সন্তানের জন্ম যে-কোনও মেয়ের জীবনেই বড় পরিবর্তন। তবে আপনি যদি কর্মরতা হন, তা হলে চ্যালেঞ্জটা কিছুটা বেশি। কারণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফেরার পর (breast feeding tips for working moms) কাজ এবং সন্তান ব্যালেন্স করতে হয় সমান তালে। কর্মরতা মায়েরা অনেকেই কাজে যোগ দেওয়ার পর সন্তানকে আর মাতৃদুগ্ধ পান করান না। ফলে শিশুর পুষ্টি নিয়ে টান তো পড়েই, উপরন্তু ব্রেস্ট হেভি হয়ে অফিসে কাজের জায়গায় সমস্যায় পড়েন মায়েরাও। কিন্তু একটু রুটিন মেনে চললে কাজের সঙ্গেই ব্রেস্ট ফিড করাও সম্ভব। কীভাবে? কর্মরতা মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং করানোর ক্ষেত্রে আমরা কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। দেখুন তো, আপনার কাজে লাগে কিনা।
ব্রেস্ট ফিডিং-এর নিয়ম-কানুন জেনে নিন
সন্তানের জন্মের পর ছুটি কাটিয়ে অফিসে ফিরলে অনেক মা আস্তে-আস্তে ব্রেস্ট ফিডিং বন্ধ করে দেন। হয়তো ভাবেন, বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় ঠিক থাকছে বলে বোধ হয় দুধ উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু এমন হয় না। শরীর নিজে থেকেই দুধ তৈরি করবে। তাই ব্রেস্ট ফিডিংয়ের নিয়মকানুন সম্পর্কে ভাল করে জেনে নেওয়াটা জরুরি। শিশু যে ইন্টারভ্যালে দুধ খাবে, শরীরও ঠিক সেই ইন্টারভ্যালে দুধ তৈরি করবে। তাই শিশুর ফিডিংয়ের কিংবা ব্রেস্ট পাম্প করার ইন্টারভ্যাল বাড়িয়ে দিলে আস্তে-আস্তে শরীরও নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হতে শুরু করবে।
পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হন
কর্মক্ষেত্রেই যদি ব্রেস্ট পাম্প করতে হয়, তা হলে উপযুক্ত পোশাক পরুন। যাতে খুব সহজেই পোশাকের বাধা কাটিয়ে আপনি পাম্প করতে পারেন। ভি-নেক শার্ট ট্রাই করতে পারেন। আর তা সম্ভব না হলে আলাদা পোশাক ব্যাগে ক্যারি করুন। পরে থাকুন ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য তৈরি বিশেষ ব্রা। এই ধরনের ব্রা-তে আলাদা হুক দিয়ে কাপ আটকানো থাকে স্ট্র্যাপের সঙ্গে। এর ফলে চট করে কাপটা খুলে ব্রেস্ট পাম্প করতে পারবেন আপনি।
চেষ্টা করুন চাপ এড়ানোর
মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে কাজে ফেরার পর কয়েক মাস বেশ স্ট্রেসফুল লাইফ কাটাতে হয় মেয়েদের। সদ্যোজাত এবং অফিস, দুটো ব্যালেন্স করে চলাটা প্রাথমিক ভাবে সমস্যার হয় অনেকেরই। কিন্তু সেই সমস্যা আপনি ধীরে-ধীরে কাটিয়ে উঠবেন। নিজের উপর ভরসা রাখুন। যতটা সম্ভব রিল্যাক্সড থাকুন।
একটা টাইম টেবল তৈরি করে নিন
সাধারণত এক বছর পর্যন্ত বেশিরভাগ শিশু দু’ ঘণ্টা অন্তর কিছু খেতে চায়। শিশুর ছ’ মাস বয়স পর্যন্ত যেহেতু দুধই তার একমাত্র খাবার, তাই আপনার উপর সে নির্ভরশীল। এর পর আস্তে-আস্তে সে সলিড খাবার খেতে শুরু করলে সমস্যা একটু কমে।
কর্মক্ষেত্রে কাজ এবং যাওয়া-আসা মিলিয়ে মোটামুটি আট-দশ ঘণ্টা বাড়ির বাইরে থাকা আপনার হয়ে যাবেই। এই সময়টুকু ম্যানেজ করতে হবে আপনাকে। কাজে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই একটা শেডিউল তৈরি করে ফেলুন মনে-মনে। (breast feeding tips for working moms)
অফিসে বেরনোর আগে একবার ফিড করিয়ে নিন বাচ্চাকে। তা হলে পরবর্তী দু’-তিন ঘণ্টা নিশ্চিন্ত। তারপর একবার পাম্প করে ব্রেস্ট মিল্ক বের করে নিন। বিকেলে আরও একবার। এই দু’বার আপনাকে এই দুধ স্টোর করতে হবে। বাড়ি ফিরে শিশুকে আগে সেই দুধ খাইয়ে দিন। তারপর আবার সরাসরি ফিড করাবেন।
অবশ্য ব্যক্তিবিশেষে এই রুটিন পাল্টাতে পারে। সেক্ষেত্রে বুদ্ধি খাটিয়ে রুটিন তৈরি করে নিতে হবে আপনাকেই। ধীরে-ধীরে দুটো ফিড কিংবা দু’ বার পাম্প করার মধ্যে সময়টা একটু করে বাড়ান। তা হলে কিছুদিন পরেই অফিসে দুধ বের করার সময়টা কমে একবারে এসে দাঁড়াবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!