এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার পরেই আমরা নানা সম্পর্কের মুখোমুখি হয়ে থাকি। বাবা-মা, ভাই বোন, দাদু দিদা, কাকা, কাকিমা এইরকম সম্পর্ক আমাদের জন্মের আগেই আমাদের ভাগ্যে লেখা হয়ে যায়। কিন্তু বন্ধু (Friendship)হল এমন একজন যাকে আমরা নিজেরা খুঁজে বের করি। কোনও বন্ধু (Friendship) সেই স্কুলের প্রথম দিনের প্রথম ক্লাস থেকে সারা জীবন এক সঙ্গে থাকে আবার কেউ সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়। একই পাড়ায় অনেক দিন থাকার সুবাদে যেমন বন্ধু (Friendship) তৈরি হয় ঠিক সেরকমই স্কুল বা কলেজে এক সঙ্গে প্রজেক্ট করার সময় রাত জাগতে জাগতে তৈরি হয়ে যায় গভীর বন্ধুত্ব (Friendship)। কোনও বন্ধু (Friendship) যেমন আমাদের দুষ্টুমিগুলোকে লুকিয়ে রাখে যাতে আমরা বকা না খাই, কেউ কেউ আবার নিজেরাই এত দুষ্টু হয় যে মার কাছে আমাদের বকা খেতে দেখে তাদের বেজায় আনন্দ হয়। কিন্তু যাই ঘটুক না কেন, বন্ধু (Friendship) চিরকালের সম্পদ। তাকে কোনও মোটেই হারানো সম্ভব নয়। মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে, তাই মাঝে মধ্যে মনেও হয় ভেঙে দিই এই বন্ধুত্ব (Friendship)। যদিও তার পরেই মনে হয় বন্ধু (Friendship) ছাড়া থাকা সম্ভব নয়। আসলে বন্ধুত্বের (Friendship) সম্পর্কটাই এরকম। আমাদের বলিউডেও (Bollywood) বন্ধুত্বের এই মিষ্টি সম্পর্ককে নানা ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ‘দিল চাহতা হ্যায়,’ ‘জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা’, ‘রক অন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ এর মতো অনেক সিনেমায় বন্ধুত্বের এই দুষ্টু মিষ্টি রূপ তুলে ধরা হয়েছে। আর তাই আমরাও হাজির হয়ে গেছি বলিউডের (Bollywood) এরকমই কয়েকটা সিনেমার বন্ধুত্বের সংলাপ বা Friendship Dialogues নিয়ে যা আপনার মিষ্টি মধুর বন্ধুত্বের ভিতকে আরও পাকা আর মজবুত করে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ বন্ধুত্ব দিবসের সেরা উপহার
রনছোড়দাস মানে র্যানচো, ফারহান কুরেশি এবং রাজু রসতোগী। এই গল্প ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তিন ছাত্রকে ঘিরে। তিনজনের অটুট বন্ধুত্ব হারিয়ে দেয় চতুরের মতো চতুর ছেলের বদমায়েশিকেও।
সংলাপ ১ঃ দোস্ত ফেল হো যায়ে তো দুখ হোতা হ্যায়…পর দোস্ত আগার ফার্স্ট হো যায়ে তো জাদা দুখ হোতা হ্যায়।
সংলাপ ২ঃ বড়ি দুবিধা থি… দোস্ত কো সমহাল লেতে ইয়া ফির দোস্ত কি মাকে আনশু পোঁছতে… ফির হামনে শোচা হাটাও ইয়ার মটর পনির পর কনসেনট্রেট করতে হ্যায়।
ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের গল্প হল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়।’ রাহুল আর অঞ্জলির বন্ধুত্বের কথা গোটা কলেজ জানে। এতটাই গভীর বন্ধুত্ব যে ভালোবাসাও এর মধ্যে আসার সাহস পায়নি।
সংলাপঃ প্যার দোস্তি হ্যায়…অগর উও মেরি সবসে আছছি দোস্ত নেহি বান সাকতি, তো ম্যায় উসে কভি প্যার কর হি নেহি সাকতা…কিউকি দোস্তি বিনা তো প্যার হোতা হি নেহি…সিম্পল প্যার দোস্তি হ্যায়।
ভালোবাসা এক তরফা হতেই পারে সেটাতে কোনও দোষ নেই। তবে বন্ধুত্ব দু তরফ থেকে পাকা হলে তবেই সেটা রঙিন হয়ে ওঠে। আর এটাই ছিল অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবির মূল সূত্র। যদি এতদিনেও এই ছবিটি আপনার না দেখা হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি করবেন না। আয়ান আর আলিজার বন্ধুত্বের এই কাহিনি একবার অন্তত নিশ্চয়ই দেখবেন।
সংলাপ ১ঃ প্যার মে জুনুন হ্যায় পর দোস্তি মে সুকুন হ্যায়।
সংলাপ ২ঃ অজিব কাহানি হ্যায় প্যার অউর দোস্তি কে রিস্তে কি…প্যার হামারা হিরো অউর দোস্তি হামারি হিরোইন
‘ফ্রেন্ড’ লেখা সেই বিখ্যাত টুপিটার কথা আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই? আর ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবিটি যখন মুক্তি পাওয়ার পর রীতিমতো একটি কাল্ট প্রেমের ছবিতে পরিণত হয়েছে তখন সেই টুপিটা কেনার ইচ্ছেও যে আপনার মনে জেগেছিল সেই কথা হলফ করে বলতে পারি। একটা মেয়ে আর একটা ছেলে কখনও শুধু বন্ধু হতে পারে না, সেটাও এই সিনেমাই আমাদের শিখিয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে এই কথাটা আর খাটে না। এখনকার প্রজন্ম মনে করে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে অবশ্যই ভালো বন্ধু হতে পারে।
সংলাপ ১ঃ দোস্তি কি হ্যায় নিভানি তো পরেগি।
সংলাপ ২ঃ এক লড়কা অউর এক লরকি কভি দোস্ত নেহি হোতে।
সংলাপ ৩ঃ দোস্তি কা এক উশুল হোতা হ্যায় ম্যাডাম, নো সরি নো থ্যাংক ইউ।
যদিও এই ছবির মূল বিষয়বস্তু হল মুম্বাইয়ের অপরাধ জগত। সেখানে মাফিয়ারাই রাজত্ব করে। তবু এই ছবিকে তালিকায় রাখা হয়েছে কারণ এই ছবিতে বন্ধুত্বের প্রতি বিশ্বাস ও বিশ্বাসঘাতকতা দুটোই খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে।
সংলাপ ১ঃ সচ্ছে দোস্ত আশুও কে তারহা হোতে হ্যায়, যাঁহা দিল উদাস হুয়া উহা উও আ গয়ে।
সংলাপ ২ঃ আপনি দোস্তি টায়ার অউর টিউব জ্যায়সি হ্যায়, হাওয়া তেরি নিকলতি হ্যায় অউর বইঠ ম্যায় জাতা হু।
যদিও এটি একটি আদ্যপান্ত পারিবারিক ছবি। মানে ওই বাবা ছেলের বিরোধ নিয়ে যেমন ছবি হয় আর কী। তবে এই ছবিতেও বন্ধুত্বকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। কোটিপতি বাবার ছেলে আর মিষ্টি বিক্রেতার মেয়ের বন্ধুত্ব এবং প্রেম আর তাদের ভাই ও বোনের মধ্যেও বন্ধুত্ব থেকে প্রেম।
