কয়েক মাস আগে কেনা জামা টাইট হচ্ছে? এ দিকে সারা দিন অফিস-বাড়ি, দৌড়াদৌড়ি। বাড়ি ফিরে একটু যে শরীরচর্চা করবেন, সেই ইচ্ছেটাও করে না। আর উইকেন্ডে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। ল্যাদ খেয়েই কাটিয়ে দেন। এ ভাবে জিমে আর যাওয়া হচ্ছে না। আবার অনেকেই আজ যাচ্ছি, কাল যাব করে কাটিয়ে দেন। জিম বা ডায়েট শুধুমাত্র নিউ ইয়ার রেজোলিউশন পর্যন্তই আটকে থাকে। না করছেন ডায়েট আর না যাচ্ছেন জিমে! তবে জিমে না গিয়ে, ডায়েট না করে চটজলদি ওজন কমিয়ে শরীরকে সুস্থ (fit) রাখার একটা রাস্তা আছে। সেটা কী?
ডিটক্স ওয়াটার (detox water)! আপনি ভাবছেন সে আবার কী? আসুন আগে জেনে নিই ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) ব্যাপারে। ডিটক্স ওয়াটার (detox water) হল fruit infused water। একটি বড় মুখওয়ালা কাচের জার বা বোতল নিন। এ বার খোসা না ছাড়িয়ে আপনার পছন্দের রসালো কিছু ফল (fruit) (মরসুমি ফল হলে ভাল) টুকরো টুকরো করে নিন। তার পর জারটি জল দিয়ে ভর্তি করে কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। গোটা ফল (fruit) দিয়ে লাভ নেই। তা হলে ফলের রস আর ফাইবার জলের সঙ্গে মিশবে না। ভাল গন্ধ আনার জন্য পুদিনা পাতা (mint leaves) দিতে পারেন। এক দিন বানিয়ে রাখলে দু’-তিন দিন আরামসে চলে যাবে।
আর যাঁরা ফল (fruit) খেতে পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য এটা দারুণ। আবার সময়ের অভাবে অনেকে গোটা ফল চিবিয়ে খাওয়ার সময় পান না, তাঁদের জন্যও এটা পারফেক্ট। তা ছাড়াও সকলেই এই ডিটক্স ওয়াটারে (detox water) চুমুক দিতেই পারেন। কারণ ডিটক্স ওয়াটার (detox water) যে হেতু ফল দিয়েই তৈরি, তার জন্য ফলের পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে যাবে।
ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) পুষ্টিগুণ আর উপকারিতা প্রচুর। আপনার শরীরে ভিটামিন আর মিনারেলসের জোগান দেয় এটা। আর মেদ কমাতে তো এর জুড়ি মেলা ভার। আর যদি সঙ্গে হালকা এক্সারসাইজও করেন, তা হলে আরও অতিরিক্ত মেদ (loose weight) অনায়াসে ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থ (toxic) বার করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ ঝরঝরে রাখে। কনস্টিপেশনেরও ভাল ওষুধ এটা। আর ত্বককে সুস্থ সতেজ রাখতেও জরুরি ডিটক্স ওয়াটার (detox water)। গরমকালে শরীরকে সুস্থ রাখতে তো আরও ভাল। প্যাকেজড fruit juice খাওয়ার থেকে এটা খাওয়া অনেক ভাল।
এই বিষয়টা আমিও জানতাম না, আমার এক বন্ধু আমায় বলেছিল। মাঝখানে আমার ওজন ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। অফিস-বাড়ি সামলে অত সময়ও পেতাম না। এক দিন ফেসবুকে আমার ডিপি দেখে আমার এক ছোটবেলার বন্ধু জানতে চাইল, আচমকা এত মোটা হলাম কী করে। তখনই ওকে সব বললাম। আর ওজন কমানোর জন্য যে জিমে ভর্তি হব বা এক্সারসাইজ করব, তার সময়ই নেই। আর ও তো জানেই যে, ছোটবেলা থেকে ফল খেতে আমি একেবারেই ভালবাসি না। তবে বিরিয়ানি, নুডলস, আইসক্রিম- এ সবে আমার না নেই। তাই তখন ও-ই বলল ফাস্টফুড না খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে। আর সন্ধান দিল ডিটক্স ওয়াটারের (detox water)। রোগা হওয়ার এমন দাওয়াই ছাড়া যায় নাকি? আমিও দিব্যি গুছিয়ে বসে লিখে নিলাম ওর দেওয়া ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) সব ক’টা রেসিপি। যা এ বার শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে। আর ও হ্যাঁ, যেটা বলতে ভুলে যাচ্ছি, সেটা হল এক মাস ডিটক্স ওয়াটার (detox water) খাওয়ার পরে আমি সত্যিই ফল পেয়েছি। তাই আপনারাও ট্রাই করে দেখুন। মেদ ঝরিয়ে (loose weight) হয়ে উঠুন ফিট অ্যান্ড ফাইন (fit)!
