ADVERTISEMENT
home / Diet
ত্বক ও চুলের যত্নে এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সবেদার উপকারিতা (Benefits of Chikoo In Bengali)

ত্বক ও চুলের যত্নে এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সবেদার উপকারিতা (Benefits of Chikoo In Bengali)

মুখে ফলের প্যাক মাখার চেয়ে ফল খাওয়া যে অনেক বেশি ফলদায়ী, সেটা আমরা সবাই জানি। প্রতিটি ফলেরই কিছু না-কিছু গুণাবলী আছে। তবে কয়েকটি বিশেষ ফল থাকে, যাদের পুষ্টিগুণের স্টোরহাউজ বলা যায়! তার মধ্যেই একটা ফল হল চিকু বা সবেদা। এই ফলে আছে ভিটামিন এ, ই, সি আর ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এ ছাড়াও সবেদায় আছে এমন কিছু উপাদান, যা চুল থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নে এবং স্বাস্থ্যরক্ষাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই আশ্চর্য ফলের (Benefits of Chikoo In Bengali) আরও কিছু আশ্চর্য ক্ষমতা।

স্বাস্থ্য রক্ষায় কী-কী ভাবে কাজে আসে সবেদা?

প্রতিদিনের ডায়েটে সবেদা রাখলে স্বাস্থ্য রক্ষায় কী-কী উপকার পাওয়া যায়?

সবেদার জুস/ রস চুল আর ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করা যায়?

ADVERTISEMENT

শিশুদের আহারে সবেদা থাকার উপকারিতা কী কী?

সবেদার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সবেদা ফল ও তার জুস নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ও তার উত্তর

সবেদায় কী-কী উপকারী উপাদান আছে? (Vitamins In Chikoo)

গোড়াতেই বলেছি, সবেদায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন আছে। এছাড়া এই ফল এত মিষ্টি হওয়ার দরুণ এতে আছে ফ্রুকটোজ (Fructose) ও সুক্রোজ (Sucrose) যা ইনস্ট্যান্ট এনার্জি জোগায়। এছাড়াও এতে আছে তামা, লোহা এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট (Antioxidant)। দেখে নেওয়া যাক, সবেদায় আর কী-কী উপকারী উপাদান আছে।

ADVERTISEMENT

১| প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কাজ করে প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে।

২| ট্যানিন, এটি একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তবে ট্যানিন শুধুই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি অ্যাসিড ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানও।

৩| আছে অসংখ্য খনিজ। যেমন, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন, ফোলেট, নিয়াসিন ইত্যাদি।

৪| এই ফল সহজপাচ্য এবং এতে প্রায় ১৫০ কিলো ক্যালরির শক্তি। কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি, প্রোটিন ও ম্যাগনেসিয়ামের গুণ। 

ADVERTISEMENT

স্বাস্থ্য রক্ষায় কী-কী ভাবে কাজে আসে সবেদা? (Chikoo Health Benefits)

সবেদা হচ্ছে সর্বগুণ সম্পন্ন একটি ফল। তাই এটি খেলে আপনার স্বাস্থ্য যে সুরক্ষিত থাকবে, সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। এতে কী-কী উপাদান আছে সেই বিষয়ে আপনাদের আগেই বিস্তারিতভাবে বলেছি। এতে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেলস ও অন্য উপাদান শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে নানাভাবে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে যদি আপনি এই ফল রাখেন, একাধিক উপকার পেয়ে যাবেন। আসুন, দেখে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যরক্ষায় কী-কী ভাবে কাজে আসে এই সুপার fruit।  

 Buy Ready to eat freeze dried Chikoo Slice 

প্রতিদিনের ডায়েটে সবেদা রাখলে স্বাস্থ্য রক্ষায় কী-কী উপকার পাওয়া যায়? (Nine Reasons To Include Chikoo In Your Regular Diet) 

যেহেতু এই ফল স্বাদে খুব মিষ্টি, তাই অনেকেই মনে করেন, মধুমেহ থাকলে এই ফল খাওয়া যায় না। এই ধারণা ঠিক নয়। কারণ, চিকুতে যে পরিমাণ চিনি থাকে, তার পুরোটাই প্রাকৃতিক। আপনি যদি প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফল রাখেন, তা হলে অনেক উপকার পাবেন। মূলত ন’টি কারণে প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফল রাখা উচিত।

১| হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় (Helps in Digestion)

যেহেতু এতে প্রচুর ফাইবার আছে, সেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভের ভূমিকা পালন করে। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফল খুব কাজে দেবে।

ADVERTISEMENT

২| পেটের নানা সমস্যা বিশেষ করে পেটে জ্বালা, অম্বল ও গ্যাস দূর করে (Natural Remedy for an Upset Stomach)

acidity

ট্যানিন নামক যে উপাদানটি এতে আছে, তা একাই একশো! ট্যানিন হচ্ছে সেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যাঁদের কিছু খেলেই পেটে জ্বালা করে এবং যাঁদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন এই ফল খান, তা হলে অনেক উপকার পাবেন।

৩| সর্দি-কাশি সারায় (Cures Cold and Cough)

চিকু বা সবেদায় আছে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান, যার বিক্রিয়ার জন্য সর্দিকাশির নিরাময় হয়। বিশেষ করে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ক্রনিক কাশি বা কফের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ব্রেকফাস্টে একটা করে সবেদা খেতে পারেন। এই ফল খেলে দেখবেন কফ ও সর্দি বেরিয়ে আসছে।

৪| হাড়ের সমস্যা সারায় (Good for the Bones)

bench-daylight-daytime-1288484

ADVERTISEMENT

আগেই বলা হয়েছে, এই ফলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ আছে। তার মধ্যে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেই ক্যালসিয়ামও এখানে প্রচুর পরিমাণে মজুত আছে। এ ছাড়াও হাড় শক্ত করার জন্য অন্য যে-যে খনিজ আছে, যেমন আয়রন ও ফসফরাস, সেগুলোও যথেষ্ট উপকারী। হাড় ছাড়াও শরীরের পেশি ও টিসু মজবুত করার জন্য যে কপার প্রয়োজন, সেটাও এই ফলে মজবুত আছে।

৫| অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে (Source of Antioxidants)

এতে ভিটামিনের গুণাবলী তো আছেই, এছাড়া এতে আছে অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যেমন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এটি প্রতিদিন খেলে সময়ের আগে চট করে আপনার মুখে বলিরেখা পড়বে না, ত্বক হবে নরম।    

৬| প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় (Boost Your Immune System)

আমাদের শরীরে যাতে কোনওরকম জীবাণু বাসা না বাঁধে এবং যাতে আমরা চট করে সংক্রমণের কবলে না পড়ি, তার জন্য শরীরের চাই ভিটামিন ও খনিজ। আর ঠিক এগুলোই সঠিক পরিমাণে শরীরে যোগায় সবেদা বা চিকু। এই ফল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। প্রচণ্ড গরমে যাতে হিট স্ট্রোক না হয়, তার জন্য শরীরকে তৈরি করে।

৭| ইনস্ট্যান্ট এনার্জি যোগায় (Instant Energy Provider)

দেখবেন, আপনি যদি খুব ক্লান্ত থাকেন এবং তারপর এক গ্লাস সবেদার জুস বা একটা গোটা সবেদা খান, তা হলে খানিকক্ষণ পর আপনার ক্লানি আস্তে-আস্তে দূর হয়ে যাবে। এর একটাই কারণ। এই ফলে যে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ আছে, তা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে ভেঙে গিয়ে তৎক্ষণাৎ এনার্জি প্রদান করে।

ADVERTISEMENT

৮| রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে (Controls Blood Pressure)

adult-blood-control-220723

এর মধ্যে যে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে, দুটোই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাল। ম্যাগনেশিয়াম রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং পটাশিয়াম রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে যেহেতু আয়রন আছে, সেহেতু এটি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়াও রোধ করতে সক্ষম।