সংলাপঃ দোস্তি কে এলাভা ভি কুছ রিস্তে হ্যায়। কুছ রিস্তে জো হাম সমঝতে নেহি, কুছ রিস্তে জো হাম সমঝনা নেহি চাহতে…কুছ রিস্তে জিনকা কোই নাম নেহি হোতা…কুছ রিস্তে জিনকা কোই দিওয়ার নেহি হোতি…সরহদ নেহি হোতি… অ্যায়সে রিস্তে তো দিল কে রিস্তে হোতে হ্যায়, প্যার কে রিস্তে হোতে হ্যায়, মোহাব্বত কে রিস্তে হোতে হ্যায়।
তিনজন তরুণ আর এক তরুণী এদের নিয়েই গল্প। এই চারজনের বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, খুনসুটি আর মাঝে মাঝে মজাদার ঝগ্রা…এইসব নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই রম–কমটি।
সংলাপ ১ঃ চাহে মর যায়ে হাম ফির ভি মরহম লাগাকে জায়েঙ্গে। দোস্ত কে দিল সে উতর কর নেহি, দোস্ত কে দিল মে উতর কে যায়েঙ্গে।
সংলাপ ২ঃ প্যার আগার প্যান্ট হ্যায় তো দোস্তি চাডডি হ্যায়, প্যান্ট আগার ফট ভি যায়ে তো চাডডি ইজ্জত বাঁচা লেতি হ্যায়।
কিছু বন্ধুত্ব এতটাই গভীর হয় যে একজন বন্ধু আরেকজন বন্ধুর জন্য প্রাণ দিতেও পেছপা হয় না। আর সেটাই এই ছবির মূল গল্প।
সংলাপঃ জো দোস্ত কমিনে হোতে হয়… উও কমিনে দোস্ত নেহি হোতে।
মুম্বাইয়ের অন্ধকার অপরাধ জগত এবং সেখানে ক্ষমতা দখলের লড়াই আর শীর্ষে থাকার লড়াই হল এই সিনেমার মূল গল্প। আর এভাবে চলতে থাকা গল্পেই দেখানো হয় কীভাবে একজন শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে নেওয়া যায়। নিচে যে সংলাপ দেওয়া হয়েছে সেখানেও তাই বলা হয়েছে।
সংলাপঃ যব দোস্ত বানাকে কাম হো শাক্তা হ্যায়… তো ফির দুশমন কিউ বানায়ে?
ছোটবেলার বা শিশুকালের বন্ধুত্বই আসল বন্ধুত্ব কারণ সেখানে কোনও স্বার্থ থাকে না। কোনও চাওয়া পাওয়ার গল্প থাকে না। আর তার পর যে বন্ধুত্ব হয় সেটা সবটাই স্বার্থ জড়িয়ে হয়। কতকটা এরকমই গল্প এই ছবির।
সংলাপঃ হাম দোনো বচপনকে লাংগোটিয়া দোস্ত নেহি হ্যায়… হাম তো তবকে দোস্ত হ্যায় , যব হাম লংগোটি ভি নেহি পেহেনতে থে।
যারা বিগ বি’র ভক্ত তারা জানেন অমিতাভ বচ্চন যখন বন্ধুত্ব নিয়ে কোনও সিনেমা করেন সেটা রীতিমতো ইতিহাস তৈরি করে। আর এখানেও সেটাই হয়েছে। ছবিতে তার সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর দুর্দান্ত বন্ধুত্ব দেখানো হয়েছে।
সংলাপঃ আপনা উশুল ক্যাহতা হ্যায়… আগার ফায়দা হো তো… ঝুঠ কো সচ মানলো… দুশমন কো দোস্ত বানা লো।
একদম আজকের প্রজন্মের ছবি। এই প্রজন্মের কয়েকজন ছেলে মেয়ে তাদের বন্ধুত্ব, জীবনের নানা ওঠা পড়া, মনের জমিয়ে রাখা নানা কথা এইসব নিয়েই ইয়ারিয়ার গল্প আবর্তিত হয়েছে।
সংলাপঃ রাহ চলতে বুদ্ধু বানাতে হ্যায় দোস্ত… কোল্ডড্রিঙ্কস বোলকে দারু পিলাতে হ্যায় দোস্ত… গার্লফ্রেন্ড বোলকে আনটিও সে মিলবাতে হ্যায় দোস্ত… কিতনে ভি কামিনে হো, পর ইয়াদ বহত আতে হ্যায় দোস্ত।
