প্রতিদিন লাফিয়ে-লাফিয়ে ওজন বাড়ছে? এদিকে জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করার সময় নেই কিংবা ডায়েটিংয়ের ইচ্ছে নেই? তা হলে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে খেজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, উপকার মিলবে হাতে-নাতে! কারণ, খেজুরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, প্রোটিন এবং উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি এবং নিয়াসিন, যা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, হাড়ের ক্ষমতা বাড়তে, অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূর রাখতে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে এবং ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল, খেজুরে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে?
১. ফাইবার
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার, যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খিদে কমে যাওয়ার কারণে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার ইচ্ছেও আর থাকে না। আর কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরির প্রবেশ আটকে যায়। তাই ওজন বাড়ার (Weight) আশঙ্কাও আর থাকে না। তবে ওজন কমাতে ফাইবার আর একভাবেও সাহায্য করে থাকে। শরীরের ফাইবারের মাত্রা যত বাড়তে থাকে, তত বিশেষ কিছু ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদনও বেড়ে যায়, যে কারণে মেটাবলিজম রেটের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে শরীরের ইতি-উতি জমে থাকা মেদ ঝরে যেতে সময় লাগে না।
২. আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড
শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়তে থাকলে ডায়াবেটিস এবং নানা ধরনের লিভারের রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই ওজনও বাড়তে শুরু করে। তাই শরীরের ভিতরে কোনও ভাবেই যাতে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সেই কাজটা করবেন কীভাবে জানা আছে কি? নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। তাতে শরীরের ভিতরে Unsaturated Fatty Acid-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করবে, যা প্রদাহের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে দেহের ওজনকে যেমন বেঁধে রাখবে, তেমনি একাধিক জটিল রোগকেও ধারে কাছে ঘেঁষতে দেবে না।
৩. প্রোটিন
ফাইবার যেমন বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, তেমনই প্রোটিনও একই কাজ করে থাকে। তাই তো ব্রেকফাস্টে খানচারেক খেজুর (Dates) খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে অনেকক্ষণ খিদে পায় না। ফলে কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে শরীরে বেশি মাত্রায় ক্যালরির প্রবেশ ঘটার আশঙ্কাও আর থাকে না। ফলে অল্প সময়েই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে মিশে থাকা টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীরে থেকে বের করে দেয়, সেই সঙ্গে প্রদাহের মাত্রাও কমায়। ফলে নানা রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। যে কারণে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ওজন কমাতে দিনে কটা করে খেজুর খাওয়া উচিত?
খেজুর খেয়ে যদি ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকে, তা হলে দিনে খানপাঁচেকের বেশি খাবেন না যেন! কারণ, বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে ওজন কিন্তু কমবে না, বরং বেড়ে যাবে। তাই অল্পতে সন্তুষ্ট থাকাটাই নিরাপদের।
আরও পড়ুন –
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!