ডিটক্স ওয়াটার কিংবা ডিটক্স ড্রিঙ্ক শব্দটা এখন ভারী ইন থিং! আমি-আপনি জানলেও ইন থিং, না জানলেও ইন থিং! এটি হল এমন একটি আজব বস্তু, যেটি পান করলে নাকি শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং শরীর (body) ভিতর থেকে এতটাই সতেজ হয়ে ওঠে যে, ত্বক কিংবা চুলের অনেক সাধারণ সমস্যারও চট করে সমাধান হয়ে যায়! যেমন ধরুন, ব্রণ কিংবা অ্যাকনের সমস্যা, শুষ্ক চুল, তেলতেল স্ক্যাল্প ইত্যাদি। ডিটক্স ওয়াটার বা ড্রিঙ্ক বানানোও খুবই সহজ। উপাদানগুলিও সহজলভ্য। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে একটা ব্লেন্ড করলেই তৈরি হয়ে যায় পানীয়গুলি। কিন্তু উপাদানগুলি জানতে হবে আর কোনটা কতটা পরিমাণে মেশাবেন, সেটাও জরুরি। দুর্গা পুজোর (Durga Puja) মাত্র মাসখানেক বাকি। এর মধ্যে ত্বকচর্চা, কেশচর্চা, শরীরচর্চা তো চলতেই থাকবে। তার সঙ্গে একটু রসনাচর্চা হয়ে গেলেও মন্দ হয় না, কী বলেন? এখানে রইল বেশ কয়েকটি ডিটক্স ওয়াটার এবং ডিটক্স ড্রিঙ্কের (Detox Drink) রেসিপি। এই একমাসে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে, বানিয়ে-খেয়ে সকলের তাক লাগিয়ে দিন তো!
১. গ্রিন টি ও লেবু
এক কাপ গরম জলে একটা গ্রিন টি ব্যাগ ফেলে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে গরম-গরম পান করুন। দিনের শুরুটা করুন এই রিফ্রেশিং ড্রিঙ্কটি দিয়ে। ঝটপট মেদ ঝরাতে ও ত্বককে তরতাজা করে তুলবে এই কম্বিনেশন। সেই সঙ্গে এটি পান করতেও ভাল লাগে। বেশ একটা সতেজভাবে শুরু হবে আপনার সকালগুলো।
২. স্লিমিং ডিটক্স ওয়াটার
এটা বানাতে হবে এক জাগ। আর সারাদিন জলের পরিবর্তে পান করতে হবে এটি। ব্যস, কিছুদিন পর থেকেই দেখবেন এই স্পেশ্যাল স্লিমিং ডিটক্স ওয়াটার তার খেল দেখাতে শুরু করেছে! এটি বানানোর জন্য চাই শসা, আঙুর, লেবু পুদিনা পাতা এবং গোলমরিচ। শসাগুলো স্লাইস করে কেটে নিন। এবার মিক্সিতে শসাক স্লাইস আর কয়েকটা আঙুর একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এর মধ্যে পুদিনা পাতা আর লেবুর রস দিয়ে আবার এক পাক ঘুরিয়ে নিন মিক্সিতে। এবার হাফ জগ জলে এই মিশ্রণটা গুলে নিন। তারপর বেশ কয়েকটা আইস কিউব আর গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে রেখে দিন। আইস কিউবগুলো পুরো গলে গেলে তারপর জলটা পান করা শুরু করবেন। এভাবে বেশ কয়েক জগ বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এক মাস জলের বদলে এটাই পান করা শুরু করুন।
৩. মধু, লেবু আর আদার ডিটক্স ড্রিঙ্ক
মধুর উপকারিতা নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই! আর আদা হল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি আর অ্যন্টি অক্সিড্যান্ট উপাদানে ভরপুর। তার সঙ্গে আবার মিশছে লেবু! ফলে এই পানীয়টি যে কতটা উপকারী, তা আশা করি বুঝতে পারছেন! এবার প্রশ্ন হল, কীভাবে তৈরি করবেন এটি। খুবই সিম্পল। আধ ইঞ্চি মতো আদা হামানদিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ এক টেবিলচামচ মধু, ওই আদা থেঁতো এবং হাফ লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে গুলে পান করুন। দিনে এই পানীয়টি বারদুয়েক পান করুন।
৪. ফ্যাট বার্নিং ডিটক্স ওয়াটার
শুনলেই মনটা কীরকম খুশি-খুশি হয়ে যায়, তাই না! জল খেয়ে মেদ ঝরানো, উফ, কী যে ভাল ব্যাপার…এই ধরনের ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করতে যে উপাদানগুলি প্রয়োজন, সেগুলি হল, সবুজ আপেল, অ্যাপল সিডার ভিনিগার, দারচিনি এবং মধু। জানি, এই উপাদানগুলি অত সহজে পাওয়া যায় না, কিন্তু জল খেয়ে মেদ ঝরাবেন, অথচ একটু কষ্ট করবেন না, তা-ও কি হয়! যাই হোক, কীভাবে এই পানীয়টি তৈরি করবেন, জেনে নিন। একটা সবুজ আপেল গ্রেট করে নিন। তারপর এক জগ জলে দুই চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার, ওই গ্রেট করা আপেলটা, এক চামচ দারচিনি গুঁড়ো ও এক টেবিলচামচ মধু দিয়ে ভাল করে গুলে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরদিন থেকে সেই জলটা সারা দিনে অল্প-অল্প করে পান করুন।
৫. মেথিদানা আর লেবুর ডিটক্স ওয়াটার
শুনতে একটু কড়া লাগলেও, এই জল খেতে মোটেও তেতো নয়! উল্টে ভালই লাগবে। মেথিদানার গুণ অনেক। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর, বেঁধে রাখে লিপিডের মাত্রাকেও, আবার ওজন কমাতে চাইলে অব্যর্থ! অন্যদিকে লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে এই দুইয়ের মেলবন্ধন যে স্বাস্থ্যে পক্ষে উপকারী, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এটা তৈরি করাও খুবই সোজা। এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথিদানা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে, সেই জলটা ছেঁকে তার মধ্যে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন খালি পেটে। ব্যস, এটুকুই যথেষ্ট!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!