ADVERTISEMENT
home / লাইফস্টাইল
সম্পর্ককে তরতাজা রাখতে রোজ এক বার হলেও জড়িয়ে ধরুন (hugging) মনের মানুষটিকে (partner)

সম্পর্ককে তরতাজা রাখতে রোজ এক বার হলেও জড়িয়ে ধরুন (hugging) মনের মানুষটিকে (partner)

সেই স্কুল লাইফ থেকেই প্রেম (love) সৌপর্ণ আর ঋষিতার। প্রায় এক যুগের প্রেমপর্ব (love) চলার পরে গত বছরের প্রথম দিকেই ওদের প্রেম (love) পরিণতি পায়। কিন্তু ৬ মাস কাটতে না কাটতেই সব রূপকথা যেন নিমেষে গায়েব। দু’জনেই ডিভোর্স চাইছে। আর ওদের বন্ধুরা, যারা সেই প্রথম থেকে ওদের প্রেমের সাক্ষী ছিল, তারা তো রীতিমতো তাজ্জব! কেউই বুঝে উঠতে পারে না যে, এত বছরের সম্পর্কে (relationship) কী এমন ঘটল। পরে জানা গেল, দু’জনেই অফিস থেকে ফিরে মজে যেত মুঠোফোনে। ওরা ফোনে-ফেসবুকে আর হোয়াটসঅ্যাপে এতটাই ব্যস্ত থাকত যে, ধীরে ধীরে ওদের সম্পর্কের (relationship) উষ্ণতাটাই চলে যেতে থাকে। এর পর কিছু দিনের মধ্যেই সন্দেহ, ইনসিকিউরিটি- এ সব কিছু আরও ঘিরে ধরে ওদের। এর পরেই সম্পর্কটাই (relationship) ওদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। এক ছাদের তলায় অচেনা হিসেবেই বাস করছিল ওরা। এটা শুধু সৌপর্ণ আর ঋষিতার গল্প নয়। ওদের মতো অনেক সম্পর্কই (relationship) বিচ্ছেদের পথে খোঁজে।

আসলে সম্পর্ক জিইয়ে রাখার জন্য যেটা দরকার, সেটা হল সঙ্গীকে একটু সময় দেওয়া, ভালবাসার উষ্ণ ছোঁয়া। শরীরকে যেমন সুস্থ রাখেন, সম্পর্ককেও (relationship) তেমন ভাবে সুস্থ রাখতে কোনও কারণ ছাড়াই যখন-তখন আপনার সঙ্গীকে (partner) জড়িয়ে (hugging) বলুন, ভালবাসি! ব্যস! এতটুকুই কাফি! তা হলে সম্পর্কগুলোও (relationship) সুন্দর থাকবে। আর আপনি কি জানেন, সম্পর্ক হেলদি রাখতে রোজ সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা বা হাগ (hugging) করা কতটা জরুরি? তা হলে এখনই জেনে নিন।

hugging-akshay-twinkle

আপনি কত্ত কেয়ারিং

সারা দিন অফিসে ব্যস্ত দু’জনে। আর সব দিক থেকেই চাপ যাচ্ছে। একটু রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা না হলেও চাপ নেই! দিনের শেষে ঘরে ফিরে সঙ্গীকে (partner) জড়িয়ে ধরে বলুন, “সব সময় পাশে আছি। আর আমরা একসঙ্গে এ ভাবেই থাকব”। আপনি কত্তটা  কেয়ারিং সেটা বোঝা যাবে।

ADVERTISEMENT

মুড ভাল নিমেষে

অফিসে বসের ঝাড় খেয়ে মেজাজটা খিঁচড়ে রয়েছে? তা হলে বাড়ি ফিরেই সঙ্গীকে (partner) জড়িয়ে ধরুন। এতে আপনার মুড ম্যাজিকের মতো ঠিক হয়ে যাবে। আসলে আমরা যখন প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরি, তখন অক্সিটোসিন (যাকে কাডল হরমোনও বলা হয়) হরমোন ক্ষরণ হয়। যা আমাদের মনের শান্ত ভাব ফিরিয়ে আনে।

হেলদি রিলেশনশিপে

আপনাদের মধ্যে কি ভুল বোঝাবুঝি চলছে? তা হলে এক বার প্রিয় মানুষটিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরুন। এতে আপনার সঙ্গী বুঝতে পারবে যে, আপনাদের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

স্বাস্থ্যের জন্য

শুধু কি হেলদি রিলেশনশিপের (relationship) জন্য হাগ (hugging) করা উপকারী। তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এটা খুবই জরুরি। নিয়মিত হাগ করলে বা সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরলে আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম তো ভাল হবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আসলে হাসা, সেক্স বা কিসের মতোই হাগ করলেও আপনার শরীর থেকে কিছু হরমোন ক্ষরণ হয়। যা আপনার দেহের জীবাণু বা রোগের সঙ্গে লড়াই করে আপনাকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। আবার বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হৃদযন্ত্র ঠিকঠাকও রাখতেও সাহায্য করে হাগিং ।এ ছাড়াও গবেষণায় প্রমাণিত, ভাল ঘুম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আর স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা- এ সবের জন্যও সঙ্গীকে হাগ করা জরুরি।

kajal-agarwal-hugging

ADVERTISEMENT

তা হলে আর ভাবনা কীসের? প্রিয় মানুষটি সামনে দেখলেই নির্দ্বিধায় তাঁকে জড়িয়ে ধরুন! সম্পর্ক (relationship) আর শরীর- দুইই সুস্থ থাকবে।

ছবি সৌজন্যে: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!

এগুলোও আপনি পড়তে পারেন

ঠোঁটে চুম্বনের শারীরিক উপকারিতা

ADVERTISEMENT

ভালোবাসার মানুষটিকে এই ডাকনামে ডাক দিও

বাংলা রোমান্টিক ডায়লগ মনের মানুষটির জন্য

11 Feb 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT