ছোলার ডাল মোটামুটি আমরা সকলেই খাই, বাঙালি বাড়িতে নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল হোক অথবা ডালপুরি – রসনা তৃপ্তির জন্য ছোলার ডালের ব্যবহার হয়েই থাকে। শুধু কি তাই, ছোলার ডাল (Cholar Dal) বেটে ধোকার ডালনা, ডালের বড়া, ছোলার ডাল থেকে তৈরি ছাতু, ছোলার ডাল, সবকিছুই আমাদের খাদ্যাভ্যাসের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে আজ কোনও রান্নাবান্নার কথা বলব না, বরং ছোলার ডালের নানা উপকারিতা (Benefits Of Chana Dal) নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।
ছোলার ডাল প্রোটিনে ভরপুর। এছাড়াও ছোলার ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ ও সি। কাজেই বুঝতেই পারছেন যে, ছোলার ডাল (Chana Good For Health) কতটা স্বাস্থ্যকর। চলুন, দেখে নেওয়া যাক, ছোলার ডাল (Chana Dal) আমাদের স্বাস্থ্যে কতটা উপকার করে।
ওজন কমানো যে কতটা ঝক্কির কাজ, তা যে না মুখোমুখি হয়েছে সে ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না। কখন যে কোত্থেকে ওজন বেড়ে যাবে, আপনি ধরতে পারবেন না। আর ওতিরিক্ত ওজনের আরও সমস্যা হল, এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন বা ক্র্যাশ ডায়েট করেন, এতে ওজন তো কমেই না, বরং বেড়ে যায়। আপনিও যদি এই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন তাহলে ছোলার ডাল খাওয়া শুরু করুন। চাইলে আপনি কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করেও খেতে পারেন। ছোলার ডালে (Cholar Dal) যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, কাজেই সামান্য খেলেই পেট ভরে যায় এবং সিস্টেম পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ফলে ব্লোটিং বা পেট ফাঁপার সমস্যাও হয় না। আর যেহেতু অল্প খেলে বেশ অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে কাজেই সারাক্ষণ খিদে পায় না এবং ওজন বাড়ারও আশঙ্কা থাকে না।
ছোলার ডালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপারটিসের সঙ্গে আরও নানা উপাদান বা কম্পাউন্ড রয়েছে যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ব্লাড ভেসেল বা ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্তচলাচল যাতে সঠিকভাবে হয় সেদিকেও নজর দেয় এই ডাল। এছাড়া স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে ছোলার ডাল। এখানেই শেষ নয়, আরও আছে! ছোলার ডালে (Cholar Dal) রয়েছে ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়াম। ফোলেট ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটা কম হয়।
আমাদের শরীরে দু’ ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, একটি ভাল এবং অন্যটি খারাপ। ছোলার ডাল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যেহেতু আগেই বলা হয়েছে যে ছোলার ডালে (Chana Dal) ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। কাজেই, কোনও টক্সিন শরীরে জমা হতে দেয় না। বিষেশজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আধ কাপ করে সেদ্ধ ছোলা বা কাঁচা ছোলা বা ছোলার ডাল (Benefits Of Chana Dal) খাওয়া যায় তা হলে নাকি কোলেস্টেরলের মাত্রা এমনিতেই অনেকটা কমে যায়।
ছোলার ডাল (Chana Dal) কিন্তু মধুমেহ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। ছোলার ডাল যে-কোনও ধরনের কার্বোহাইড্রেট হজম করায় ধীরে-ধীরে, ফলে চোখের খিদে হয় না। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন যদি আধ কাপ করে ছোলা সেদ্ধ বা ভেজানো কাঁচা ছোলা খাওয়া যায় তা হলে এক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের বাড়তি ইনসুলিনের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছোলার ডাল (Chana Dal) আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের এবং বাড়ন্ত বাচ্চাদের নিয়মিত অন্যান্য আহারের সঙ্গে ছোলার ডালও খাওয়া উচিত। এতে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুসেও কোনও ময়লা জমতে পারে না, ফলে সারাদিন এগিয়ে চলার মতো যথেষ্ট এনার্জি পাওয়া যায়।
যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের শরীরে যারা আমিষ খান, তাঁদের তুলনায় খানিকটা হলেও প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই যায়। তবে ছোলার ডালে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন (Protein In Chana) রয়েছে, ফলে নিরামিষ খেলে ডায়েটে ছোলার ডাল, ছাতু, কাঁচা বা সেদ্ধ ছোলা ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন অন্যান্য খাবারের সঙ্গে।
আগেই বলেছি যে, ছোলার ডালে (Chana Dal Benefits) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে প্রতিদিন পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ছোলার ডাল। এছাড়াও কাঁচা ছোলাও হজমে সাহায্য করে। আমাশয়-এর মতো সমস্যা হলে দু’ মুঠো কাঁচা ছোলা ভাল করে ধুয়ে ৫০০ মিলি জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরদিন ঘুম থেকে উঠে ছোলা ভেজানো জল পান করুন। আবার অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওই একইভাবে ছোলা ভেজানো জল পান করতে পারেন। তবে তার সঙ্গে সামান্য জিঞ্জার পাউডার ও গোটা জিরে মিশিয়ে।
আমরা অনেকেই সারাদিনের এনার্জি বজায় রাখার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ট্যাবলেট খাই। তবে আপনি কি জানেন যে, রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি ওষুধ না খেয়ে আপনি প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেতে পারেন? ছোলার ডাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এ সমৃদ্ধ এবং নিয়মিত ছোলা বা ছোলার ডাল (Cholar Dal) খেলে শরীরে কখনওই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর ঘাটতি হয় না।
আজ্ঞে হ্যাঁ, শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখতেই নয়, সৌন্দর্য বজায় রাখতেও কিন্তু ছোলার ডালের ভূমিকা কম নয়। চুলে পুষ্টি জোগাতে ছোলার ডাল সাহায্য করে। সুন্দর, মোলায়েম এবং জেল্লাদার চুলের স্বপ্ন তো আমরা সবাই-ই দেখি। তবে তার জন্য পার্লারে গিয়ে দামি-দামি ট্রিটমেন্ট করানোর বদলে আপনি বাড়িতেই নানাভাবে চুলের যত্ন নিতে পারেন আর তা-ও আবার ছোলার ডালের সাহায্যে।
চার চা চামচ ছোলার ছাতু এক কাপ জলে গুলে ভাল করে মাথার তালুতে মালিশ করুন। প্রয়োজনে অর্ধেক লেবুর রসও দিতে পারেন। মিনিটদুয়েক মালিশ করে ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার করে কিছুদিন করলে দেখবেন খুশকি দূর হয়ে যাবে।
ছোলার ডালে ভিটামিন বি ৬ এবং জিঙ্ক রয়েছে এবং এই দু’টি উপাদানই চুল গজাতে খুব ভাল কাজ করে। নিয়ম করে কাঁচা ছোলা বা ছোলার ডাল খান।
অকালে চুল ঝরে যাওয়া আজকাল আমাদের জীবনের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুল আঁচড়াতে গেলে চুল পড়ছে, ঘুম থেকে উঠে বালিশে দেখছেন চুল ভেঙে পড়ে আছে অথবা স্নানের পর মাথা মোছার সময়ে গামছা বা তোয়ালেতে গোছা-গোছা চুল উঠে যাচ্ছে – এরকম সমস্যার মুখোমুখি যদি আপনিও হন তা হলে ছোলার ডাল খেতে শুরু করুন। ছোলার ডালে (Benefits Of Chana Dal) ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক রয়েছে যা চুলে পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে।
ছোলার ডালে ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে যা অকালে চুল পাকার হাত থেকে রক্ষা করে। চুলে পাক ধরলে আপনি রঙ করতেই পারেন। কিন্তু তাতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যদি না ঠিকভাবে যত্ন নেওয়া যায়, তার চেয়ে ছোলা এবং ছোলার ডাল (Cholar Dal) খাওয়াটা ভাল না?
