ইতিহাস বলছে হাজার-হাজার বছর আগে থেকে মানুষ তাঁদের প্রতিদিনের ডায়েটে আখরোটকে স্থান দিয়েছেন। এর জন্ম হল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং মধ্য এশিয়ায়। সেখান থেকে অবশ্য বণিকদের হাত ধরে এই বাদাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। আজ আমাদের প্রতিবেদন সেই আখরোট নিয়েই। চুল ও ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে আখরোট (beauty benefits of walnut), আসুন জেনে নেওয়া যাক।
যে পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন আর খনিজ আখরোটে আছে, তা কিন্তু বেশিরভাগ বাদামেই নেই। তাই ত্বকের যত্নে অন্যান্য বাদামের চেয়ে আখরোট অনেক বেশি কাজ দেয়।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে আখরোট ও ওটমিলের ফেসপ্যাক লাগান (ছবি – শাটারস্টক)
এর জন্য আপনাকে সামান্য একটু পরিশ্রম করতে হবে। আখরোট পেস্ট করে তার মধ্যে ওটমিল পেস্ট করে দিন, আর তার সঙ্গে মেশান এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ তাজা ক্রিম আর চার ড্রপ অলিভ অয়েল। আপনার বাড়িতে তৈরি ওয়ালনাট প্যাক রেডি। সপ্তাহে একবার করে টানা তিন থেকে চার মাস ব্যবহার করলে দেখবেন ত্বক সোনার মতো ঝলমল করছে (beauty benefits of walnut)।
যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন। খেতে না চাইলে আখরোটের তেল হাল্কা গরম করে রোজ রাত্রে শোয়ার আগে ত্বকে লাগান। আখরোট আপনার ত্বক ভিতর থেকে আর্দ্র রাখবে। ত্বকে কোনও সমস্যাও হতে দেবে না।
সপ্তাহখানেক আখরোটের তেল লাগালেই ডার্ক সার্কেল উধাও হবে (ছবি – শাটারস্টক)
চোখের নীচে অতিরিক্ত স্ট্রেস, কাজের চাপ বা অন্যান্য কারণে দেখা দেয় ডার্ক সার্কল। আখরোট (beauty benefits of walnut) কিন্তু পারে ডার্ক সার্কল কম করতে। রাত্রে শোয়ার আগে চোখের নীচে অল্প করে উষ্ণ আখরোটের তেল লাগান। টানা কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এই তেল শুধু ডার্ক সার্কল নয় চোখের ফোলাভাবও দূর করে।
আখরোটে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি আমাদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মুড সুইং ঠিক করতে সাহায্য করে। স্ট্রেস কমলে ত্বকে এমনিতেই লাবণ্য আসবে। ভিটামিন বি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট একযোগে কাজ করে ত্বকের উপর এবং স্ট্রেস কমিয়ে বলিরেখা পড়া রোধ করে।
আজকের দিনে আমরা প্রত্যেকেই চুল নিয়ে সমস্যায় ভুগি। দূষণ আমাদের চুল একদম নষ্ট করে দিচ্ছে। চুল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তার ঔজ্জ্বল্য। এরকম অবস্থায় আপনার উচিত রোজকার ডায়েটে আখরোট যোগ করা।
আখরোট একটি প্রাকৃতিক এজেন্ট যা খুসকি রোধ করতে সক্ষম। এই তেল স্ক্যাল্প ও চুলে আর্দ্রতা যোগায় (beauty benefits of walnut)। ফলে শুষ্ক কোষ জন্মাতে পারে না। আর এই কারণেই খুসকিও হয়না।
আখরোট কিন্তু চুল লম্বা করতেও সাহায্য করে (ছবি – শাটারস্টক)
আখরোটে আছে পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব উপাদান হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করে। চুল হয়ে ওঠে লম্বা, উজ্জ্বল, মজবুত। এর জন্য আপনাকে সপ্তাহে দুইবার আখরোটের তেল দিয়ে মাসাজ করতে হবে।
নিয়ম করে মাথায় আখরোটের তেল মাসাজ (beauty benefits of walnut) করলে আপনার স্ক্যাল্প ভাল থাকবে। এই তেল আপনার স্ক্যাল্পকে আর্দ্র রাখে। আখরোটে যে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান আছে তা স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ ঘটায় না। এছাড়া এটি আপনার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখে। আর স্ক্যাল্প যদি যত্নে থাকে তাহলে চুলও ভাল থাকবে। এছাড়া এই তেল চুলের রং ধরে রাখে। যারা চুলে রং করেন তাঁরা যদি এই তেল ব্যবহার করেন তাহলে তাঁদের হাইলাইট আরও সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!