একার জীবনে (single life) আপনিই রাজা। যখন ইচ্ছা ঘুম থেকে উঠুন না, কোনও ক্ষতি নেই! সারা দিন সোফায় শুয়ে ল্যাদ খেতে-খেতে নেটফ্লিক্স দেখুন। স্যালারির সব টাকা শপিংয়ের পিছনে উড়িয়ে দিন। কেউ কিছুই বলতে আসবে না। আপনার কথাই হবে শেষ কথা!
কিন্তু যেই না মনের মানুষের এন্ট্রি ঘটবে জীবনে (relationship), রাতারাতি দেখবেন সবকিছু বদলে যাবে। এতদিন জীবনের গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল আপনার হাতে, এবার থেকে সেও নাক গলাবে।
রবিবার ভাবছেন দেরি করে উঠবেন! সে সুযোগ নেই! কেন? আরে পার্টনার (partner) যে সক্কাল-সক্কাল প্রেমের গপ্পোর স্টক শেষ করতে আপনাকেই ফোন লাগাবে। তখন কি আর সিংহশাবকের মতো হাই তুলে নিদ্রা যেতে পারবেন? মনে তো হয় না।
মোট কথা, সম্পর্কে জড়ানো মাত্র স্বাধীনতার তেরোটা বেজে যেতে বাধ্য! আর ভুলবশত কখনও যদি ‘স্বাধীন হব, স্বাধীন হব’ বলে ফোঁস করে ওঠেন, তা হলেই বিপদ! তখন রাগ-অভিমানের একের পর এক বাউন্সার সামলাতে হবে বই কী!
শান্তিতে থাকতে যদি চান, তা হলে আপস করতেই হবে। আর ‘সেরেন্ডার ট্রিটি’ মানছেন যখন, তখন সিঙ্গল জীবনের এই অভ্যেসগুলি ত্যাগ করা ছাড়া যে আর কোনও উপায় নেই।
মি-টাইম? সে তো এখন অতীত!
নিজের মতো করে সময় কাটানোর এতদিনের অভ্যাসটিকে টা টা-বাই বাই বলতেই হবে। কারণ, রবিবার হোক কী সোমবার, পার্টনার সারাক্ষণ আপনার সঙ্গেই চিপকে থাকতে চাইবে। সুখ-দুঃখের নানা কথা শেয়ার করার ইচ্ছা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনের টকটাইম পোড়াবে। আর সব কিছুই আপনাকে চুপটি করে মেনে নিতে হবে।
প্রেমের নদীতে নৌকা যখন ভাসিয়েছেন, তখন মাঝ পথে তো আর ঝপ করে জলে ঝাঁপ মারতে পারবেন না। বরং ভাল লাগুক, কী মন্দ, সহ্য আপনাকে করতেই হবে। এর মাঝে যখনই নিজের মতো করে একটু সময় কাটাতে মন চাইবে, তখন একটু সামলে নেবেন হ্যাঁ!
ভুলেও ঝগড়া-ঝাটি করতে যাবেন না, তা হলেই জল ঘোলা হতে সময় নেবে না। তা হলে কী করণীয়? এই বিষয়ে খোলাখুলি পার্টনারের সঙ্গে একবার কথা বলতে পারেন। আপনার কথা শুনে হয়তো তাঁর মুখ ভার হতে পারে। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। আর এত কথার পরেও পার্টনারের ‘দিমাগ কী বাত্তি’ যদি না জ্বলে, তা হলে আর কী, জয় মা বলে হাল টেনে যাওয়া ছাড়া আর কোনও গতি নেই!
সোলো ট্রিপ? ভুলে যান
আপনি কী এদিক-সেদিক ঘুরতে খুব ভালবাসেন? তা বেশ তো, এমন অভ্যেস কেউ ছাড়ে নাকি! কিন্তু তাই বলে একা নয়, এবার থেকে দোকা যেতে হবে।
কারণ, আপনি সোলো ট্রিপে বেরিয়ে পরলেন আর পার্টনার থাকলে কলকাতাতেই – এমনটা বারে বারে হতে থাকলে রাগ-অভিমান বাড়তে বাড়তে পাহাড় হবে। তখন কিন্তু আর সামলে উঠতে পারবেন না।
তাই কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হলে দু’জনে মিলে প্ল্যান করুন। আর যদি একান্তই সোলো ট্রিপে যেতে মন চায়, তাহলে একবার পার্টনারকে মনের কথা খুলে বলুন। হতেও তো পারে সে আপনার খুশির কথা ভেবে ‘হ্যাঁ’ বলে দিলো।
কিন্তু এমনটা যে বার বার হবে না, তা তো বাহুল্য। তাই সম্পর্কের শুরুর দিন থেকেই একা বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছেটাকে একটু নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। তা না হলে কিন্তু অশান্তি বাড়বে।
পার্টনারের ইচ্ছের মর্যাদাও দিতে হবে বস
যখন একা ছিলেন, তখন আপনার কথাই ছিল শেষ কথা। কিন্তু সম্পর্কে জড়ানোর পরে নিজের মন মতো চললে কিন্তু সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই বলে বলছি না নিজের মতামতকে জলাঞ্জলি দিন।
এমনটা ভেবে নেওয়া ভুল হবে যে সম্পর্কে জড়ানো মানেই স্বাধীনতা বিসর্জন দেওয়া। বরং প্রেমের সম্পর্কে আপনারা হলেন সাইকেলের দুটো চাকার মতো। একটা চাকা না থাকলে যেমন সাইকেল এক পা-ও এগবে না, তেমনই দু’জনে হাতে হাত না মেলালে জীবনের গাড়িও দাঁড়িয়ে পড়বে।
তাই মাথা উুঁচু করে স্বাধীন ভাবে বাঁচুন, এটা আপনার অধিকার। শুধু নিজের পাশাপাশি মনের মানুষটিকে একটু প্রাধান্য দিন, একটু স্বার্থত্যাগ করুন। দেখবেন, জীবন হাসতে হাসতে কেটে যাবে।
মূল ছবি সৌজন্য: তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!