কম-বেশি আমাদের সবারই এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে অজান্তেই আমাদের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। এই ধরুন, কেউ টেনশনে পড়লেই নখ খায়। আবার কেউ লোকসমাজের তোয়াক্কা না করেই বাতকর্ম সারেন! অনেক যেখানে-সেখানে ঢেঁকুর তুলতেও লজ্জা পান না। তাই তো রুচিশীল বাঙালি সমাজ এতদিন এই অভ্য়াসগুলিকে ‘বদ’-এর কোটায় ফেলতেই পছন্দ করতেন। কিন্তু অবাক করার মতো ঘটনা হল, এই সব তথাকথিত বদ অভ্যাসগুলির কারণে আদতে শরীরের (health) উপকারই হয়। সেরকমই কিছু বদ অভ্যাসের সঙ্গে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি…
প্রতি সেকেন্ডে আমাদের শরীর ক্ষতিকর জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়াগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যখন বিফল হয়, তখনই নানা রোগ-ব্যাধি ঘাড়ে চেপে বসে। তবে সুখবর হল, শরীরের যে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবাণুদের মেরে ফেলতে সক্ষম হয়। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। নখ খাওয়ার সময় তাতে মজুত নানা ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করা মাত্র দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লেগে যায়। বিশেষ করে WBC-এর উৎপাদন নাকি এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, সেই সব জীবাণুর কারণে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। শুধু তাই নয়, ওই ধরনের আর কোনও ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকলে সেগুলিকেও মেরে ফেলে। অর্থাৎ এমন চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে শরীর নতুন-নতুন ব্যাকটেরিয়াগুলিকে চিনে ফেলার সুযোগ পায়। তাতে করে দেহের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে মিনিটে-মিনিটে নখ খাওয়া শুরু করে দেবেন না যেন। কারণ, এই অভ্যাসের (habits) মাত্রা ছাড়ানোর কারণে যতটা না উপকার হয়, তার চেয়ে অপকার হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে।
pixabay
পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরে একটুআধটু ঢেঁকুর ওঠা তো স্বাভাবিক! কিন্তু তাই বলে লোকসমাজে ঢেঁকুরের পর ঢেঁকুর তুলবেন, তা-ও আবার বিশ্রী শব্দ করে, নৈব নৈব চ! এবার থেকে কেউ এমন কথা বললে কানে তুলবেন না যেন! কারণ, ঢেঁকুর তুললে আদতে শরীরের উপকারই হয়। কীভাবে, তাই ভাবছেন? আসলে ঢেঁকুর তোলার সময় পাকস্থলীতে জমে থাকা গ্যাস বেরিয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পর পর কোনও ধরনের অস্বস্তি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না। তাই তো বিশেষজ্ঞরা ঢেঁকুর চেপে রাখতে মানা করেন। তবে বারে-বারে যদি ঢেঁকুর ওঠে, তা হলে একবার চিকিৎসকের দারস্ত না হয়ে উপায় নেই। কারণ, অনেক সময় acid reflux-এর মতো রোগের কারণেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
লোকসমাজে ঢেঁকুর তুলেও পার পেয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু বাতকর্ম? বাপ রে বাপ, এতে সম্মানহানি হবেই হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের কোনও প্রেশার এলেই রিলিজ করা উচিত। কারণ, তাতেই নাকি উপকার। আমাদের শরীর গড়ে সারা দিনে কম-বেশি চোদ্দো বার গ্যাস রিলিজ করে। রাতে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় বারতিনেেক। এই ভাবে গ্যাস বেরিয়ে যাওয়াই উচিত। কারণ, শরীরে তৈরি হওয়া carbon dioxide এবং methane গ্যাস বেরিয়ে না গেলে পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। এমনকী, পেট ফুলে যাওয়া বা পেট গুড়গুড় করার মতো সমস্যা হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই শরীরের কথা ভেবে এবার থেকে বাতকর্মে বাধা দেবেন না যেন! তবে চেষ্টা করুন, একটু আড়ালে সরে যেতে।
ছোটবেলায় প্রায়ই শুনতাম চুইংগাম খেলে নাকি দাঁত ক্ষয়ে যায়। কিন্তু বড় বয়সে এসে যা শুনলাম, তাতে তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। নানা স্টাডিতে নাকি দেখা গেছে সুগার ফ্রি চুইংগাম খেলে দাঁতের তো কোনও ক্ষতি হয়ই না, বরং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, স্ট্রেস কমে এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও নাকি দূরে পালায়। তাই বুঝতেই পারছেন, এতদিন যা সবার কাছে বদ অভ্যাস ছিল, তা যে আদতে শরীরের নানা উপকারে লাগে!
picture courtesy: youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!