বিশ্ব জুড়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কের একটাই নাম। আর তা হল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। আগামী বেশ কয়েকটা দিন বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, শপিং মলের মতো জায়গা। দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছেন।
মঙ্গলবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা, জমায়েত না করা বা অনুষ্ঠান বাতিল করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটাই যথেষ্ট নয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর হাত ধোয়া, অ্যালকোহলযুক্ত জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কারের পাশাপাশি সংক্রমণের উৎস খোঁজা এবং আইসোলেশন-এর ব্যবস্থা রাখাটাও সমান জরুরি।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি-জ্বরের উপসর্গ দেখে তাঁদের পরামর্শ মতো প্যারাসিটামল বা প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেকে কয়েক দিন ঘরবন্দি রাখাও জরুরি। সব মিলিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া যখন হাতের মুঠোয়, তখন করোনা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তিই ছড়াচ্ছে। কোনটা ঠিক, আর কোনটা ভুল মানুষ বুঝতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ কয়েকটি বিষয় আপনার জেনে রাখা জরুরি।
১) করোনা ভাইরাসের লক্ষণ?
সাধারণ ভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, শুকনো কাশি, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট এবং পেশিতে যন্ত্রণা হবে। আর তার সঙ্গে ক্লান্তও বোধ হবে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) আক্রান্ত হওয়ার কতদিনের মধ্যে রোগ ধরা পড়ে?
সাধারণ ভাবে চিকিৎসকদের মতে, মূলত পাঁচদিনের মধ্যেই এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়। তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এর অনেক পরেও লক্ষণ দেখা যেতে পারে। WHO বলছে, ইনকিউবেশনের সময় ১৪ দিন পর্যন্ত থাকে। যদিও কিছু গবেষক মনে করছেন, এটি ২৪ দিন পর্যন্তও হতে পারে।
৩) সেলফ আইসোলেশনের অর্থ কী?
সেলফ আইসোলেশন অর্থাৎ কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকা। এই সময়ে কোনও প্রয়োজনেই বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না।। কোনও রকম জনবহুল এলাকায় যাোয়া যাবে না। এমনকি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের থেকেও আলাদা হয়ে থাকতে হবে। বাড়িতে কোনও পোষ্য থাকলে দূরে রাখতে হবে তাকেও।
৪) মাস্ক পরে কি এই রোগ আটকানো সম্ভব?
চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের মতে, সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। যদিও হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। কিন্তু ট্রিপল লেয়ার মাস্ক পরা জরুরি। মাস্ক পরারও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মেনে চলতে হবে সেটাও। প্রতি ছয় ঘণ্টা অন্তর বা ভিজে গেলে মাস্ক বদলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমনকি মাস্ক খোলার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবহৃত মাস্ক নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার বিষয়েও সচেতন হতে হবে।
৫) করোনা ভাইরাসের উৎস কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর চিকিৎসকেরা অনুমান করছেন, এই ভাইরাসটির উৎস কোনও প্রাণী।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!