আমাদের জীবনযাত্রার ছাপ সব সময়েই আমাদের ত্বকের উপরে পড়ে। ইদানিং সবাই এত বেশি ব্যস্ত যে নিজের খেয়াল রাখার মত সময় পাওয়া যায় না। ফলে ত্বকের তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়া এবং চারদিকে এত দূষণের কারণে ত্বকের নানা সমস্যা (skin problems) দেখা দেওয়া খুব কমন একটা বিষয় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেক সময়েই আমরা সময় থাকতে সমস্যার সমাধান করি না, আর আমাদের তখন টনক নড়ে যখন দেখি ব্যাপারটা আমাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। তখন কেউ কেউ নানা কসমেটিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন আবার অনেকেই আছেন যারা ঘরোয়া উপায়েই ত্বকের সমস্যার (skin problems) সমাধানের চেষ্টা করেন। বহুকাল ধরেই রূপের জৌলুস ধরে রাখতে আয়ুর্বেদের (ayurveda) সাহায্য নেওয়ার চল রয়েছে। আর এই আয়ুর্বেদেরই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কুমকুমাদি তৈলম (kumkumadi tailam)। আমাদের দেশের দাক্ষিণাত্যে কুমকুমাদি তৈলমের অনেক প্রয়োগ দেখা যায় রূপচর্চার ক্ষেত্রে। কিন্তু এই কুমকুমাদি তৈলন কী?
কুমকুমাদি তৈলম কী?
প্রতিদিন কুমকুমাদি তৈলম লাগালে ত্বকের উন্নতি হবে চোখে পড়ার মত (ছবি – ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে)
আয়ুর্বেদের (ayurveda) অনেক পুরনো পুঁথিতে কুমকুমাদি তৈলমের (kumkumadi tailam) বিষয়ে অনেক কিছু বলা আছে। আসলে এটি নানা ওষধির মিশ্রণে তৈরি একটি তেল যা ত্বকের নানা সমস্যা (skin problems) যেমন ব্রণ, রুক্ষতা, র্যাশ, দাগছোপ, অ্যাকনে এবং আরও নানা সমস্যা দূর করতে সক্ষম। শুধু তাই না, ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। কুমকুম অর্থাৎ কেশর বা জাফরানের সঙ্গে আরও ২৫ রকমের দুর্লভ জড়িবুটি মিশিয়ে তৈরি করা হয় কুমকুমাদি তৈলম। নানা রকম মাসাজ থেরাপিতে এই তেল ব্যবহার করা হয়।
রূপচর্চায় কুমকুমাদি তৈলমের ভুমিকা
কুমকুমাদি তৈলম (kumkumadi tailam) একটি সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক (ayurveda) তেল, যা নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কিনটোনে এক অদ্ভুত জেল্লা দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বক মোলায়েম ও মসৃণ হয় (benefits)। এর মূল উপকরণ হল নারকেল তেল ও ছাগলের দুধ যা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক কুমকুমাদি তৈলমের নানা উপকারিতা
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে জাফরান দারুণ কাজে দেয় (ছবি – ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে)
১। কুমকুমাদি তৈলমে (kumkumadi tailam) রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যান্টি হাইপারপিগমেনটেশন, ময়শ্চারাইজার, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেরেটরি উপাদান। এগুলি প্রত্যেকটিই ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এছাড়াও কুমকুমাদি তৈলম প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে। এটি আপনার ত্বকে জরুরি পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকের জেল্লা বাড়ায় ও ত্বক ঝলমলে করে তোলে।
২। আমাদের দেশে হাজার হাজার বছর ধরে কুমকুমাদি তৈলমের ব্যবহার চলে আসছে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য। যাঁদের ত্বক প্রাণহীন ও ম্যাড়ম্যাড়ে তাঁরা নিয়মিত এই তেলটি লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই তফাৎটা বুঝতে পারবেন।
৩। যদি আপনার মুখে কোনওরকম দাগছোপ (skin problems) থাকে যা কিছুতেই আপনি দূর করতে পারছেন না, তাহলে অন্তত পাঁচ-ছয় মাস নিয়মিত কুমকুমাদি তৈলম ব্যবহার করুন। দেখবেন মনেই হবে না যে আপনার ত্বকে কোনওদিন কোনও দাগছোপ ছিল।
৪। কুমকুমাদি তৈলমে (kumkumadi tailam) এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকে একটা ন্যাচারাল গ্লো দেখা যায়।
৫। নিয়মিত কুমকুমাদি তৈলমের সাহায্যে ফেস মাসাজ করতে পারলে রক্ত সঞ্চালন বেশ ভালভাবে হয় এবং স্কিনটোনে বেশ উন্নতি (benefits) হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!