বিয়ের মরসুম শুরু হয়ে গেছে। আজ বন্ধুর বিয়ে তো কাল প্রতিবেশীর ছেলের বিয়ে। আবার দুদিন পরেই মাসতুতো ভাইয়ের শুভ পরিণয়। অফিস সামলে, সংসার সামলে এত বিয়েবাড়িতে উপস্থিত থাকা কি চারটিখানি কথা। আর শুধু সেজেগুজে মৌটুসি হয়ে বিয়েবাড়িতে চলে গেলেই তো হলনা আপনজনদের জন্য উপহারও কিনতে হবে। সেটার জন্যও যথেষ্ট সময়য় দরকার। (buying tips for budget friendly wedding gifts)
আপনি ভাবছেন এ আর এমন কি কাজ? কিছু একটা কিনলেই হল। উঁহু, ব্যাপারটা এত সহজ নয়।এই একটা কিছু কিনতে গিয়ে দেখবেন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। জিনিস পছন্দ হচ্ছে তো দামে ঠিক হচ্ছে না। আবার কখনও দাম ঠিকঠাক হলেও বস্তুটি আপনার মোটেও মনে ধরছে না। খড়ের উপর শাকের আঁটির মতো হাজার জনের মতামতও আছে। সেগুলোও একটু আধটু পাত্তা দিতে হয়। আর সব মিলিয়ে আপনার ল্যাজেগোবরে অবস্থা। তবে আমরা আছি যখন এত চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনাকে সঠিক উপহার কিনতে গাইড করব আমরা।
কখনও ভাববেন না যেটা দামী সেটাই সেরা উপহার। উপহার হল ভালোবাসার চিহ্ন। তার সত্যি বলতে কি কোনও প্রাইস ট্যাগ হয়না। তাই যখনই কিছু দিচ্ছেন এই হীনমন্যতায় ভুগবেন না যে আপনি দারুণ দামী কিছু দিতে পারলেন না। দামের কথা চিন্তা না করে এমন কিছু দিন যেটা সারা জীবন মনে রাখা যায়। যেমন ধরুন কাস্টমাইজ করা কাপ বা ছবি। (buying tips for budget friendly wedding gifts)
যে-কোনও জিনিস কেনার আগে তার দাম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকাটা জরুরি। ধরুন যে শাড়িটা আপনি দোকান থেকে কিনতে চাইছেন অনলাইনে তার দাম অনেক কম। সুতরাং সেখান থেকে কেনাই শ্রেয়।খুব কাছের কোনও আত্মীয় বা নিজের ভাই বোনের বিয়ে হলে সোনার গয়না দিতেই হয়। সেক্ষেত্রে সোনার দাম কম থাকাকালীন সেটা কিনে নেবেন। একই মাসে অনেকগুলো বিয়ে থাকলেও আপনাকে একটা বাজেট রাখতেই হবে। কাকে কি দিতে চান বা দেওয়া যেতে পারে তার একটা তালিকা করুন। এবার মোটামুটি একটা হিসেব কষে নিয়ে এগিয়ে যান।
মনে রাখবেন আপনার পছন্দের উপর ভিত্তি করে জিনিস কেনাটা কিন্তু বোকামি। আপনি যাকে উপহার দিচ্ছেন তার পছন্দ অপছন্দ যদি জানা থাকে তাহলে তার উপর ভিত্তি করে জিনিস কিনুন। যেমন ধরুন আপনি বই পড়তে মোটেও ভালোবাসেন না। অথচ আপনি যাকে উপহার দেবেন তিনি বইয়ের পোকা। তার পছন্দ অনুযায়ী ভালো কোনও বইয়ের সেট দেওয়া যেতেই পারে। (buying tips for budget friendly wedding gifts)
আপনি যদি জিনিস কেনাতে একেবারেই আনাড়ি হন বা হাতে যদি একদম সময় না থাকে তাহলে আপনার বাজেট অনুযায়ী কিছু টাকা নবদম্পতির হাতে তুলে দিন। যাতে তারা পরে কিছু কিনে নিতে পারে। অবশ্য সুন্দর খামে টাকা দেবেন যা দেখতে ভালো লাগে। একেবারে কড়কড়ে নগদ হাতে ধরে দিতে যদি খারাপ লাগে তাহলে কোনও জামা কাপড়ের দোকান বা গয়নার দোকানের গিফট ভাউচার দিয়ে দিন। এতে যে কেউ তার পছন্দের জিনিস কিনে নিতে পারবে।হাবিজাবি জিনিস দেওয়ার চেয়ে এ বরং অনেক ভালো।
যদি কোনও অফিস কর্মীর বিয়ে হয় যেখানে সবাই মিলে চাঁদা তুলে কিছু দেওয়া হচ্ছে সেখানে এমন কিছু কিনুন যেটা কাজে লাগে। হাজার হাজার টাকা দিয়ে এমন কিছু কিনলেন যেটা দেখতে সুন্দর হলেও কোনও কাজে এলনা তাতে কিন্তু টাকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বরং যার বিয়ে তার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে নিয়ে তবেই জিনিস কিনুন। বিয়ের পর তারা কোথায় মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছেন সেটার উপর ভিত্তি করেও কিছু কিনতে পারেন। যেমন পাহাড়ে গেলে ঠাণ্ডার জন্য দরকারি পোশাকের সেট দিতে পারেন ইত্যাদি।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!