ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
রাজনীতির ধাক্কায় ভাঙন টলিউডে! খোঁচার জবাবে পাল্টা খোঁচায় জেরবার পেশাদারিত্ব

রাজনীতির ধাক্কায় ভাঙন টলিউডে! খোঁচার জবাবে পাল্টা খোঁচায় জেরবার পেশাদারিত্ব

রাজনীতির (political) এক ধাক্কায় বহু দিনের চেনা সম্পর্ক আর বন্ধুত্বে (friendship) ভাঙন (ruining) দেখা দিচ্ছে টলিউডে (tollywood)। একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর শহিদ দিবস পালন থেকেই সেটা আস্তে-আস্তে স্পষ্ট হচ্ছে। অনেক তারকাই সেদিন আসেননি। তাঁরা প্রত্যেকেই অবশ্য না আসার যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়েছেন। তবে নিন্দুকেরা বলছে, ওরা আসতে পারেনি নয়, ওরা আসেনি!

রীতিমতো বিদ্রোহী মেজাজে মুখ খুলেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এর আগে রুদ্রনীলকে সব মঞ্চেই দেখা গেছে। কিন্তু এবারের একুশের সমাবেশে তিনি আসেননি। অভিনেতার বক্তব্য তিনি দলের একজন সমর্থক মাত্র, তিনি দলের (political) কর্মী নন। তাই তিনি না-ই যেতে পারেন। এখানে কারও কিছু বলার নেই। পোড়খাওয়া দুঁদে অভিনেতা এ-ও জানান, চোখের বদলে চোখ উপড়ে নেওয়ার এই খেলা তার ভাল লাগছে না। এই এক কথা শুনতে-শুনতে তিনি ক্লান্ত। তাই তিনি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক, ফলে সেটা নিয়ে যেন বেশি জলঘোলা না হয়। কিন্তু দাদা, জলের মধ্যে টুপুস করে একটা ঢিল পড়লে জল তো একটু ঘোলা হবেই, তাই না? ইন্ডাস্ট্রিতে  (tollywood) জোর ফিসফিস চলছে অন্য একটি জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক পার্টিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন রুদ্রনীল। আর সেই জন্যই এত ধ্যানাই প্যানাই করছেন। অভিনেতা অবশ্য এই কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাক ঝুমাঝুম যে বেশ ভালই লেগেছে, সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে পার্নো মিত্রের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ায়। পার্নোর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বেশ চমকেছেন! কারণ, পার্নোর এখন হোমেও লাগে না যজ্ঞেও লাগে না গোছের দশা। তিনি না করেন সিনেমা, না করেন কোনও শো, না তাঁকে কোথাও দেখা যায় আর না আছে তাঁর কোনও রাজনৈতিক মতামত। তিনি যে আদতে কী করেন, সেটা পার্নো ছাড়া কেউ জানে না! 

Instagram

ADVERTISEMENT

পার্নো অবশ্য বলেছেন যে, নিজের মতামত জানাতে গেলে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ বকবক করতে হয়, সেটা তিনি মানেন না। এই পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল। হঠাৎ তিনি বোকার মতো বলে বসেন যে তাঁর প্রয়াত বাবা নাকি ওই পার্টিকে ভোট দিতেন। তাই তিনি ওখানে গেছেন। এই বাল্যখিল্য উত্তরে অনেকেই মুখ টিপে হেসেছেন। কিন্তু কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু ‘স্নেহের’ রঞ্জনার এই হাল দেখে চুপ থাকেননি অঞ্জন দত্ত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্ট করেন যে বয়সে ছোট একজন সহকর্মী ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা দেখে তাঁর খারাপ লাগছে। টাকার জন্য কেউ যে এরকম করতে পারে এটা ভেবে তিনি লজ্জিত। যদিও অঞ্জন কারও নাম নেননি, তবুও ‘বয়সে ছোট’ সহকর্মী বলে তিনি যে কার কথা বলতে চেয়েছেন, সেটা কারও বুঝতে বাকি নেই। এই কথা পার্নোর কানে গেলে তিনিও এক হাত নিয়েছেন সিনিয়র সহকর্মীকে। পার্নোর মতে, এই ইঙ্গিত যদি তাঁকে উদ্দেশ্য করে করা হয়, তা হলে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় না লিখে অঞ্জনদা ফোন করে জানাতে পারতেন। তাঁর ব্যক্তিগত চয়েস নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। জল গড়াতে-গড়াতে অনেক দূর গেছে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “অভিনয়ের রাজনীতি নাকি রাজনীতির অভিনয়!” বোঝাই যাচ্ছে, সাম্প্রতিক নানা ঘটনা দেখেই তিনি একথা বলেছেন। এই স্ট্যাটাসের কমেন্টে ফোড়ন কাটেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তিনি শ্রীলেখার কাছে তাঁর আর্টিস্ট ফোরামের কার্ডের এখন কী অবস্থা সেটা জানতে চান? এতে খুবই বিব্রত বোধ করেছেন শ্রীলেখা। 

ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতারা এতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। পার্নোর সঙ্গে অঞ্জনের খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল। রূপাঞ্জনা আর শ্রীলেখাও বন্ধু ছিলেন। এখন রাজনীতি এসে সেই পেশাদারি মনোভাব আর ব্যক্তিগত সুসম্পর্কে থাবা বসাচ্ছে। এমনটা চলতে থাকলে সামনে যে, টলিউডের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত সেটা বেশ স্পষ্ট! 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু! 

ADVERTISEMENT
25 Jul 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT
good points logo

good points text