পাঠশালা মানে সেখানে পড়াশোনা করতেই হবে এমন কোনও মানে নেই। বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা নয় বরং এই পাঠশালা গড়ে তোলে মানব বন্ধন অর্থাৎ এই পাঠশালাতে মানুষের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের দাম অনেক বেশি বলে দেখানো হয়েছে।বন্ধুত্ব মানে সেটা মনের মিলন এমনটাই বলে এই ছবি।
সংলাপঃ দোস্তি কি ভাষা সবসে আলাগ হোতি হ্যায় , উও সির্ফ দিল কি বাত শুনতি হ্যায়।
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই ছবি একটি রহস্যময় ছবি বা সাসপেন্স মুভি। তবে তার মধ্যেই বন্ধুত্বের মিষ্টি হাওয়াও রয়েছে।
সংলাপঃ সিগারেট অউর দোস্ত দোনো ফিলটার হোনা চাইয়ে।
বন্ধুরা যখন একজোট হয় তখন তাদের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে না।
সংলাপঃ দোস্তি উও হোতি হ্যায় জো জিনা শিখাতি হ্যায় মরনা নেহি।
পুরনো জিন্স আর পুরনো বন্ধুত্ব দুটোর কোনওটাই ছেড়ে দেওয়া যায়না।
সংলাপঃ জিন্দেগী মে দোস্ত তো কয়ি আতে হ্যায়, মগর পুরানে উস জিন্স কি তারাহ হোতে হ্যায়, জিসে পেহেনতে হি ইউ বিকাম ফ্রি, ফ্রি টু ইয়োরসেলফ
ভালোবাসায় বিশ্বাসঘাতকতা থাকতেই পারে, কিন্তু প্রকৃত বন্ধুত্বে কখনও এরকম হয় না।
সংলাপঃ আপ জ্যায়সা দোস্ত আগার সভি কো মিল যায়ে তো ফির তকদির কভি বেওয়াফা না হো।
দেশে হোক বা বিদেশে যারা সত্যিকারের বন্ধু হয় তারা সব জায়গায় নিজেদের বন্ধুত্ব অটুট রাখে।
সংলাপঃ পুরানি শরাব কি তারাহ পুরানি দোস্তি কা ভি আলাগ হি নাশা হোতি হ্যায়।
দুর্দান্ত কমিক টাইমিং দেখতে হলে এই ছবি দেখতেই হবে। দুই বন্ধু অমর আর প্রেম যারা সামনে বন্ধুত্ব দেখালেও আসলে শত্রু। কারণ তারা দুজনেই বিয়ে করতে চায় এক বড়লোকের মেয়েকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার ছিল যখন দুই বন্ধু এক কাপে চা পান করত। অমর মানে আমির খান আসলে নিজের পয়সা বাঁচাতে চাইত, কারণ তার চায়ের বিল সলমন আকা প্রেম দিত।
সংলাপঃ দো দোস্ত এক পেয়ালেমে চায়ে পিয়েঙ্গে কিউকি ইসসে দোস্তি বাড়তি হ্যায়
এক জন ভালোবাসে এক মেয়েকে আর তার শত্রু এসে বাগড়া দেয়। পড়ে জানা যায় এই শত্রুই তার সবচেয়ে ভালো চায় সেই পরম বন্ধু।
সংলাপঃ বদতমিজ, খদ্দর কি কামিজ, লোহে কা পাজামা, বন্দর তেরা মামা…আউর বিল্লি তেরি মউসি… কুত্তা তেরা ইয়ার…আম কা আচার। আজা মেরে ইয়ার।
Picture Courtsey: Youtube and Instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Friendship Day Wishes in Hindi
২০১৯ এ এই সেরা বাংলা সিনেমা গুলো কিন্তু দেখতেই হবে
রোমান্টিক ডায়লগ শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটির জন্য