কফি খেতে খুবই ভালবাসে অনিন্দিতা। সেই কলেজ লাইফ থেকেই ওর কফির নেশা। ওই একটাই নেশা ওর! আর কোনও নেশা নেই। অনিন্দিতার কফি-অ্য়াডিকশন দেখে ওর মা মাঝে মাঝেই বকুনি দেন। বলেন, এত কফি খাওয়া ভাল নয়। কিন্তু ও সবে কান দেয় না অনিন্দিতা। কফি (Drinking Coffee) খাওয়া শুরু করার পরেও কেটে গিয়েছে অনেক বছর। এখন ও নামকরা মিডিয়া হাউসে কাজ করে। এত দিন পরেও ও বুঝে উঠতে পারে না, কফির খারাপটা কোথায়! আসলে ওর সকালটা শুরুই হয় কফি (Coffee) মগে চুমুক দিয়ে। তার পর সারা দিন তো চলতেই থাকে। অফিসে থাকলে তো কফির কাপে চুমুকের সঙ্গে সঙ্গে কি-বোর্ডেও ঝড় ওঠে। বাড়ি ফিরেও সন্ধের জলখাবারের সঙ্গে কফি চলতেই থাকে। আর রাতেও খাওয়ার পরে ওর একটু কফি চাই-ই চাই। আর রাত জেগে কিছু পড়লে বা কাজ করলে তো কথাই নেই! তখনও কফি (Coffee) কিন্তু চলতেই থাকে!
আসলে অনেকেরই কফি প্রচণ্ড প্রিয়। আর হবে না-ই বা কেন? কফির গন্ধটাতেই তো আলাদা একটা মাদকতা আছে। শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডায় গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কফি কার না ভাল লাগে! সারাদিন টুকটাক কফি (Coffee) তো চলতেই থাকে। তার সঙ্গে শীতের সন্ধেয় বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে এক কাপ গরম গরম কফি পেলে কেমন হয়! আর গরমের দিনে না হয় কোল্ড কফিই চলল। ধরুন, কোথাও বেরিয়েছেন। রোদে হাঁসফাঁস দশা। তার মধ্যেই গলা ভিজিয়ে নিতে পারেন কোল্ড কফিতে। বা গরমের দুপুরে বাড়িতেই বানিয়ে খেতে পারেন কোল্ড কফি। ক্লান্তি দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেশও লাগবে। এ তো নয় গেল কফি খাওয়ার (Drinking Coffee) কথা। কিন্তু জানেন কি, আপনার চুল আর স্কিনের যত্নে কফির উপকারিতা? চুলকে ন্যাচারালি কালার করা থেকে শুরু করে চুলকে নরম-মসৃণ করতেও কফির জুড়ি মেলা ভার। আর কফির মাস্ক (Coffee Mask) তো স্কিনের জন্য দারুণ। তবে অনেকেই বলেন, অত্যধিক কফি খাওয়া ভাল নয়, এতে শরীরে ক্ষতি হয় (Coffee Side Effects)। সেটা কিছুটা হলেও সত্যি! কারণ অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। তাই অত্যধিক কফি পানেরও (Drinking Coffee) কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Coffee Side Effects) রয়েছে। তা হলে জেনে নিন, কফির উপকারিতা আর সাইড এফেক্টস (Benefits And Side Effects Of Coffee)।
কফির গুঁড়ো অথবা কফি পাউডার খুব ভাল এক্সফোলিয়্যান্ট (Exfoliant) হিসেবে কাজ করে। আসলে কফি গুঁড়ো জলে গুলে যায় না। তাই স্ক্রাবিংয়ের মাধ্যমে ডেড স্কিন সেলস দূর করতে সাহায্য করে এটা। শুধু তা-ই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফির (Coffee) মধ্যে থাকা উপাদান স্কিনের জন্য দারুণ। কফির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস। যা কোলাজেন লেভেল বাড়িয়ে দেয়, এবং সময়ের আগেই বুড়িয়ে যাওয়া থেকে স্কিনকে রক্ষা করে। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইক অ্যাসিডে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা জীবাণু থেকে স্কিনকে রক্ষা করে। আর একটা সহজ এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব কী ভাবে বানাবেন, সেটা জেনে নিন। এর জন্য লাগবে- ১/৪ ভাগ কফির গুঁড়ো আর সম পরিমাণ ব্রাউন সুগার। পরিমাণমতো লেবুর রস। এ বার সব ক’টা উপাদান মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। স্কিনে ওই মিশ্রণ লাগিয়ে স্ক্রাব করে নিন। কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
আধ কাপ কফির (Coffee) সঙ্গে আধ কাপ কোকো পাউডার মিশিয়ে নিন। তাতে ১ কাপ দুধ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও মধু নিন। মধু এখানে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। আর লেবুর রস ও দুধ আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি (Coffee Scrub) লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে আসলে ইষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ব্যবহার করুন এই মাস্ক।
কফির মধ্যে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস (Antioxidant)। আর এটাই আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি (UV Rays) থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও সূর্যালোক থেকে স্কিনকেও বাঁচায় কফি। কফি পান করা থেকে শুরু করে কফি (Coffee) স্কিনে লাগানো- সব কিছুতেই আপনার স্কিনকে সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
