই কলার মোচার উপকারিতা অপরিসীম। রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এর জুরি মেলা ভার। আবার দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় মোচা। যার ফলে অ্যানিমিয়া সেরে যায়। যদিও ক্লিনিকালি এক প্রমাণ চাইলে দেওয়া মুশকিল। কিন্তু ক্লিনিক্যালি এর প্রমাণ চাইলে সত্য়িই দেওয়া মুশকিল। তবে বাড়িতে মা, ঠাকুমাদের মুখে নিশ্চয়ই শুনেছেন, মোচা খেলে শরীরে রক্ত হবে। তাই আর দেরি না করে, আজ থেকেই এই ঘরোয়া টোটকা চালু করে দিন।
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার বহু গুনাগুনের মধ্যে একটি হল, এটি প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিনের উৎস বা খনি বলা যেতে পারে। ভিটামিন এ, সি এবং ই ভরপুর থাকে কলার মোচাকে। আর অবশ্যই ফাইবারের জোগান ভরপুর থাকে কলার মোচাতে। ফলে শরীরের জন্য এই খাবার কতটা উপকারী, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়ম করে রাখুন কলার মোচা। বহু সমস্যায় চিকিৎসকেরাও ওষুধের পাশাপাশি ডায়েট হিসেবে মোচার উল্লেখ করেন। তাই এটা যদি আপনার ফেভারিট ডিশ হয়, তাহলে তো কোনও কথাই নেই। ফেভারিট না হলেও এবার কলার মোচাকে ফেভারিট করে তুলুন।
কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। আপনি হয়তো ভাবছেন, ডায়াবেটিস বা অ্য়ানিমিয়ার মতো সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে মোচা। শুধুমাত্র তা নয়। যদি আপনার মুড সুইংয়ের সমস্যা থাকে অথবা ছোট-বড় সব বিষয় নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, তাহলে আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন কলার মোচা। কারণ এটি মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে। উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টি ডিপ্রেশনের জন্য আলাদা করে কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কলার মোচা খেলে তা প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করবে।
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। চুলের জন্য কলার মোচা কী কী ভাবে, কাজে লাগে তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। কলার মোচা শুধুমাত্র শরীরের উপকারে লাগে তা নয়। চুলের যত্ন নিতেও এর জুরি মেলা ভার। খুশকির সমস্যায় অনেকেই নাজেহাল হয়ে পড়েন। মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যায়। তা থেকে চুলকানি হয়। ফাংগাল ইনফেকশনও কখনও কখনও বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সব থেকে মুক্তি পেতে কলার মোচা গিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। খুশকির মতো বিভিন্ন ইনফেকশনও এতে দূর করা সম্ভব হবে।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে
কলার মোচার উপকারিতা বা মোচার উপকারিতা, যাই বলুন না কেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। এর মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেক বেশি তা আগেই আলোচনা করা হয়েছে। ঠিক এই উপাদান আপনার চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। অনেকেই হয়তো ভাল চুলের অধিকারী। অর্থাৎ চুলের স্বাস্থ্য ভাল। কিন্তু তার বৃদ্ধির গতি শ্লথ। সেক্ষেত্রে কলার মোচা দিয়ে তৈরি প্যাক ব্যবহার করুন। চুল গোড়া থেকে মজবুত হবে। কম পড়বে। স্বাভাবিক ভাবেই চুলের বৃদ্ধি হবে দ্রুত।
কলার মোচার পুষ্টিগুণ বা কলার মোচার গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করতেই এই প্রতিবেদন। আর সেখানে চুলের কথা তো আলাদা করে বলতেই হবে। অনেকের চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কোনও রকম ফ্যাশনেই তাঁদের দেখতে ভাল লাগে না। চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে কলার মোচার তৈরি হেয়ার মাস্ক ম্যাজিকের মতো কাজ করে। কারণ এর মধ্যে অনেকটা পরিমাণে সিলিকার উপাদান থাকে। যা চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। বিভিন্ন হেয়ার কন্ডিশনরের মধ্যে এই সিলিকার উপাদান থাকে। যাতে চুলের ভলিউম বেশি মনে হয়, চুল সফট হয়। কলার মোচা প্রাকৃতিক উপায়েই এই সব উপকার করে। তাই দেরি না করে আজই ব্যবহার করুন।
কলার মোচার পুষ্টিগুণের মধ্যে অন্যতম হল, এর সাহায্যে তৈরি বিভিন্ন রকমের হেয়ার মাস্ক যা চুলের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে কলার মোচা এবং ডিম দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক। আপনার চুলের লেন্থ অনুযায়ী কলার মোচার ফুল নিয়ে নিন। সঙ্গে একটা ডিম। একটি পাত্রে এই দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলে লাগিয়ে নিন এই হেয়ার মাস্ক। কমপক্ষে ১৫ মিনিট রাখার পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। ঘরেই তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন কলার মোচা দিয়ে তৈরি এই হেয়ার মাস্ক।
কলার মোচা এবং মধু এই দুটিই প্রাকৃতিক ভাবে ওষুধের কাজ করে। এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে নিন। সঙ্গে কলার মোচার ফুল। দুটি উপাদান কতটা পরিমাণে নেবেন, তা নির্ভর করবে আপনার চুল কতটা লম্বা তার উপর। একটি পাত্রে এই দুই উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগাতে হবে। মাথার তালুতে অ্যাপ্লাই করুন। কারণ চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছন জরুরি। মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলুন। ধুয়ে ফেলার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করলে চুল মোলায়েম হবে।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সাবে
কলার মোচার উপকারিতা (Banana Flower Benefits) নিয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তর এবার দেখে নেওয়া যাক –
বাঙালি রান্নাতে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার হয় কলার মোচা। কখনও তরকারিতে, কখনও বা ভেজে আবার কখনও স্যুপ করে খাওয়ার চল রয়েছে। কলার মোচার পুষ্টিগুণের তালিকা লম্বা। কখনও তা ত্বকের উপকারে লাগে, কখনও বা চুলের উপকারে কাজে লাগে। তাই অভ্যেস না থাকলেও আড থেকেই কলার মোচা ডায়েটে রাখা অভ্যেস করুন। চাইলে বিভিন্ন রকমের হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
কলার মোচার উপকারিতার তালিকার মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবে কিডনির উপকারিতা। কিডনি ড্যামেজ হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে আজ থেকেই কলার মোচা খাওয়া অভ্যেস করুন।
কলার মোচার গুনাগুন প্রচুর। আসলে এটি যে কোনও খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন।
Image Source: Pexels, Pixabay