দেখাশুনা করেই বিয়ে হয়েছিল সৌনক-বর্ষার। প্রথম এক বছর বেশ ভাল কাটলেও ইদানীং যেন দু’জনের সম্পর্কে (Relationship) একটা আড়ষ্টতা রয়েছে। দূরত্ব (Distance) তৈরি হচ্ছে কারণ সৌনক অফিসে সারা ক্ষণ ব্যস্ত। সারা দিনে হয়তো এক বার ফোন। তা-ও ওই লাঞ্চ টাইমে। আর ফিরে তো সৌনক এতটাই ক্লান্ত থাকে যে, বিছানায় পড়তে না পড়তেই ঘুমের দেশে। উইকেন্ডেও কাজ। ফলে সুখ-দুঃখের কথা তো দূর! সাংসারিক কথাবার্তাই ওদের হয়ে ওঠে না। বর্ষা তাই একাকীত্বে ভোগে। প্রথমে ভেবেছিল, ওদের সন্তান এলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সৌনককে সেটা বলতেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এত তাড়াতাড়ি সেই দায়িত্ব নিতে পারবে না ও। সৌনককে সময় দেওয়ার কথা বলায় সে দিন তো যাচ্ছেতাই বলে অপমান করল। ফলে বর্ষা আর কোনও কথাই বলতে পারেনি। ও সোজা বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। ডিভোর্সের কথা ভাবনা-চিন্তা করেও ফেলেছিল। তবে ও দিকে সৌনকও চায়নি ও ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে কিন্তু অফিসের চাপে এতটাই ক্লান্ত ছিল যে, মাথার ঠিক রাখতে পারেনি। কিন্তু ডিভোর্সের কথা শুনে সৌনকও একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ঠিক এই সময় ওদের সম্পর্কের মুশকিল আসান করতে আসে বর্ষার বেস্ট ফ্রেন্ড। ও-ই ওদের বলে কাপল কাউন্সেলিংয়ের (Couple counselling) কথা। শেষে কাপল কাউন্সিলরের (Couple counsellor) কাছে গিয়ে সব সমস্যা থেকে রেহাই মেলে সৌনক-বর্ষার। এখন ওরা খুবই সুখে রয়েছে।
তবে সবাই হয়তো ওদের মতো ভাগ্যবান হয় না। তাই সম্পর্কের (Relationship) মাঝে দেওয়াল (Distance) উঠলেও কী ভাবে সেই অদৃশ্য দেওয়ালটা ভাঙা যায়, সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। যার ফলে সম্পর্কগুলো (Relationship) অচিরেই ভেঙে যায়। তাই আপনার আর আপনার সঙ্গীর (Partner) মাঝখানে তৈরি হওয়া দেওয়াল সবার আগে দরকার ভেঙে ফেলা দরকার। আসলে অনেক সময় আপনার আর আপনার সঙ্গীর (Partner) সম্পর্কে সমস্যা হলেও কোনও তৃতীয় ব্যক্তির সামনে সেটা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে অথবা খোলাখুলি বলতে দ্বিধা বোধ করেন। তবে এক বার যদি ওই দোলাচল থেকে বেরিয়ে কাপল কাউন্সিলরের (Counsellor) সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন, তা হলে সম্পর্কগুলো আর ভেঙে যাবে না। কখন যাবেন কাপল কাউন্সেলিংয়ের (Couple counselling) সময় এসে গিয়েছে!
হামেশাই ঝগড়া
আপনাদের মধ্যে কি কারণে-অকারণে ঝগড়া হচ্ছে। অকারণে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। সব সময় খিটিমিটি লেগে থাকে। কথা বন্ধ থাকছে অনেক দিন। তা হলে কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। কারণ আপনাদের মধ্যে কথা না থাকলে ভুল বোঝাবুঝিগুলো মেটাবেন কী করে! কাজেই সমস্যার সমাধানও হবে না। এই সময় যেতে পারেন কাপল কাউন্সেলিংয়ে (Couple counselling)।
সম্পর্ক ধরে রাখতে চাইলে
তবে হ্যাঁ, আপনি যদি আপনার সম্পর্কটা (Relationship) ধরে রাখতে চান অথবা টিকিয়ে রাখতে চান, তা হলেই যান কাপল কাউন্সেলিংয়ে। কারণ যদি আপনাদের সম্পর্কের সমস্যাটা আপনারা বুঝতে না-ই পারেন, তা হলে গিয়ে লাভ নেই। আর সম্পর্কের সমস্যাটা বোঝার পরেও যদি সম্পর্কটা আর টিকিয়ে রাখতে না চান, তা হলেও কাপল কাউন্সিলরের (Couple counsellor) কাছে গিয়ে লাভ নেই।
শারীরিক সম্পর্কের জটিলতা
আপনার ও আপনার সঙ্গীর শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলেও সম্পর্কের (Relationship) অনেক সময় অবনতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনারা হয়তো অন্য কারওর কাছে খোলাখুলি সে সব আলোচনা করে উঠতে পারবেন না। ফলে সমস্যার সমাধানও হবে না। তাই এ সব ক্ষেত্রে আপনার মুশকিল আসান হবেন কাপল কাউন্সিলর। আপনি যাঁর সামনে শারীরিক সম্পর্কের জটিলতার কথা বলতে পারবেন। আর তিনিই আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাই এ সব ক্ষেত্রে কাপল কাউন্সেলিংয়ে (Couple counselling) যাওয়াটা জরুরি!
সম্পর্কে আগের ভালবাসা ফিরে পেতে
অনেক সময়ই দেখা যায়, দু’জনেই প্রচণ্ড ব্যস্ত। বিবাহিত জীবন নিজের মতো চলছে। অথচ মানুষ দু’টোর মধ্যে সেই আগের টান-ভালবাসা উধাও! এই সমস্যার কথা বুঝেও কিছু করতে পারছেন না। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু এই সমস্যা মেটাতে কাপল কাউন্সেলরের (Couple counsellor) দ্বারস্থ হোন।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব, পেক্সেলস, পিক্সঅ্যাবে
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!