‘ছপাক’-এর শুটিংয়ের শেষ দিনে প্রস্থেটিক মেকআপ জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন দীপিকা! কিন্তু কেন?
চার ঘণ্টা। হ্যাঁ, চার ঘণ্টা লাগত মেকআপ করতে। চার ঘণ্টা লাগত দীপিকা (Deepika) পাড়ুকোন থেকে মালতী হয়ে উঠতে।এতদিনে আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, মেঘনা গুলজার পরিচালিত ‘ছপাক’ (chhapaak)-এ অভিনয় করেছেন দীপিকা। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের ঘটনাকেই পর্দায় দেখাবেন মেঘনা। দীপিকা রয়েছেন মুখ্য চরিত্রে, নাম মালতী। প্রস্থেটিক (prosthetic) মেকআপের সাহায্যে দীপিকা থেকে মালতী হয়ে উঠতে প্রতিদিন চার ঘণ্টা সময় লাগত নায়িকার। কঠিন পরিশ্রম করে শুটিং করেছে গোটা ইউনিট। কিন্তু শুটিংয়ের শেষদিনে ওই প্রস্থেটিক মেকআপটি নাকি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা স্বয়ং! কিন্তু কেন?
দিল্লিতেই ছবির বেশিরভাগ অংশের শুটিং হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুটিংয়ের কিছু ছবি এবং ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। দীপিকার লুক যখন প্রথম প্রকাশ্যে আসে তা দেখে চমকে গিয়েছিলেন সকলে। চেনাই যায়নি তাঁকে। দীপিকার কথায়, “শুটিংয়ের শেষ দিন একটা সাইডে গিয়ে অ্যালকোহল ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম প্রস্থেটিক মেকআপ।” কিন্তু কেন? দীপিকা যে চরিত্রই করেন, বরাবরই তার সঙ্গে একটা অ্যাটাচমেন্ট তৈরি হয় তাঁর। কিন্তু ‘ছপাক’ ব্যতিক্রম। এই ছবির চরিত্রের সঙ্গে শুধু অ্যাটাচমেন্ট নয়, ইমোশনাল কানেকশন নাকি প্রথম থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। আবার শুটিংয়ে গিয়েও কেঁদে ফেলতেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, চরিত্রের ওই যন্ত্রণা ভুলতে চেয়েছিলেন তিনি। সে কারণেই শুটিংয়ের পর জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন প্রস্থেটিক মেকআপ।
দীপিকা আগেই বলেছিলেন, “মেঘনার সঙ্গে পাঁচ মিনিট এটা নিয়ে কথা বলার পরই মনে হয়েছিল, ছবিটা আমি করব। কিন্তু এই চরিত্রে এত আবেগ আছে যে, আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছি।” দীপিকার ফার্স্ট লুক দেখে লক্ষ্মী শেয়ার করেছিলেন, “দীপিকার ফার্স্ট লুক ভাল লেগেছে আমার। সবচেয়ে ভাল লাগছে একজন সেলিব্রিটি এই লুকে সামনে এলেন। মেকআপে পুরো মুখটা বদলে যায়। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও সৌন্দর্যটা খোঁজার চেষ্টা করি আমি।”
দীপিকার প্রস্থেটিক মেকআপ করছেন ক্লোভার উটন। যিনি এর আগে ‘সঞ্জু’তে রণবীর কপূরের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। ‘পরী’তে অনুষ্কা শর্মার মেকআপও করেছিলেন ক্লোভার। দীপিকার মেকআপে ক্লোভারকে সাহায্য করছেন মুম্বইয়ের শ্রীকান্ত। চিত্রনাট্য পড়ার পরেই মেঘনার কাছ থেকে দীপিকা জানতে চেয়েছিলেন, কী করে ছবিতে নিজের চরিত্রকে তিনি আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেন। একজন অ্যাসিড ভিক্টিমের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প পর্দায় তুলে ধরা সহজ কথা নয়। কোনও রেফারেন্স পয়েন্টও নেই দীপিকার কাছে। মেঘনা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সাধারণের সঙ্গে বেশি করে মিশতে, তাঁদের ঘিরে থাকতে। ভুলে যেতে যে, তিনি স্টার! সেই নির্দেশ মেনে হোমওয়ার্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন দীপিকা। সব কিছু ঠিক থাকলে এই ছবি মুক্তি পাবে ২০২০-এর ১০ জানুয়ারি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…