করোনার দৈনিক সংক্রমণ-এর গণ্ডি এক লাখ পার করেছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৩জন (স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী)। সুস্থের সংখ্যাও কম নয়। ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ হাজার ৯৫৯ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হোম আইসোলেশনে থাকার বিশেষ কিছু নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের পরিচিত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে সাবধানে থাকতে হবে আমাদের। করোনা আক্রান্ত হলে কী কী প্রয়োজনীয় সামগ্রী (covid 19 essential things) আমাদের বাড়িতে রাখতে হবে জেনে নিন। সেসব বাড়িতে আগে থেকেই মজুত রাখুন, যাতে কেউ সংক্রমিত হলে বাড়িতে তাঁর সঠিকভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হয় (covid 19 essential things)।
আমার করোনা সংক্রমণ হলেও উপসর্গ খুবই কম ছিল। দুই দিন জ্বর থাকার পর তাঁর শরীরে আর কোনও উপসর্গই ছিল না। সুস্থ অবস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করছিলাম। উপসর্গ কম থাকায় আমি পালস অক্সিমিটারও কিনিনি। ভেবেছিলাম, সুস্থ থাকব। কিন্তু সংক্রমণের সপ্তমদিনে আমার সকাল থেকে শ্বাসের সমস্যা শুরু হয় (covid 19 essential things) । দুপুর গড়াতে একটি অক্সিমিটার জোগাড় করে দেখা যায়, আমার স্যাচুরেশন ৮০, পালস ৫৮। প্রোনিং করে সুস্থ হই। এই পরিস্থিতিতে কার কখন অক্সিজেনের মাত্রা হেরফের হবে বোঝা যাচ্ছে না। তাই প্রথম থেকেই বাড়িতে অক্সিমিটার কিনে রাখুন। প্রতিদিন অক্সিজেনের পরিমাপ করবেন।
আরও পড়ুন – ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন দীর্ঘদিন, চোখের প্রতিও যত্নশীল হন
দিনলিপির মতো মেনে চলবেন এই ডায়েরি। প্রতি ঘণ্টায় আপনার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা, পালস এবং প্রয়োজনে রক্তচাপ লিখে রাখবেন। প্রতিদিন আপনার শরীরের তাপমাত্রাও সেই ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে।
করোনা সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ জ্বর। আবার অন্যান্য কারণেও জ্বর হতে পারে। আপনি ঘরে আগে থেকেই ডিজিটাল থার্মোমিটারের ব্যবস্থা করে রাখুন। প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করবেন।
এই মাস্ক একসঙ্গে ১০টি অন্তত কিনে রাখুন। বাড়ির কেউ সংক্রমিত হলে তাঁর প্রতিদিন একটি করে মাস্ক লাগবেই। একটি মাস্ক একের বেশি দুইবার ব্যবহার করা যাবে না। সেই মাস্ক ফেলেও দিতে হবে। তাই প্রথম থেকেই বাড়িতে এই মাস্ক কিনে রাখবেন। প্রয়োজনে ব্যবহার করবেন।
যিনি সংক্রমিত হবেন, তাঁকে আপনি এই ডিসপোসেবল থালা, বাটিতে খেতে দিতে পারেন। গ্লাসে জল দিতে পারেন। খাওয়ার পর নির্দিষ্ট বিনে ফেলতে হবে তাঁর খাবার থালা। এতে বারবার থালা ধোওয়ার ও আলাদা করার ঝামেলা থাকবে না।
সংক্রমিত ব্যক্তিকে এই ধরনের খাবার (covid 19 essential things) দিতে পারেন। এতে রোগীর শারীরিক শক্তি বাড়বে। কারণ, এই সময়ে এমনিই শরীরে খুবই দুর্বলতা থাকে।
আরও পড়ুন – কোভিড মুক্ত হওয়ার পরেও থেকে যাচ্ছে ক্লান্তিভাব? কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন জেনে নিন
যিনি করোনা আক্রান্ত রোগীর দেখাশোনা করবেন, তিনি এই ডিসপোসেবল গ্লভস ব্যবহার করবেন। গ্লভস পরার এবং খোলার পর হাত স্যানিটাইজ করে নেবেন অবশ্যই।
প্রত্যেকের বাড়িতেই স্য়ানিটাইজার রয়েছে। তবে এই একটি স্যানিটাইজার কিনে রাখবেন আলাদা করে। যদি কোনও ব্যক্তি সংক্রমিত হন, সেই মুহূর্তে যাতে তাঁকে স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য দিতে পারেন, তার জন্যই এই স্যানিটাইজার আপনাকে কিনে রাখতে হবে।
কোনও ব্যক্তির মধ্যে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই প্রথমে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ (covid 19 essential things) করবেন। চিকিৎসকরা প্রথম পরামর্শেই কোভিড টেস্ট করতে বলছেন এবং জ্বর এলে প্যারাসিটামল খেতে বলছেন। তাই ঘরে প্যারাসিটামল মজুত রাখুন। যাতে আপনার বাড়ির কেউ সংক্রমিত হলে তাঁকে প্যারাসিটামল দিতে পারেন কিংবা কাউকে প্রয়োজনে আপনি প্যারাসিটামল দিয়ে সাহায্যও করতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!