৯| গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাল (Good for Pregnant Woman) 

belly-button-birth-family-57529

যাঁরা গর্ভবতী এবং যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন, তাঁদের জন্য এই ফল খুব ভাল। কারণ, এই ফলে আছে ইলেকট্রলাইটস ও ভিটামিন। গর্ভবতী মায়েদের যে সমস্যাগুলো হয়, যেমন গা বমি বা সকালে উঠে মাথা ঘোরা, এগুলো সবই দূর হবে এই ফলের কল্যাণে। তা ছাড়া এই ফল কোলাজেন উৎপন্ন করতে পারে। তাই পেটের সব সমস্যাও দূর হবে এই ফল খেলে।

ADVERTISEMENT

সবেদার জুস/ রস চুল আর ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করা যায়? (Amazing Benefits of Chikoo Juice for Skin and Hair)

এতক্ষণ স্বাস্থ্যরক্ষায় সবেদার কার্যকারিতা নিয়ে কথা হচ্ছিল বলে যদি এটা ভাবেন যে, এই ফলের গুণ এখানেই শেষ, তা হলে একদম ভুল ভাবছেন। কারণ, হেলথ বেনিফিট ছাড়াও আমাদের ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতেও বিশেষভাবে কাজে দেয় এই ফল। আর এর কারণও আপনাদের অজানা নয়। ইতিমধ্যেই আপনারা জেনে ফেলেছেন এতে কী-কী উপাদান আছে। আর এই উপাদানগুলিই সমষ্টিগতভাবে চুল ও ত্বকের যত্নে কাজে দেয়।

Buy Home Made Dry Chikoo Chips

চুলের যত্নে সবেদা (Chikoo Juice for Hair Care)

hair

১| প্রতিদিন এই ফল খেলে বা ফলের রস পান করলে এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে সেগুলি সরাসরি চুলকে সুন্দর করে তোলে। সবেদার প্রভাবে চুল হয় নরম ও উজ্জ্বল।

২| যেহেতু এই ফলে ভিটামিন সি আছে, সেহেতু এই ফলের রস স্ক্যাল্পে লাগালে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ADVERTISEMENT

৩| এই ফলের মধ্যে আছে এক আশ্চর্য ক্ষমতা। এটি শরীরের হরমোন নিঃসরণ বিশেষ করে অ্যাড্রিনালিনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই পরোক্ষভাবে চুলের বৃদ্ধিও ঘটায় এই ফল।

৪| প্রতিদিন সকালে যদি এক গ্লাস করে সবেদার জুস পান করলে অকালপক্কতার হাত থেকে রেহাই মিলবে। এই ফল রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাভাবিক রঙ ধরে রাখতে সক্ষম।

Buy Fresh Chikoo From Big Basket 

ত্বকের যত্নে সবেদা (Chikoo Juice for Skin Care)

skincare for old skin

ADVERTISEMENT

১| যেহেতু এতে আছে ভিটামিন ই আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, তাই এটি ত্বকের জন্য খুবই ভাল। আপনি প্রতিদিন এই ফল খেলে নিজে থেকেই ত্বকের উপর এর সুপ্রভাব বুঝতে পারবেন। অনেকের সবেদার খোসা মুখে আলতো করে ঘষেন, এতেও যথেষ্ট কাজ দেয়।  

২| সবেদা ফলের মধ্যে যে ভিটামিন সি আর এ আছে এই দুটোই ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। আবার এই দুটো ভিটামিনই কোলাজেন উৎপাদনের জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়। তাই এই ফল খেলে আপনা থেকেই কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং যে কারণে ত্বকের ইলাসটিসিটি বজায় থাকে।

৩| অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার দরুণ, এই ফল বলিরেখা ও বুড়িয়ে যাওয়ার নানা লক্ষণ বা এজিং সিম্পটমস প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে সবেদার জুস পান করলে এর প্রভাব বোঝা যাবে।

৪| সানবার্ন থেকে আরাম দিতেও এই ফলের জুড়ি নেই। আর শুধু সানবার্ন নয়, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির জন্য আমাদের ত্বকে যে প্রভাব পড়ে, তার অনেকটাই সামলে দেয় এই ফল। মুখে সানবার্নের ফলে কালো দাগ, ব্রণ বা মেচেতা দেখা দিলে এই ফলের রস সপ্তাহে দু’দিন লাগালে উপকার পাবেন।

