গণপতি বাপ্পা মোরিয়া! আর কিছুদিন পরেই ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হবে গণেশ চতুর্থী। আপনারা সবাই জানেন যে এই পুজো সবচেয়ে বেশি বর্ণাঢ্য আকারে অনুষ্ঠিত হয় মুম্বাই এবং সমগ্র মহারাষ্ট্রে। তবে দুর্গা পুজো যেমন এখন আর বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সেটা সরিয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে। গণেশ পুজোতেও এখন আর পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের অন্যান্য জেলা এবং শহর। প্রতি বছর গণেশ পুজোর আগে প্রমাদ গোনেন পরিবেশবিদরা। কারণ বিশাল আকারের গণেশ মূর্তি তৈরি হয় প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে। এই পিওপি বা প্লাস্টার প্যারিস যখন নদী বা সমুদ্রের জলে গিয়ে মেশে সেটা জলকে দূষিত করে। শুধু যে জল দূষিত হয়, তা কিন্তু নয়। এই পদার্থ ভীষণভাবে প্রভাবিত করে জলজ প্রাণীদেরও। বিশেষ করে মাছেরা এই বিষাক্ত পদার্থ একদম সহ্য করতে পারে না। আর এইসব কথা চিন্তা করেই, বেঙ্গালুরুবাসীরা নিলেন এক অভিনব উদ্যোগ। ২,১৩৮জন বেঙ্গালুরুবাসী (bangalorians) জমায়েত হলেন ন্যাশনাল কলেজ গ্রাউন্ডে। এঁদের ছিল একটাই লক্ষ্য নিজের গণেশ মূর্তি নিজে তৈরি করা। আর শুধু তাই নয়, সেই মূর্তি হবে বায়োডিগ্রেডেবল (environment)। অর্থাৎ সেটা জলের সঙ্গে খুব সহজে মিশে যাবে এবং জল বা জলজ কোনও গাছপালা ও প্রাণীকে কোনওভাবে প্রভাবিত করবে না। অভিনব উদ্যোগ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর এই উদ্যোগই বেঙ্গালুরুবাসীদের সরাসরি পৌঁছে দিল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড (world ) রেকর্ডের (record) খাতায়। তৈরি হল বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ইতিহাস।
#GaneshChaturthi | The city of Bengaluru has come up with a solution to celebrate an eco-friendly Ganesh Chaturthi – and set a world record in the process.
Read: https://t.co/fHiq4Q3mbN
📸: IANS pic.twitter.com/foLcKUYfd7
— The Weather Channel India (@weatherindia) August 27, 2019
এই যে এত জন মানুষ একসঙ্গে এক জায়গায় জড়ো হয়ে ক্লে বা মাটির গণেশ গড়লেন, সেই দৃশ্য সত্যিই বিরল। কারণ, এরকম আগে দেখা যায়নি। ক্লে বা মাটি হল সবচেয়ে সুরক্ষিত বায়োডিগ্রেডেবল পদার্থ। অর্থাৎ এতগুলো গণেশ জলে বিসর্জন দিলেও পরিবেশের কোনও ক্ষতি হবে না। আমরা প্রতিদিনই খবরের কাগজে নদী ও সমুদ্র দূষণের খবর পাই। সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডের বরফ অতি দ্রুতহারে গলে যাওয়ার খবর এবং আমাজনের জঙ্গলে দাবানলের খবরও আমরা পেয়েছি। এতে যে পরিমাণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে সেটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর এরকম পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরুবাসীদের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা করার মতো। ব্যাস্ত শহর এই বেঙ্গালুরু। সবাই নিজের কর্মজগত নিয়েই এখানে বেশি চিন্তিত থাকেন। তার মধ্যেও যে সময় বের করে তাঁরা এগিয়ে এসেছেন সেটা খুবই ভাল ব্যাপার। দেখা গেছে যে শুধু বড়রা নয়, সমান তালে এই বিষয়ে উৎসাহ পেয়েছেন বাবা মার সঙ্গে আসা খুদেরাও। ছোটবেলা থেকে যদি পরিবেশ নিয়ে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয় তাহলে খুব ভাল। সবচেয়ে বেশি আনন্দের ব্যাপার ছিল এই উদ্যোগে বয়স্ক মানুষদের উৎসাহ দেখে। সার বেঁধে তাঁরাও নিজের হাতে তৈরি করেলেন মাটির গণেশ। ভারতের সিলিকন ভ্যালির বাসিন্দাদের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য অনেক অভিনন্দন।
Featured Image: Twitter
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!