“স্টাডি নেচার, লাভ নেচার, স্টে ক্লোজ টু নেচার। ইট উইল নেভার ফেল ইউ।” who said this? কথাটা যে সব দিক থেকে সত্যি, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। বাস্তবিকই তো প্রাকৃতির সৌন্দর্যের কাছে বাকি সব কিছুই কেমন যেন অর্থহীন মনে হয়। শুধু কী তাই! সবুজ বনানী, খরস্রোতা পাহাড়ি নদী বা বরফ ঘেরা অলি-গলিতে একাকী ঘুরতে ঘুরতেই তো আমরা প্রকৃতিকে আরও কাছ থেকে চিনতে শিখি, চিনতে শিখি নিজেকেও। তাই তো বলি, যদি হও ভ্রমণরসিক, তাহলে নগর সভ্যতার মায়া কাটিয়ে কখনও সখনও দূরে চলে যাও। বারে বারে যাও। এমনটা করলে দেখন জীবনের ডায়েরির প্রতিটি পাতা হরেক স্বাদের সব অভিজ্ঞতায় ভরে উঠতে সময় লাগবে না।
এত দূর পড়ার পরে যদি প্রশ্ন করো, কোথা থেকে শুরু করা যেতে প্রকৃতিকে চেনার এই জার্নি, তাহলে বলবো এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফেলো। দেখবে উত্তর মিলতে সময় লাগবে না। কারণ এই লেখায় এ দেশের এমন কিছু নজর কারা ঝরনার (best waterfalls in india) প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে একবার পৌঁছে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাকে বলে, তা অনুভব করতে দেখবে এক মুহূর্তও সময় লাগবে না। তাই তো আর অপেক্ষা নয়, চলো এবার না হয় একাই বেরিয়ে পরা যাক…!
এদেশের দ্বিতীয় সর্বচ্চ ওয়াটার ফলস বা ঝরনা (waterfalls) হল এটি। এখানে পৌঁছানো মাত্র প্রায় ২৫৩ মিটার উপর থেকে নেমে আসা জলরাশিকে দেখতে পাবে। সেই সঙ্গে সবুজের চাদর তোমাকে নিমেষে ঢেকে ফেলবে। আর চোখের পলকে গুঁড়ো গুঁড়ো জলের কনায় ভিজে যাবে শরীর এবং মন। তবে বর্ষাকালে আসতে হবে এখানে। কারণ বছরের এই একটা সময়ে জোগ ফলসের (jog falls) সৌন্দর্য যেন চরম মাত্রায় গিয়ে পৌঁছায়। সেই সঙ্গে এই জলপ্রপাতে জলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সে যেন আরও বেশি জীবন্ত হয়ে ওঠে।
কীভাবে পৌঁছাবে:
কলকাতা থেকে প্লেনে পৌঁছে যাও ম্যাঙ্গালোর। সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি নিয়ে জোগ ফলস পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘন্টা।
এবার দক্ষিণ থেকে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার পালা ভারতের পশ্চিম উপকূলে। কারণ এখানে রয়েছে আরেক মনকাড়া ওয়াটরফলস, যা দুধসাগর (dudhsagar falls) নামে পরিচিত। এমন নাম কেন, তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে বর্ষার মরশুমে এই ঝরনা যখন আরও একবার প্রাণ ফিরে পায়, তখন দুধ সাদা জলে ঢেকে যায় আশেপাশের সবুজ পার্বত্য উপত্যকা। তাই তো এই জলপ্রপাতকে দুধসাগর নামে ঢেকে থাকেন স্থানীয়রা। মুম্বাই থেকে ট্রেনে গোয়া যাওয়ার সময় এই ঝরনা দেখা যায় বৈকি। তবে আরও কাছ থেকে এখানকার প্রকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চাইলে গোয়া এয়ারপোর্টে পৌঁছে, সেখান থেকে গাড়ি নিয়েও চলে আসতে পারো এখানে।
কীভাবে পৌঁছাবে:
কলকাতা থেকে প্লেনে গোয়া। সেখান থেকে ভাড়া গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারো দুধসাগর। সময় লাগবে ২-৩ ঘন্টা।
এই পাহাড়ি রাজ্যের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক ঝরনা। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে নোহকালিকাই ওয়াটার ফলস, যা এ দেশের সুউচ্চ ঝরনার খেতাবও অর্জন করেছে (highest waterfall in india)। আর কেন করবে নাই বা বলো! ১১০০ মিটার উচ্চতা থেকে তীরের গতিতে নেমে আসছে জলরাশি, যাকে আগলে রেখেছে ঘন সবুজে ঘেরা জঙ্গল, যা এক কথায় অসাধারণ!
কীভাবে পৌঁছাবে:
কলকাতা থেকে প্লেনে গুয়াহাটি। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে শিলং। সময় লাগবে ২-৩ ঘন্টা। শিলং-এ পৌঁছে লোকাল ট্যাক্সি ভাড়া করে ঘুরতে যেতে পারো নোহকালিকাই ওয়াটার ফলস, সময় লাগবে দেড় ঘন্টা থেকে দু ঘন্টা।
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: wikipedia
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!