ADVERTISEMENT

আরও পড়ুন  ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা (Castor Oil Benefits In Bengali)

আরও পড়ুন আমন্ড অয়েলের উপকারিতা

শিশুদের আহারে সবেদা থাকার উপকারিতা কী কী? (Chikoo Benefits for Babies)

baby-baby-feet-blanket-326545

শিশুর বয়স মাসছয়েক হলে আপনি সবেদা সেদ্ধ করে তাকে খাওয়াতে পারেন। এই ফলের যেহেতু কোনও অ্যালার্জিক উপাদান নেই, তাই শিশুদের এটি দেওয়া যায়। এই ফল শিশুদের আহারে থাকলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পেটের সমস্যা দূর হয়। এর আগে সবেদার যে-যে গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এর সবকটিই শিশুদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে শিশুদের এই ফল দেওয়ার আগে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। যেমন,

ADVERTISEMENT

১| খোসা ছাড়িয়ে তবেই এই ফল শিশুকে দেবেন।

২| সেদ্ধ করার সময় তাতে যেন কোনও বীজ না থাকে।

৩| দিনে একটার বেশি সবেদা শিশুকে দেবেন না।

৪| সব সময় পাকা সবেদাই দেবেন।

ADVERTISEMENT

৫| যেহেতু সবেদা খুব নরম ফল এবং গরমে সহজেই এতে পচন ধরে যায়, তাই সবসময় দেখে নেবেন যে, এটা আদৌ শিশুকে দেওয়ার যোগ্য কিনা।  

সবেদার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side Effects of Chikoo)

সব ভাল যার শেষ ভাল কি আর সব সময় হয়? তাই সবেদা বা চিকুর এত গুণ সত্ত্বেও এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে।

১| অতিমাত্রায় সবেদা খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

২| এতে যেহেতু ট্যানিন আছে যা একটি স্বাভাবিক অ্যাসট্রিনজেন্ট, অনেক সময় এই ফল খেলে মুখের চারপাশে চিড়বিড় করে। অনেকের গলাতেও এই ধরনের অনুভূতি দেখা দিতে পারে।

ADVERTISEMENT

৩| ভুলক্রমে যদি সবেদার বীজ পেটে চলে যায়, তা হলে বমি ও পেটে ব্যথা হতে পারে।

সবেদা ফল ও তার জুস নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQs)

১| প্রশ্ন: যাঁদের মধুমেহ আছে তাঁরা কি এই ফল খেতে পারেন?

তাঁরা এই ফল সামান্য পরিমাণে খেতে পারেন। এতে যে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ আছে, সেটি স্বাভাবিক সুগার, ফলে ক্ষতিকর নয়। তবে রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ফল খাবেন।  

২| প্রশ্ন: ওজন বাড়াতে বা কমাতে কি এই ফল সাহায্য করে?

সরাসরি ওজন কমাতে সাহায্য করে না। যেহেতু এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে, তাই একটা গোটা সবেদা খেলে আপনার খিদে কম পাবে। তা ছাড়া যেহেতু এই ফলে অনেক ফাইবারও আছে, তাই বাড়তি মেদ এই ফল শরীর থেকে বের করে দেয়। সেক্ষেত্রে ওজন কমলেও কমতে পারে। কিন্তু সেটা শুধুই সবেদা খাওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়। ওজন বৃদ্ধি করতে এই ফলের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই।

৩| প্রশ্ন: গর্ভবতী হলে কি সবেদা খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই ফল খুব ভাল।

ADVERTISEMENT

৪| প্রশ্ন: ঠান্ডা লাগলে কি সবেদা খাওয়া যায়?

ঠান্ডা লাগলেও এই ফল আপনি খেতে পারেন। এই ফল খেলে আপনার বুকে জমে থাকা কফ ও সর্দি বের হয়ে যাবে।

৫| প্রশ্ন: শিশুদের আহারে এই ফল দেওয়া কি ঠিক?

যে শিশুদের বয়স ছয় থেকে আট মাস, তারা এই ফল সেদ্ধ করে খেতে পারে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

17 May 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT