সারাদিন কাজ করার পর, অক্লান্ত পরিশ্রমের পর একটু শান্তির ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু রাতে ঘুম না এলে সমস্যা। কিছুতেই রাতে ঘুম আসতে চায় না । কিংবা ঘুম এলেও তা বারবার ভেঙে যায়। ঘুম পাতলা হয়ে যায়। এটি একদিন বা দুইদিন কোনও কারণে হতেই পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরেই এমন চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া (overcome insomnia)। অনিদ্রার জন্য মূলত মানসিক চাপকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। জীবনশৈলীতে পরিবর্তন করলে অনিদ্রা কাটানো যেতে পারে।
এছাড়াও শুতে যাওয়ার আগে কয়েকটি খারাপ অভ্যাসের জন্যেও ঘুম আসতে চায় না (overcome insomnia) । অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। শুতে যাওয়ার আগে টিভি বা মোবাইল দেখার অভ্যেস করবেন না।
কিন্তু আপনার লাইফস্টাইলেও সাধারণ পরিবর্তন করলেই আপনি অনিদ্রা রোগ কাটিয়ে উঠতে (overcome insomnia) পারেন। কিন্তু তা একদম প্রথম স্তরেই। কয়েকদিন ঘুম আসায় সমস্যা হলেই লাইফস্টাইলে এই পরিবর্তন নিয়ে আসুন (overcome insomnia) । যদি তখনও সতর্ক না হন, তবে আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে অনিদ্রা রোগ। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।
প্রতিদিন মেডিটেশন করুন। মেডিটেশনের সাহায্যে আপনার স্নায়ু, শরীর এবং মন তিনটেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নিয়মিত ধ্যান করলে রাত্রে ঘুমনোর সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে। কারণ মেডিটেশন করলে দুশ্চিন্তা কমে। দুশ্চিন্তা ইনসমনিয়ার একটি কারণ সেটা ভুলে গেলে চলবে না।
অনিদ্রা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যোগব্যায়াম করতে পারেন। প্রতি রাতে খেয়ে ওঠার পর ৩০ মিনিট যোগাসন (overcome insomnia) করতে পারেন। কোনওরকম ওষুধের সাহায্য় ছাড়াই আপনি অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম এমনিই কমে গিয়েছে। তার মানে এই নয় যে আপনার মানসিক ক্লান্তি নেই। মানসিক ক্লান্তি হচ্ছে। কিন্তু সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম না থাকলে আপনার ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে। সারাদিনে একটি নির্দিষ্ট সময় বের করে নিন। সেই সময় ব্যায়াম করুন (overcome insomnia) । শারীরিক পরিশ্রমে আপনার সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। মস্তিষ্কেও অক্সিজেন পৌঁছাবে। ঘুম আসতে অসুবিধা হবে না।
ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করবেন। হতেই পারে আপনার ঘুম আসছে না। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় শুতে যান। যেমন ধরুন আপনি আজ রাতে ১১টায় ঘুমাতে গেলেন। আপনার ঘুম এল না। হয়তো অনেক পরে ঘুম এল। কিন্তু শরীরকেও অভ্যাস করান যে আপনি রাত ১১টাতেই প্রতিদিন শুতে যাবেন। তিন দিন হয়তো ঘুম আসতে দেরি হবে। চতুর্থ দিনে ঘুম আসতে বাধ্য। কারণ, শরীরের নিজস্ব ঘড়ি আছে। তাকে যেভাবে অভ্যাস করাবেন, সেই ঘড়িও সেভাবেই চলবে (overcome insomnia) ।
সেলেনিয়াম, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, ডি, বি৬, ৫এইচটিপি, ওমেগা থ্রি এবং মেলাটনিনের ঘাটতি হলে ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার ডায়েট এমনভাবে ঠিক করুন, যাতে এই উপাদানগুলি আপনার শরীর পায়। আপনার পেট ভাল আছে কি না তাও নির্ভর করে। পেট ভাল থাকলেই আপনার স্লিপ সাইকেল ঠিক থাকবে (overcome insomnia) ।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!