ব্রণ-র সমস্যায় ভুগছেন? তা হলেও কফি (Coffee) আপনাকে দারুণ সাহায্য করবে। কফির মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, স্টিমুল্যান্টস আর ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ব্রণ বা অ্যাকনের ট্রিটমেন্টে (Acne Treatment) দারুণ।
সকাল বেলা ১ কাপ কফি (Coffee) কেবল মস্তিষ্ক নয়, চোখ দু’টোকেও জাগাতে সাহায্য করে। পান করার পর কফির দানাগুলো ফেলে না দিয়ে ঠান্ডা করে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
খুব সহজলভ্য কিছু উপাদান দিয়ে এই মাস্ক তৈরি করা যায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কিন হবে শাইনি আর গ্লোয়িং। এই মাস্ক বানাতে যা যা প্রয়োজন – ২ চা-চামচ কফি পাউডার, ২ চা চামচ কোকো পাউডার, ৩ চা চামচ ফুলক্রিম দুধ/টকদই, ১ চা চামচ মধু। সবকিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালো ভাবে মিক্স করে মুখ আর গলায় হাতের সাহায্যে ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন (Skin Glowing Mask)। আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, স্কিন কত সফট, শাইনি আর ন্যাচারালি গ্লোয়িং হয়ে গিয়েছে।
ত্বকের (Skin) মৃত কোষ দূর করতে, রোদে পোড়া ভাব কমাতে আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কফি দিয়ে তৈরি ফুল বডি স্ক্রাবের জুড়ি নেই। এই স্ক্রাব বানাতে যা যা লাগবে – আধ কাপ কফি (Coffee) পাউডার, আধ কাপ চিনি, দেড় চা-চামচ দারুচিনির গুঁড়ো, ১/৪ কাপ এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল। সবকিছু একটি নন মেটালিক পাত্রে নিয়ে ভালো ভাবে মিক্স করে নিন। স্নানে সময় পুরো শরীরে মেখে ১০ মিনিট রেখে তার পর ধীরে ধীরে স্ক্রাব করুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কফি পায়ের যত্নে খুবই কার্যকর। পা পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে পায়ের চামড়া নরম-মসৃণ করতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। ফুট বাথ (Foot Bath) নিলে তো পা ভাল থাকে। একটা বড় কফি মগে কফি (Coffee) বানিয়ে নিন। কফি তৈরিতে ব্যবহৃত কফি গুঁড়ো আর বানানো কফি একটা গামলা বা বালতিতে নিয়ে নিন। কফিটা একটু ঠান্ডা করে নিন। ওই গামলা বা বালতিতে ইষদুষ্ণ কফির মধ্যে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। আর কফির গুঁড়ো দিয়ে আপনার পা-টাকে স্ক্রাব করতে থাকুন। যা আপনার পায়ের ডেড স্কিন সেলস (Dead Skin Cells) বার করে দেবে।
শীতকালে তো পা ফাটে। তা ছাড়া গরমেও অনেকেরই এই সমস্যাটা থাকে। পায়ের পাতা রুক্ষ হয়ে যায়। এর জন্য কফির তৈরি ফুট স্ক্রাব (Foot Scrub) ব্যবহার করুন। কেননা কফির মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস রয়েছে, যা রুক্ষতা কমিয়ে আনে। ১ কাপ নারকেল তেল, আধ কাপ কফি গুঁড়ো (Coffee) এবং ২ চা-চামচ ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর পর ইষদুষ্ণ গরম জলে শ্যাম্পু মিশিয়ে পা পরিষ্কার করার পর মিশ্রণটি মাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? তা হলে আপনার চুলের (hair) যত্নে কফি (Coffee) দারুণ। জলে কফি ফুটিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটাকে ঠান্ডা করে নিন। স্নানের পরে ওই কফির জলটা চুলে ঢেলে নিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল শুকোনোর পরে দেখবেন, চুলটা (Shiny Hair) শাইন করছে।
চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তুলতে কফির (Coffee) পেস্ট লাগাতে পারেন। এই পেস্ট তৈরি করতে দরকার হবে কফিগুঁড়ো এবং পরিমাণ মতো জল। এ বার চুলে শ্যাম্পু করার পর কফি পেস্ট চুলে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। চুলকে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এটি চুলের রঙে গভীরতা নিয়ে আসবে। এ ছাড়া চুলে কন্ডিশনারের সঙ্গে ১ বা ২ চামচ কফিগুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়াও হেনা পাউডারের মধ্যে কফি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগালে চুলে একটা ন্যাচারাল ব্রাউন কালার (Natural Hair Color) আসবে।
কফির (Coffee) আসল গুণ এটাই। মানুষ কফি পান করে ক্লান্তি দূর করতে। আসলে কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিন স্টিমুল্যান্ট ড্রাগ।
কফি (Coffee) ওয়ার্ক আউটের সময় আপনার এনার্জি শুধু বাড়ায়ই না, তার সঙ্গে ওয়ার্ক আউটের পরেও আপনার খেয়াল রাখে। আসলে ওয়ার্ক আউটের পরে যে ব্যথা হয়, সেটাই কমাতে সাহায্য করে কফি (Coffee)। ব্যথা কমাতে দিনে অন্তত ২ বার কফি খান।