অনেকেই দেখবেন ঘন-ঘন মাথা চুলকোন। দেখতে যে শুধু খারাপ লাগে তা নয়, মাথার তালুতেও নানা ইনফেকশন হতে পারে বারবার মাথা চুলকোলে। আসলে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প যখন ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না এবং যথেষ্ট ময়শ্চার পায় না, তখনই চুলকানি হয়। দুই টেবিল চামচ ছোলার ডাল বাটা এবং কয়েকফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে ভাল করে মাথার তালুতে মালিশ করলে স্ক্যাল্পের ইনফেকশন দূর হয় এবং চুলকানিও হয় না।
ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে আমরা ফেসপ্যাক (Chana Dal Face Pack) ব্যবহার করি। এখানে পাঁচটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক-এর হদিশ দেওয়া হল যা ছোলার ডাল (Chana Dal) এবং অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে তৈরি এবং ত্বকের নানা সমস্যা, যেমন ব্রণ, দাগ-ছোপ, ট্যান ইত্যাদি দূর করতে অতুলনীয়।
উপকরণ: ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ দই এবং ৩ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
কীভাবে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন: সব উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে মুখে, গলায় এবং শরীরের যে অংশে ট্যান পড়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন যদি স্নানের আগে করেন তাহলে ভাল ফল পাবেন।
কীরকম ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক উপযোগী: সব ধরনের ত্বকের জন্যই এই ফেসপ্যাকটি উপযুক্ত, তবে যাঁদের ট্যানের সমস্যা রয়েছে তারাও এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
উপকরণ: ৩ টেবিল চামচ ছোলার ডাল এবং পরিমানমতো কমলালেবুর রস (ঘন পেস্ট তৈরি করার জন্য)
কীভাবে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন: ছোলার ডাল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এবারে মুখে এবং শরীরের অন্য অংশেও লাগিয়ে নিন। মিনিট ২০ রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে করুন, ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
কীরকম ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক উপযোগী: সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী। তবে যাঁদের sensitive skin তাঁরা এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন না, র্যাশ বেরোতে পারে।
উপকরণ: তিন টেবিল চামচ ছোলার ডাল এবং ৫ চা চামচ মধু
কীভাবে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন: ছোলার ডাল ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুকোতে শুরু করলে সামান্য উষ্ণ জল দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরাকোষ উঠে যাবে। মিনিটদশেক মাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দু’সপ্তাহে একবার করে করুন।
কীরকম ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক উপযোগী: সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী তবে শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি ভাল।
উপকরণ: দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল এবং পেস্ট তৈরি করার জন্য পরিমানমতো জল বা গোলাপজল
কীভাবে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন: উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন অথচ স্মুদ পেস্ট তৈরি করে নিন। ১৫ মিনিটের জন্য ওই পেস্ট মুখে, ঘাড়ে এবং গলায় লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার করে করতে পারেন।
কীরকম ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক উপযোগী: শুষ্ক ত্বক বাদে বাকি সব ধরনের ত্বকের জন্যই এই প্যাক উপযোগী।
উপকরণ: কয়েক টুকরো পাকা পেঁপে, ১ টেবিল চামচ ছোলার ডাল
কীভাবে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন: পাকা পেঁপে চটকে নিয়ে তাতে ছোলার ডাল দিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এবারে ১০ মিনিট ধরে ওই পেস্ট দিয়ে মুখে মাসাজ করে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা দূর করতে এবং ময়লা টেনে বার করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে এই ফেসপ্যাকটি খুবই ভাল।
কীরকম ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক উপযোগী: সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী
উত্তর: নিশ্চয়ই! আপনি প্রতিদিনই পরিমাণমতো ছোলার ডাল খেতে পারেন। এতে আপনার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য দুই-ই ভাল থাকবে।
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি রাতে খলার ডাল খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, যেহেতু ছোলার ডাল ভারী হয় কাজেই এর সঙ্গে লো ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান, এতে শরীর খারাপ করবেনা।
উত্তর: হ্যাঁ। আপনি কিটো ডায়েট মেনে চললেও ছোলা বা ছোলার ডাল বা ছোলার ছাতু খেতে পারেন।
উত্তর: সাধারণত এটি হয় না। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ছোলা বা ছোলার ডাল বা ছোলার ডাল থেকে তৈরি খাবার খেয়ে ফেলেন, তা হলে গ্যাস হলেও হতে পারে।
উত্তর: ক্যানড ছোলা বা ছোলার ডাল না খাওয়াই ভাল। এতে প্রিজারভেটিভস দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ভাল নয়। একান্তই নিরুপায় হলে মাঝেমধ্যে খেতে পারেন, তবে নিয়মিত নয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!