গত কয়েক বছরে কিটো ডায়েটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মাসে নাকি “কিটোজেনিক ডায়েট চার্ট” সম্পর্কে জানতে গুগলে প্রায় ১০ লক্ষ বার সার্চ করা হয়, তাহলে বুঝতেই পারছেন চটজলদি ওজন কমাতে সবারই প্রথম পছন্দ কিটো ডায়েট (benefits and side effects of keto diet)
আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে আসলে এই কিটো ডায়েট কি? কিটোজেনিক ডায়েট প্ল্যানটি মেনে চললে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে বেশি করে খেতে হবে প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার। আর তা থেকেই শরীরের এনার্জির ঘাটতি মিটবে। মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তাও সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই।
তবে, কিটো ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করার আগে কখন, কী ধরনের কিটো ডায়েট খাবার খাওয়া উচিত, সে সম্পর্কে ডায়েটিশিয়ানের থেকে জেনে নেওয়াটা জরুরি। না হলে কিন্তু শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী বেশ কিছু স্কিন ডিজিজ যেমন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, তেমনি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে
কিটোজেনিক ডায়েট মেনে খাবার খেলে Neurons-এর ক্ষমতা বাড়ে। সঙ্গে মস্তিষ্কের ভিতরে এমন কিছু এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে চোখে পড়ার মতো । এমনকী অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। বৃদ্ধি পায় স্মৃতিশক্তিও।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
এই বিশেষ ডায়েট প্ল্যানটি মেনে খাবার খেলে একদিকে যেমন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমন ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে । সেই সঙ্গে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও কমে চোখে পড়ার মতো। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। চিকিৎসকেদের মতে বেসি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এক্ষেত্রে যেহেতু একেবারেই ‘কার্ব রিচ’ খাবার খাওয়া হয় না, তাই ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া কারণে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
শরীরের ভিতরে প্রদাহের মাত্রা কমে
বেশ কিছু স্টাডির পর একথা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে কিটো ডায়েট প্ল্যান মেনে কিটো ডায়েট খাবার খেলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমে। ফলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে না, তেমনি ছোট-বড় নানা রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই এই বিষয়ে দ্বিমত নেই যে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে কিটো ডায়েটের চার্টে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রকোপ কমায়
বিশেষজ্ঞদের মতে কিটোজেনেটিক ডায়েট মেনে খাবার খেলে শরীরে ইনসুলিন লেভেল ঠিক থাকে, যে কারণে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তবে এই ব্যাপারে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
কিটো ডায়েটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ঠিক ঠিক নিয়ম অনুযায়ী কিটো ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ না করলে কিটো ডায়েট এর সাইড ইফেক্ট বা একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত, মাথা যন্ত্রণা, ক্লান্তি, খিদে বেড়ে যাওয়া, ঘুম কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং শরীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরনো, মাসল ক্র্যাম্প, নানা ধরনের পেটের রোগ এবং কিডনিতে স্টোন হওয়ার মতো রোগও লেজুড় হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কখনও যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে সঙ্গে সঙ্গে কিটো ডায়েট বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!