সাধারণত প্রবীণরা এই রোগে আক্রান্ত হন। ডিমেনশিয়ার প্রধান কারণ অ্যালঝাইমার্সই। এই রোগের কারণে মেমোরি স্কিলস, থিঙ্কিং স্কিলস হারিয়ে যেতে থাকে। তবে দুঃখের বিষয়, এর সে ভাবে কোন সমাধান নেই। তবে কিছু কিছু রাস্তা আছে। তার মধ্যে অন্যতম কফি পান (Drinking Coffee)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কফি পান করেন, তাঁদের অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ কমে যায়।
আপনি কি কোনও কিছুর জন্য মাঝেমধ্যেই ডিপ্রেশনে (Depression) ভোগেন? তা হলে কফি (Coffee) আপনার জন্য দারুণ। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিনই ডিপ্রেশনের সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশনের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
অ্যালকোহল লিভারের নানা অসুখের জন্য দায়ী। কিন্তু কফির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। কফি খেলে (Drinking Coffee) লিভার সুস্থ থাকবে।
কফি (Coffee) হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে কফির দারুণ গুণ। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। কফি যেন বেশি খাবেন। অল্প পরিমাণ কফি পান (Drinking Coffee) আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
মাইগ্রেনের ব্যথা অথবা মাথা ব্যথা কমাতেও কফি (Coffee) দারুণ কার্যকর। মাথা যন্ত্রণা করলে কফি পান (Drinking Coffee) করুন।
ডায়াবিটিসের জন্য ব্ল্যাক কফি দারুণ ওষুধ। ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা তো কমায়ই, তার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবিটিস আক্রান্তরা ব্ল্যাক কফি খেলে (Drinking Coffee) ভাল উপকার পাবেন।
আগেই বলেছি, কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিন আপনার এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়। আর ঘুমের সময় কফি খেলে কিন্তু ইনসমনিয়ায় ভুগতে পারেন। ঘুম ঠিক ভাবে আসবে না। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আর বেশি পরিমাণে কফি খেলে (Drinking Coffee) বদহজম হতে পারে।
অতিরিক্ত কফি (Coffee) পানে কোলস্টেরল বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে।
কফির পরিমাণ বেশি হলে কিডনিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। এতে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।
কনসিভ করার পর কিন্তু কফি পানে (Coffee) লাগাম টানতে হবে। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি পানে আপনার মিসক্যারেজের (Miscarriage) ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
আপনার হাইপারটেনশন অথবা হাই ব্লাড প্রেসার (Hypertension) থাকতে পারে। যদিও সেগুলোর কোনও উপসর্গ আপনি দেখতে পাবেন না। কারণ কফি (Coffee) পান ছোট থেকে বড়- সকলের মধ্যেই হাইপারটেনশনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্ন: কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
উত্তর: ক্যাফিন মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে দেয়। আর তার সঙ্গে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। যখন আপনি এটায় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন এই প্রক্রিয়া কিন্তু কাজ করবে না। তাই বুঝতেই পারছেন, এটা খুব বেশি সময়ের জন্য নয়। তবে হ্যাঁ, কফি পানের (Drinking Coffee) ফলে আপনার খিদে কমতে শুরু করবে। তাতে আপনি কম খাবেন। ফলে ওজন কমার একটা সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্ন: প্রতিদিন কফি খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?
উত্তর: কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। অন্যান্য খাবার আর নিউট্রিয়েন্টস অতিরিক্ত হয়ে গেলে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ঠিক তেমনই অত্যধিক কফি পানও (Drinking Coffee) স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। কারণ এতে আপনার ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্টে সমস্যা তৈরি করে। তাই অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকুন।
প্রশ্ন: কফি কি দাঁতের ক্ষয় করে?
উত্তর: কফি সেই সব জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে, যা আপনার দাঁতের রোগের জন্য দায়ী। কিন্তু কফিতে (Coffee) প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড রয়েছে। যা আপনার দাঁতের এনামেলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই কফির মতো যে সব পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড রয়েছে, সেগুলো এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ছবি সৌজন্যে: পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!