বাংলা (bengali) ছবি (movies) মানেই ভ্যাদভ্যাদে ইমোশন। মানে যাকে বলে আবেগে লেবড়ে, চোখের জলে ধেবড়ে এক্কাকার কাণ্ড। কিন্তু বাঙালি হল গিয়ে জাত রসিক। তাই এই সব ছবির দুঃখ মাখানো শুকনো স্যান্ডউইচ থেকেই তাঁরা কামড়ে রস বের করে নেন। মজার সংলাপ (dialogues) যা থাকার সে তো আছেই, ভয়ানক কষ্টের সংলাপেও হো হো করে হাসার পাবলিক এই বাংলাতেই আছে বস। সেরকমই কিছু সেরার সেরা সংলাপ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। দেখুন, পড়ুন আর মোক্ষম জায়গায় টুক করে লাগিয়েও দিতে পারেন। একে শুক্কুরবারের বিকেল এলেই বাঙালির বাড়ি যাই বাড়ি যাই ব্যারাম শুরু হয়ে যায়। গা ম্যাজম্যাজ করে, বউয়ের কথা মনে পড়ে। উঠুন দেকি, উঠে চা খান আর #BestMovieLineEver জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী বলে পড়ে ফেলুন!
আরও পড়ুনঃ ৩০টি বেস্ট ইউটিউব শর্ট ফিল্ম
বউ গেলে বউ পাওয়া যায় রে পাগলা, মা গেলে মা পাওয়া যায় না!
ফোড়ন: উনি খবর পড়তে পড়তে নায়ক হয়ে গেলেন। তারপর অ্যাই অ্যাই বলতে বলতে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে গেলেন। আমি জানতে চাই, বউ কোথায় পাওয়া যায়? আর কেখুঁকে ছবিটা দীপক চক্কত্তি কেন বানাতে গেলেন? আপনার কোন বাড়া ভাতে ছাই দিইয়েছিলুম আমরা?
ফোড়ন: এই সংলাপ শ্রী শ্রী বুম্বাদার। ওঁর বুক ভাঙা ব্যাথার এই সংলাপ রাষ্ট্রপুঞ্জ পর্যন্ত চলে গেছে। কিন্তু উনি যে চুরি করেননি সেটা কেউ বিশ্বাস করে না। কিন্তু এত বড় চুরি হল সেটা এখনও ব্রেকিং নিউজে দেখাল না কেন? যাকগে এইটা দাঁতে দাঁত চিপে বলতে বলতে বুম্বাদার দাঁত ক্ষয়ে গেল গো!
ফোড়ন: আই লাভ রঞ্জিত মল্লিক! সত্যি বলছি, কোয়েল মল্লিকের দিব্যি। কোনও অন্যায় দেখলেই রঞ্জিত মল্লিক ঝাপিয়ে পড়েন। সংলাপ কী বলেন সেইটা বোঝা যায়না ঠিকই, কিন্তু বেল্ট দিয়ে সপাসপ সব্বাইকে হেব্বি মারেন। আমি কোয়েলের মায়ের কাছে জানতে চাই, ওনার সব মিলিয়ে কটা বেল্ট আছে বউদি?
ফোড়ন: এটা আমাদের দাদার সংলাপ। হাইশ! মিঠুন দা জিন্দাবাদ! উনি মারলে আপনার খচ্চা বেঁচে যাবে। মানে আর কাঁধে করে নিয়ে যেতে হবে না। লাশ সোজা শ্মশানে গিয়ে পড়বে। স্পিডপোস্ট সার্ভিস!
নার্সারিতে শুরু, হাফ প্যান্টে গুরু, ফুল প্যান্টে মহাগুরু
ফোড়ন: মিঠুনদাকে আমি ভালবাসি। তোমরা কিছু বলবে না একদম। আমি ডান্স বাংলা ডান্সে যাব। সে উনি ফুল বা হাফ যে প্যান্টই পরুন না কেন। উনি ডিস্কো ডান্স করতে পারেন। না, এখন খালি বসে বসে ঝিমোন আর রিমো, মিমো, নিমোকে কী চাবকে সিধে করা যায় সেইটা ভাবেন!
আরও পড়ুনঃ বাংলা দেশপ্রেমের সিনেমা
আমি দেবতা নই যে ছেড়ে দেব, দানব নই যে মেরে দেব, আমি হলাম পুলিশ, মারা আর ধরার মাঝে লটকে রেখে দেব
ফোড়ন: কোনও দেশের, কোনও রাজ্যের, কোনও শহরের পুলিশকে বাবার জম্মে এরকম বলতে শুনেছেন? একে দুনিয়ার চোর ছ্যাঁচড়দের নিয়ে কাজ করতে করতে পুলিশদের কোমরে বাত ধরে গেল, তাপ্পর আবার এত বাক্যবাগীশ হবে তাঁরা? কি জানি বাপু! আবিশ্যি লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ মেখে জিত অমন বলতেই পারেন। উনি খুব ফসসা! তাতে কী? আই লাভ ফসসা পুলিশ!
