আপনি কত বড় সেলিব্রিটি তা বুঝব ক্যামনে? কী বললেন? আপনার হাতে পরপর প্রোজেক্ট? আপনি প্রতি সপ্তাহে বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকান? আজ টলিউড তো কাল বলিউড, পরশু হলিউডে যাওয়ার পথে এক পা বাড়িয়ে রেখেছেন? আপনার ডেট পাওয়া মহা ঝক্কির ব্যাপার? কোনটা? কোনটা দেখে আপনার দর মাপব বলতে পারেন?
এগুলো যদি ক্রাইটেরিয়া হয়, তা হলে শিওর শট আপনি পিছিয়ে আছেন। আজ্ঞে, হ্যাঁ, যুগের সঙ্গে এখনও তাল মিলিয়ে উঠতে পারেননি। জেন ওয়াইয়ের কাছে সেলিব্রিটির ডেসক্রিপশন জানেন? ওই যে, মোক্ষম বস্তুটি আছে না…নাম যার সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। শয়নে, স্বপনে, জাগরণে এখন যেটা বাঁচিয়ে রেখেছে এই জেনারেশনকে, সেখানে আপনার পারফরম্যান্সই আসলে আপনার হয়ে কথা কইবে। আপনার কত ফলোয়ার, আপনার ছবিতে কত লাইক পড়ে, সেটাই আসল বিচার্য। সে সব যত বেশির দিকে, আপনি তত বড় স্টার! বুঝলেন?
তা আপনার ফলোয়ার দেখে না হয়, ইমপ্রেসড হওয়া গেল। কিন্তু সেসব ফলোয়ারের যে সত্যিই অস্তিত্ব আছে, তা বুঝব কী করে? না, মানে ব্যাপারটা এমন নয় তো ভুয়ো ফলোয়ারের উপর ভিত্তি করেই আপনি কলার তুলে ঘুরছেন? আসলে আপনার ফলোয়ারদের ফেক প্রোফাইল তৈরি করেছেন আপনি নিজেই? এমনটা সত্যি নয় তো?
এমনটাই নাকি সত্যি! অন্তত দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone), প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার (Priyanka Chopra) মতো বেশ কিছু বলি সেলেবের ক্ষেত্রে! বিরাট সংখ্যায় এসব সেলেবদের ফেক ফলোয়ারের (Fake Follower) কথা জানা গিয়েছে। অন্তত এমনটাই ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট আইসিএমপি-র (ICMP) একটি স্টাডিতে এই দাবি করা হয়েছে। উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য! তার সবটা জানলে নাকি যে তারকাকে অ্যাদ্দিন চোখে হারাতেন, তাঁকে মানুষ হিসেবে আর শ্রদ্ধা করতে পারবেন না! তা কী সেই বিস্ফোরক তথ্য?
জানা গিয়েছে, ভুয়ো ফলোয়ারের লিস্টে ভারতীয় স্টারদের মধ্যে নাকি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ওই ওয়েবসাইটের অডিটে প্রকাশ, মার্কিন কমেডিয়ান এলেন ডিজেনেরিস বিশ্বের সেলেব তালিকায় ভুয়ো ফলোয়ারের বিচারে নাকি পয়লা নম্বরে রয়েছেন! দীপিকার নাকি ভুয়ো ফলোয়ার তাঁর মোট ফলোয়ারদের ৪৫ শতাংশ! প্রিয়ঙ্কার ক্ষেত্রে হিসেবটা ৪৩ শতাংশের! ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলিও (Virat Kohli) কিছু কম যান না। তাঁর ভুয়ো ভক্ত নাকি প্রিয়ঙ্কার সমান। অর্থাৎ সেই ৪৩ শতাংশ।
এবার যদি এ প্রশ্ন করেন, এ তথ্য আদৌ কতটা সত্যি, তা হলে উত্তর দেওয়া সত্যিই মুশকিল। কারণ, এই সার্ভে করেছে একটি মার্কিন ওয়েবসাইট। আর তা ছাড়া ফেক ফলোয়ার তাঁদের আদৌ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তারকারা। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায়, বেশ কিছু ফ্যান পেজ কন্ট্রোল করেন সংশ্লিষ্ট তারকার সোশ্যাল টিম। অর্থাৎ তারকার সোশ্যাল মেড মেনটেনের দায়িত্ব থাকে পেশাদার একটি দলের উপর। আর সেই দল বেশ কিছু সময় ওই তারকার কিছু ভুয়ো ফ্যানপেজ তৈরি করে। সেই পেজ থেকে নাকি লাইক, শেয়ার বা কমেন্টও করেন ওই টিম মেম্বাররাই। এতে ওই তারকার সোশ্যাল পুল কিছুটা বাড়ে! আবার সোশ্যল ওয়ালে বেশ কিছু ট্রিকস ফলো করে ফ্রি-লাইক পাওয়া যায়। কিছু অ্যাপ আছে, যেখান থেকে নাকি সাধারণ মানুষও বাড়তি লাইক, ফলোয়ার পেতে পারেন। সেই পথও বেছে নেন সেলেবরা। আবার অনেক ক্ষেত্রে তারকারা নিজেও হ্যান্ডল করেন সোশ্যাল পেজ। কখনও ভুয়ো ফ্যান পেজের খবর জানিয়ে দেন ফলাও করে। তবে দীপিকার, প্রিয়ঙ্কা বা বিরাটের ক্ষেত্রে কোনটা সত্যি, তা দেব না জনান্তি, কুতো মনুষ্যা!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!