অবশ্য তার আগে জেনে নিন, ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) কিছু উপকারিতাও। কী কী গুণ আছে এই ড্রিঙ্কের?
১। এর প্রাথমিক কাজ হল আপনার শরীরের যা কিছু বিষাক্ত, সব কিছুকে শরীরের বাইরে বার করে শরীরকে সুস্থ (fit) রাখা।
২। ওজন কমাতে সাহায্য করে ডিটক্স ওয়াটার (detox water)।
৩। শরীরের ভিতরের বিষাক্ত পদার্থ (toxic) বার করে দিতে সাহায্য করে।
৪। শরীরের ph ভারসাম্য রক্ষা করে।
৫। হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৬। মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৭। ইমিউনিটি (immunity) বাড়ায়।
৮। এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর (loose weight) জন্য যেমন বেশি করে জল খান, সে রকম ভাবেই ডিটক্স ওয়াটার (detox water) খেলেও আপনার ওজন কমবে। জল আপনার মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে দেয়, ফলে আপনি খুব সহজেই ক্যালোরি ঝরাতে পারবেন।
হজমশক্তি বাড়াতে
হজমের সমস্যা, পেট ফোলা এ সব সমস্যা নেই, এমন খুব কম লোকই আছেন। ডিটক্স ওয়াটার (detox water) হজমশক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যও (constipation) দূর করে।
ইমিউনিটি বাড়াতে
ফল আর শাকসবজি খেলে এমনিতেই ইমিউনিটি (immunity) বাড়ে। ফলে ডিটক্স ওয়াটার (detox water) খেলেও ইমিউনিটি (immunity) বাড়বে।
কিডনি সুস্থ রাখতে
ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন মাঝেমধ্যেই দেখা দেয়। সেই কষ্ট কমাতে ডিটক্স ওয়াটার (detox water) পান করুন। এটা ছাড়াও কিডনির রোগও দূরে রাখে এই পানীয়। সব থেকে বড় কথা কিডনি থেকে দূষিত-বিষাক্ত পদার্থ বার করে দিয়ে কিডনিকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ডিটক্স ওয়াটার (detox water)।
লিভার পরিষ্কার রাখে
ভুলভাল খাদ্যাভ্যাস, তেলমশলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া অথবা অত্যধিক মদ্যপানে আপনার লিভারে চাপ পড়ে। লিভারের সমস্ত দূষিত পদার্থও দূর করে লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ডিটক্স ওয়াটার (detox water)।
ত্বকের সৌন্দর্য
আমাদের স্কিনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ আমরা সব সময় মেকআপ করে বা স্কিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে স্কিনের খুঁত ঢাকার চেষ্টা করি। কিন্তু সেটা না করে ডিটক্স ওয়াটার খেতে পারেন। কারণ ডিটক্স ওয়াটার আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে সুন্দর আর সতেজ করে।
তবে অনেকেই ভাবছেন, ডিটক্স ওয়াটার বানানো খুবই কঠিন কাজ। তা কিন্তু একেবারেই নয়। এর জন্য লাগবে কিছু ফল (fruit) আর শাকসবজি।
শসা, লেবু, পুদিনা
স্পেশ্যাল এই ডিটক্স ওয়াটার (detox water) আপনার মেদ ঝরাবে অনায়াসেই (loose weight)। এর জন্য লাগবে-
১টা বড় খোসাসুদ্ধ শসা
১টা কমলালেবু
১টা বড় মাপের লেবু
কয়েকটা পুদিনা পাতা