চোখ মারাটা কোনও ক্রাইম নয়, পকেট মারা ইজ আ ক্রাইম!
ফোড়ন: দুর্দান্ত কমিক টাইমিংয়ে চিন্ময় রায় ছিলেন অনবদ্য। সাধে কি তাঁকে হাসির রাজা বলা হত। অপমানিত নায়ককে তিনি বললেন এক অমোঘ সত্য। পকেট মারা ক্রাইমের মধ্যে পড়ে। চোখ মারা মোটেই দোষের নয়। খাঁটি কথা কিন্তু কী বলেন? আহা কথা নয় বাণী, বাণী!
ফোড়ন: তা তো ধরবেই! নেতাদের আবদার, রবি ঘোষের ডায়লগ, আপনজন সিনেমায়! যুগ বদলেছে, কিন্তু নেতাদের আবদার বদলায়নি! এখনও সেই একই ডায়লগ বলেই চলেছেন তাঁরা!
ফোড়ন: এটা আলাদা করে উল্লেখ করতেই হবে। জয়বাবা ফেলুনাথ আর সোনার কেল্লা। দুটো ছবিতেই এমন কিছু সংলাপ ব্যবহার হয়েছে যা কাল্ট সংলাপে পরিণত হয়েছে। যেমন ১) রাজস্থান কে পটভূমিকা পর মেরা সাম্প্রতিকতম উপন্যাস! ২) আপনি কোন দলে লড়ছেন, মোগল না রাজপুত? ৩) এটা আমার ৪) ওরা কি কাঁটা বেছে খায় বাঁ ৫) দুশমন বহত দুর্ধর্ষ থা… এইসব সংলাপ জাস্ট ভোলা যায় না। এই ছবি দুটো জম্ম ইস্তক আপনারা এতবার দেখেছেন যে এগুলো কে বলেছে আর কেন বলেছে বললাম না।
ফোড়ন: ছবির নাম শাখা প্রশাখা। আর এই ছোট্ট সংলাপটি বলেছেন এখনকার ‘অমানুষ’ সোহম কুমার! সত্যি সত্যি অমানুষ নারে বাবা। ছবির নাম বলচি। তখন আবিশ্যি উনি খোকাটি ছিলেন। আর বোকাও ছিলেন। (এখনই বা কী তালেবর হয়েছেন কে জানে!) আর এই বোকা খোকাই দাদুর কাছে জানতে চেয়েছিল, বাবা জেঠুকে বলছিল, তোমার দুনম্বরি আছে, এক নম্বরি আছে! ছোট্ট দৃশ্য কিন্তু সাঙ্ঘাতিক তার বিস্তার। ওসব সিনেমার মারপ্যাঁচ মানিকবাবু ছাড়া আর কেই বা পারবে?
আমি ওর থেকে কম কীসে? এই অ্যাত্তটা!
ফোড়ন: তপেন চট্টোপাধ্যায়ের আইকনিক সংলাপ। ছবির নামটা কি বলতে হবে?না নিশ্চয়ই। রাজকন্যা লম্বা, রবি ঘোষ বেঁটে। কিন্তু তাঁর রাজকন্যা বিয়ে করার শখ। উত্তেজিত বাঘাকে গুপী বলে যে সে এই অ্যাত্তটা বেঁটে! নাজুক, নাজুক!
Youtube
ফোড়ন: বাঙাল ভাষায় রসিকতা করায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও জুড়ি ছিল না। আজও নেই। মেস সুদ্ধু লোকের চোখ টেরা করে উনি মহানায়িকার মায়ের কাছে মালপো খেতে গেলেন। তাপ্পর সেকি লাফালাফি। সুচিত্রা সেন মিষ্টি করে হেসে দুটো কথা বলেছেন বলে ভানুর নাচ, “আমার লগে কথা কইসে!”
ফোড়ন: উফ যা তা! উত্তমকুমার আর সুচিত্রা সেন ছাড়া বাংলা সিনেমা নিয়ে কোনও লেখাই সম্পূর্ণ হয়না। সপ্তপদী ছবির দুর্দান্ত সংলাপ। যেখানে সুচিত্রা খুব সোয়্যাগ নিয়ে বললেন…কী বলছেন? তখন সোয়্যাগ ছিল না? আলবাত ছিল, হাজারবার ছিল। পেন্সিল দিয়ে আঁকা ভুরু ১৮০ ডিগ্রি বেঁকিয়ে যখন মহানায়িকা তাকাতেন ওটাই সোয়্যাগ। তা ওইসব হাবিজাবি দেখিয়ে উনি বললেন, “আমায় যেন ও টাচ না করে!” তাপ্পর গুরুর ডায়লগ! এক্কেরে থোঁতা মুখ ভোঁতা!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!