ধনতেরাস এখন বাঙালির ভারী পছন্দের উৎসব! সোনা-রুপো কেনার কোনও পার্টিকুলার দিন ছিল না আগে, ফলে ধনতেরাস পেয়ে বাঙালি মহিলারা ভারী খুশি হয়েছেন এবং পুরুষেরা ভারী দুঃখে আছেন। কিন্তু ধনতেরাস মানে আসলে কী, এর পৌরাণিক গল্পটাই বা কী, এদিন কি শুধু সোনা-রুপোই কেনা যায়, নাকি অন্য কিছুও, বা এদিন কী-কী কিনতে (buying things) নেই, তা আমাদের অনেকেরই ঠিকঠাক জানা নেই। আগামীকাল ধনতেরাস, তাই তার প্রাক্কালে চলুন এই সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনফো নিয়ে নেওয়া যাক।
ধনতেরাসের পৌরাণিক গল্প
দীপাবলী যাঁদের জন্য বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব, তাঁদের জন্য ধরতেরাস (Dhanteras) দিনটি খুবই শুভ। কারণ, এদিন থেকেই আসলে দিওয়ালি (Diwali) শুরু! এই দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যায় নানা গল্প শোনা যায়। যেমন, এদিন দেববৈদ্য ধন্বন্তরির আবির্ভাব দিবস, সমুদ্র মন্থনের সময় তিনি এক হাতে অমৃতভাণ্ড ও অন্য হাতে আয়ুর্বেদ নিয়ে প্রকট হয়েছিলেন। তাই এদিন তাঁর পুজো করা হয় অনেক জায়গায়। তিনি আমাদের সুস্থ রাখবেন ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দেবেন, এই আশায়। অন্যদিকে এদিন সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে এসেছিলেন দেবী লক্ষ্মীও। তিনি সম্পদের, প্রাচুর্যের দেবী, তাই এই দিনে তাঁর পুজোও করেন অনেকে।
তবে ধনতেরাসের পৌরাণিক গল্প (story) বলে যেটি সর্বাধিক প্রচলিত, সেটি অনেকটা বেহুলা-লখীন্দরের গল্পের মতো! রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের কুষ্ঠীতে সাপের কামড়ে মৃত্যু লেখা ছিল, তা-ও এই ত্রয়োদশীতে। হিমার পুত্রবধূ বুদ্ধি খাটিয়ে এদিন রাতে স্বামীকে ঘুমোতে দেননি। পরিবর্তে নিজের যত সোনা-রুপো-হিরেমানিকখচিত অলঙ্কার, তা জড়ো করেছিলেন তাঁদের ঘরে আর প্রদীপের আলোয় আলোকিত করে রেখেছিলেন ঘরটি। তারপর স্বামীর সঙ্গে গল্পে-গানে সারা রাত জেগে কাটিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে যমরাজ সাপের রূপে যখন ঘরে ঢুকতে যান, তখন গয়না-প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়! তারপর গল্প-গান শুনে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন একসময়, হিমার ছেলের প্রাণ আর নেওয়া হয় না! তাই এদিন মধ্যরাতে সোনা-রুপো কিংবা দামী ধাতু কেনেন অনেকে এবং ঘরের সব দরজায় প্রদীপ জ্বালিয়ে, সারা রাত জেগে থাকেন, যাতে যমরাজ চাইলেও কারও প্রাণ নিতে না পারেন!
ধনতেরাসে কী-কী কেনা যেতে পারে
ধনতেরাসে কী-কী কেনা যেতে পারে, বা বলা ভাল, কী-কী কিনলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি আসবে, তার একটা লম্বা লিস্ট আছে। সেটি এখানে আপনাদের সুবিধার্থে তুলে ধরলাম আমরা…
- রুপো অথবা পিতলের বাসন কিনুন এবং এই রাতে সেগুলি ঘরের পূর্ব কোণে রেখে দিন।
- নতুন ঝাঁটা কিনুন, কারণ এটি দারিদ্র্য সরিয়ে সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে সংসারে।
- যে-কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র, যেমন, নতুন ফ্রিজ, টিভি, মাইক্রোওয়েভ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি। এগুলি কিনে রাখতে হবে বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে।
- যাঁদের কোনও ব্যবসা আছে, তাঁরা সেই সংক্রান্ত কোনও বস্তু কিনতে পারেন। সেটির পুজো করে তারপর বাড়ির পশ্চিম দিকে রাখুন।
- ১১টি গোমতী চক্র কিনে সেগুলি হলুদ কাপড় দিয়ে মুড়ে নিন। তারপর আলমারির লকার কিংবা সিন্দুকে রেখে দিন। এগুলি সৌভাগ্য নিয়ে আসবে আপনার জীবনে।
- কিনতে পারেন মা লক্ষ্মীর ছবি দেওয়া সোনার কয়েনও। এদিন সেটির পুজো করে তারপর লকারে তুলে রাখুন।
- যে-কোনও ধাতুর তৈরি গয়না, প্রসাধনের জিনিসপত্র এবং স্বস্তিক চিহ্ণ কিনতে পারেন এদিন।
স্বস্তিক চিহ্ন কিনুন এখান থেকে
সেনকো গোল্ডের সোনার কয়েন কিনুন এখান থেকে
ধনতেরাসে কী-কী জিনিস ভুলক্রমেও কিনবেন না!
যদি ভেবে থাকেন যে, ধনতেরাসে যে-কোনও নতুন জিনিস কেনাটাই হচ্ছে শুভ, তা হলে কিন্তু একেবারেই ভুল ভাবছেন। কয়েকটি জিনিস এদিন একেবারেই কিনতে নেই। জেনে নিন সেগুলির কথা…
- লোহার কোনও জিনিস।
- স্টেনলেস স্টিলের কোনও জিনিস, কারণ এতেও লোহা থাকে!
- কালো কোনও বস্তু, সেটা কাপড় থেকে শুরু করে পর্দা, যা কিছু হতে পারে।
- কাচের জিনিস
- নকল সোনার গয়না
- তেল
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…