কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। এই সময়ে আমাদেরও একটু হলেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও চলে যায়নি। তবে পুজো মানে যে শুধুই মণ্ডপে ঘুরতে হবে এমন নয়। কলকাতা শহরে বেশ অনেকগুলো বনেদি বাড়িতে পুজো হয়। বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোর সন্ধান দেব আমরা। তবে করোনা বিধি মাথায় রেখে ও সেইসব বাড়ির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে আপনি পুজোয় ঠাকুর দেখতে যাবেন। কয়েকটি বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো (bonedi bari durga puja)-এর সন্ধান আপনার জন্য…
ঠিকানা – ১২এ, শিবকৃষ্ণ দাঁ লেন, কলকাতা (গিরিশপার্কের কাছে)
বিখ্যাত ব্যবসায়ী গোকুলচন্দ্র দাঁ কলকাতায় জোড়াসাঁকোয় এসে থাকতে শুরু করেন। তাঁর নিজস্ব আত্মীয়ের পুত্র শিবকৃষ্ণ দত্তকে পুত্র রূপে দত্তক নেন। পরবর্তীকালে শিবকৃষ্ণ দাঁ এই বাড়ির দুর্গাপুজোর ঐতিহ্যকে বহাল রাখেন। এখনও পর্যন্ত এই পুজো বংশপরম্পরায় আড়ম্বরের সঙ্গেই হয়ে আসছে। শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়ির ঠাকুর দালান বিভিন্ন সিনেমায় দেখা যায়।
ঠিকানা – পাশাপাশি দুই বাড়ি , ২০ বিবেকানন্দ রোড, কলকাতা।
১৮৫৯ সালে নরসিংহ দাঁ এই পুজোর শুরু করেন। বন্দুক ব্যবসায়ী উনিশ শতকের প্রথমার্ধে এন সি দাঁ নামে খ্যাত ছিলেন। বৈষ্ণব মতে পুজো হওয়ায় এই বাড়ির পুজোয় বলি হওয়ার নিয়ম নেই। বাড়ির লোকের বিশ্বাস সন্ধিপুজোর সময়ে বাড়িতে আবির্ভাব ঘটে স্বয়ং দেবীর, তাঁরা নাকি এমন অনুভব করতেও পারেন। বিসর্জনের আগে দেবীকে বাড়িতেই সাত পাক ঘোরানো হয় এবং বিদায়ের আগে গান স্যালুট দেওয়া হয় । এমন ঐতিহ্য এই পরিবার দেড়শো বছরের উপর বহন করে আসছে।
ঠিকানা – ১৫৯, বলরাম দে স্ট্রিট, উত্তর কলকাতা (গিরিশ পার্ক মেট্রোর কাছে)
বলরাম দে স্ট্রিট দত্তবাড়ির পুজোর প্রতিষ্ঠাতা শ্যামলধন দত্ত। পরবর্তীকালে তার কন্যা রাজলক্ষ্মীই পুজোর দায়িত্ব নেন। তিনি ও তাঁর স্বামী শরৎ ঘোষ এই পুজার দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৩৬ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে।
সপ্তমী থেকে নবমী অবধি এই পুজোয় একজন সধবা ও একজন কুমারী কন্যার পুজোও হয়। এইখানে দেবীর বাহন সিংহ নয়। ঘোড়ার পিঠে দেবী বিরাজ করেন। পুরোনো রীতি অনুযায়ী, ষষ্ঠীর দিন দেবীর বোধনের সময় নারায়ণ ঠাকুরকে বাড়ির মূল ফটকের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, দত্ত বাড়ির পুজোয় দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানান স্বয়ং নারায়ণ।
ঠিকানা – ৪৭, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট, নর্থ কলকাতা
কলকাতার দীর্ঘতম ঠাকুর দালানগুলির মধ্যে খেলত ঘোষের ঠাকুর দালান একটি। মার্বেল বাঁধানো একটি বড় ডান্সহল সেখানে আছে, যা বর্তমানে খেলাত ঘোষ মেমরিয়াল হল নামে পরিচিত। বড় ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশিও খেলাত ঘোষ সমাজসেবী ও কালচারাল অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে পরিচিত।
ঠিকানা – ১৩, রানি রাসমণি রোড, ১৮/৩ এস এন ব্যানার্জি রোড,
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি তাঁর বাড়িতে এই দুর্গাপুজো প্রথম শুরু করেন। ১৮৬১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কন্যা ও জামাতারা এই পুজো উৎসব বন্ধ করেননি। তাঁর বসত গৃহে জানবাজারে বংশ পরম্পরায় এখনও পুজো হয়। এটি আসলে তাঁর কাছাড়ি বাড়ি ছিল, এর বিপরীতেই বিশাল রাণি রাসমণি ভবনে দুর্গাপুজো হয়, যা বিশ্বাস পরিবার দ্বারা পরিচালিত। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও এই দেবীর পুজো করেছেন একসময়ে…
ছবি – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!