যে কর্পূর পুজোয় ব্যবহার করা হয়, তারই এক জাত ভাইকে কাজে লাগিয়ে তৈরি এই এসেনশিয়াল অয়েল (beauty benefits of champhor essential oil), গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতে, ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াতে, আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে এবং রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটাতে যেমন নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে, তেমনই ত্বকের যত্নেও কাজে আসে। বলেন কী, কর্পূর তেলকে কাজে লাগিয়ে ত্বকের পরিচর্যাও করা যায়? আলবাত করা যায়! কারণ, এই এসেনশিয়াল অয়েলে মজুত রয়েছে নানা রকমের স্টিমুলেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান, যা ছোট-বড় নানা ত্বকের সংক্রমণকে দূরে রাখে, সেই সঙ্গে একজিমা এবং ফাটা গোড়ালির যত্নেও কাজে আসে। এমনকী, চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও কর্পূর তেলের জুড়ি মেলা ভার। তবে এখানেই শেষ নয়, এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আরও নানা ভাবে ত্বকের উপকারে লেগে থাকে। চলুন এবার জেনে নাওয়া যাক সে সম্পর্কে।
ত্বকের লাবন্য ধরে রাখতে
এক গ্রাম পলিসরবেট ২০-এর সঙ্গে তিন ফোঁটা কর্পূর তেল, তিন ফোঁটা অরেঞ্জ এসেনশিয়াল অয়েল, ২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল এবং কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণটি (beauty benefits of champhor essential oil) থেকে কয়েক ফোঁটা নিয়ে তুলোর সাহায্যে সারা মুখে লাগিয়ে মিনিটদশেক অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এইভাবে ত্বকের যত্ন নিলে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে শুরু করবে, যে করণে সৌন্দর্য তো বাড়বেই, সঙ্গে ত্বকের তেলতেলে ভাবও কমে যাবে।
অ্যাকনে ও দাগ-ছোপ কমাতে
সারা মুখ কি ব্রণয় ভরে গেছে? তাহলে ত্বকের যত্নে কর্পূর তেলকে কাজে লাগাচ্ছেন কেন! এতে রয়েছে উপকারী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ব্রণর প্রকোপ তো কমাই, সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দাগ-ছোপও মিলিয়ে যায়। ফলে নিমেষেই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এত সব উপকার পেতে পাঁচ ফোঁটা কর্পূর তেল নিয়ে তার সঙ্গে চার ফোঁটা লেমন এসেনশিয়াল অয়েল, তিন ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল এবং কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণটি রাতে শুতে যাওয়ার আগে অল্প করে সারা মুখে লাগিয়ে মিনিটদুয়েক মালিশ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে নিন। টানা কয়েকদিন এই মিশ্রণটিকে কাজে লাগালেই উপকার মিলতে শুরু করেছে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে
বর্ষার সময় অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই শরীরের কোনও অংশ চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে কর্পূর এসেনশিয়াল তেলকে কাজে লাগালে অল্প সময়েই উপকার পাওয়া যায়। যেখানে চুলকাচ্ছে, সেখানে কয়েক ফোঁটা কর্পূর তেল লাগিয়ে (beauty benefits of champhor essential oil) মিনিটদুয়েক মালিশ করলেই দেখবেন নিমেষে চুলকানি কমে যাবে।
চুলের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে কর্পূর তেল
ছোট্ট কাঁচের শিশিতে তিন ফোঁটা করে কর্পূর তেল, ল্যাভেন্ডার তেল এবং ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণটি থেকে কয়েক ফোঁটা হাতে নিতে সারা চুলে লাগিয়ে মিনিটপাঁচেক ভাল করে মাসাজ করুন। তাতে চুলের গোড়া এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে যে চুল পড়ার হার কমবে। সেই সঙ্গে নতুন চুলও গজাবে। ফলে অসময়ে ময়দান খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য়, নিয়মিত এই মিশ্রণটিকে কাজে লাগালে চুলে জট পড়ার সমস্যাও দূরে পলাবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!