শসা চাকা চাকা করে কেটে নিন। কমলালেবু আর লেবুও একই ভাবে কেটে নিন। কোনওটারই খোসা ফেলবেন না। এ বার পুদিনা পাতা একটু কুচি কুচি করে নিতে হবে। এতে একটা ভাল স্বাদ আসবে। কাচের জারের মধ্যে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে দিন। আর তার মধ্যে ১ লিটার জল দিন। এ বার ওই জারটা ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। তার পরে জল খাবেন।
স্ট্রবেরি-আনারস
এই ডিটক্স ওয়াটার আপনাকে স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেবে। এর জন্য লাগবে-
৫টা স্ট্রবেরি
আধ কাপ আনারস
১-২ চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার
৪-৫টা মাঝারি মাপের তুলসি পাতা
আধ কাপ বরফ
একটি জারে প্রত্যেকটা উপকরণ নিয়ে তার মধ্যে নিয়ে নিন। এ বার তাতে জল দিয়ে জার ভর্তি করে একটু নেড়েচেড়ে নিন। সেটা ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে তার পর খান।
তরমুজ-পুদিনা-লেবু
গরম কালে ডিটক্স ওয়াটারের এই রেসিপি আপনাকে তরতাজা রাখবে। এর জন্য লাগবে-
১ কাপ তরমুজ
১০-১২টা পুদিনা পাতা
১টা লেবুর রস
একটা জারে স্লাইস করা তরমুজ, পুদিনা পাতা আর লেবুর রস দিয়ে তার মধ্যে আধ কাপ মতো বরফ দিন। তার পরে খানিকটা ফিল্টার করা জল দিয়ে রাখুন। আর নেড়েচেড়ে জারটিকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা রাখতে হবে। তার পরে খেতে পারেন।
স্ট্রবেরি-তুলসি
স্ট্রবেরিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, পটাশিয়াম আর ভিটামিন-সি। আর তুলসি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি আর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল। এর জন্য লাগবে-
১০টা তাজা স্ট্রবেরি
২ টুকরো কাটা লেবু
আধখানা লেবুর রস
একমুঠো তুলসি পাতা
এ বার একটা জারে সব উপকরণ নিয়ে নিন। আর তার মধ্যে ফিল্টার করা জল দিয়ে ভরে নিন। একটা কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে নিয়ে জারটিকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। এতে সব উপকরণ জলের সঙ্গে মিশে যাবে। তার পর সার্ভ করুন।
আদা-পুদিনা
আদা তো গলা ব্যথা আর পেট খারাপের দারুণ টোটকা। ফলে আদা পুদিনা দিয়ে তৈরি এই ডিটক্স ওয়াটার আপনাকে পেটের সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। এর জন্য লাগবে-
একটা বড় শসা পাতলা পাতলা করে কাটা
২ ইঞ্চি তাজা খোসা ছাড়ানো আদা
২টো লেবুর টুকরো
১০-১২টা তাজা পুদিনা পাতা
এক চিমটে হিমালয়ান সল্ট
অল্প পিপারমেন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল
প্রত্যেকটা উপকরণ একটা জারে নিয়ে ফিল্টার করা জল দিয়ে জারটিকে ভরে নিন। একটি কাঠের চামচ দিয়ে সব উপকরণ নেড়েচেড়়ে জলের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ১২ ঘণ্টা পরে খাবেন।
শসা, লেবু আর তুলসি
১০টা শসার স্লাইস
১টা লেবুর স্লাইস
৩টে তুলসি পাতা
একটি গ্লাসে বা জারে সব ক’টা উপকরণ ভরে নিন। এ বার তার মধ্যে ফিল্টার করা জল ভরে নিন। এ বার ঢাকা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
আম-আনারস-লেবু
আনারসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এনজাইম আর আম আপনার হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। পেটের ফোলাভাব কমাতে এটা দারুণ। এই ডিটক্স ওয়াটার বানাতে লাগবে-
কিউব করে কাটা আম-আনারস
চাকা চাকা করে কাটা লেবু
একটা জারের ১/৩ অংশ কিউব করে কাটা আম আর আনারসে ভরে ফেলুন। এ বার লেবুর স্লাইসও দিয়ে দিন। এ বার বাকি অংশ জল দিয়ে ভরে ফেলুন। এ বার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন যাতে সব উপকরণ জলের সঙ্গে মিশে যায়।
ন্যাসপাতি, আদা লাইমওয়াটার
২টো স্লাইস ন্যাসপাতি ছোট ছোট করে কাটা।
১টা স্লাইস লেবু
১/৪ ইঞ্চি পাতলা আদার কুচি
একটি জারে সব ক’টা জিনিস দিয়ে তার মধ্যে জল দিন। এ বার ফ্রিজে ১২-২৪ ঘণ্টা ধরে রেখে দিন। তার পর খাবেন। সব সময় মনে রাখবেন, পাকা ন্যাসপাতি ভুলেও দেবেন না। কারণ পাকা ন্যাসপাতি জলে দিলে নরম হয়ে যাবে।
অরেঞ্জ-মিন্ট ওয়াটার
২টো স্লাইস কমলালেবু
২টো পুদিনা পাতা
কমলালেবুর স্লাইস আর পুদিনা পাতা একটা জারে ভরে তার মধ্যে জল দিয়ে ১২-২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। তার পরে খেতে পারেন।
আপেল, মৌরি, লেমন ওয়াটার
আপেলের স্লাইস
মৌরি গাছের সাদা অংশ
একটি জারে প্রত্যেকটা উপাদান নিয়ে নিন। তার মধ্যে ফিল্টার করা জল ভরুন। এ বার লেবুর রস দিয়ে নিন। খাওয়ার আগে ১২-২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
ব্ল্যাকবেরি-পুদিনা
৮-১০টা ব্ল্যাকবেরি
৩টে পুদিনা পাতা
একটা গ্লাসে এই ব্ল্যাকবেরি আর পুদিনা পাতা নিয়ে তার মধ্যে ফিল্টার করা জল দিন। গ্লাসটা ভরে ঢাকা দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন ১২-২৪ ঘণ্টা।
আপেল-দারচিনি
পাতলা পাতলা করে কাটা কিছু আপেলের স্লাইস
দারচিনি গুঁড়ো
এ বার জারে জল নিয়ে আপেলের স্লাইস দিন। তার সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। ১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে পান করুন।
টিপস
১। ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) ফল (fruit) বা শাক-সবজির পরিমাণ আপনার পছন্দ অনুযায়ী দেবেন। যদি আপনি শসার থেকে লেবু পছন্দ করে, তা হলে শসা অল্প দিয়ে লেবুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন। মানে সবটাই আপনার পছন্দের স্বাদ অনুযায়ী।
২। ডিটক্স ওয়াটার (detox water) তৈরি করার জন্য প্লাস্টিকের জার বা পাত্র এড়িয়ে চলুন। কাচের জার বা পাত্রে ডিটক্স ওয়াটার (detox water) বানানোটা নিরাপদ।
৩। ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) মধ্যে থাকা ফল (fruit) ও শাক-সবজি মেশানোর জন্য কাঠের চামচ ব্যবহার করুন।
৪। মনে রাখবেন, এক দিনের ফল (fruit) বা সবজি পরের দিন ব্যবহার করা যাবে না। মানে আজ যে সব ফল কেটে ডিটক্স ওয়াটার বানালেন, সেইটা পরের দিন ব্যবহার করবেন না। নতুন করে ফল (fruit)-সবজি কেটে ডিটক্স ওয়াটার বানাতে হবে।
৫। আপনি যদি চান, তা হলে ডিটক্স ওয়াটারের (detox water) মধ্যে থাকা ফল (fruit) বার করে নিয়ে আলাদা করেও খেতে পারেন।
ছবি সৌজন্য: পিন্টরেস্ট
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!