ওড়না বা দোপাট্টা (dupattas) দিয়ে স্টাইল (style) করে মেঘনা। ওটা যেন ওর সিগনেচার স্টাইল হয়ে উঠেছে। সেই কলেজ লাইফ থেকে ওর এই স্টাইল (style) স্টেটমেন্ট। অফিসে এসেও যা একই রকম রয়ে গিয়েছে। কুর্তি-লেগিংস, জিন্স-কুর্তি অথবা স্কার্ট আর টপ- প্রায় সব কিছুর সঙ্গেই একটা মানানসই ওড়না ও নেবেই। আর খুব সুন্দর ভাবে সেটা ক্যারিও করে। আসলে ওড়না (dupattas) এমন একটা জিনিস, যেটা আপনার পোশাকে একটা দারুণ স্টাইলিশ (stylish) লুক অ্যাড করে। একটা সিম্পল আউটফিটকে (outfit) আলাদা একটা মাত্রা দেয়। এই যেমন ধরুন, একটা নিমন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু সে ভাবে সাজগোজের সময় নেই। তাই একটা বেশ ঘেরওয়ালা কাজ করা স্কার্ট পরে নিন। আর তার সঙ্গে একটা সুন্দর দেখতে টপ। এ বার এই সাজটাকে কমপ্লিট করবে মানানসই একটা স্টাইলিশ (stylish) ওড়না বা দোপাট্টা (dupattas)। একটু স্টাইলিশ (stylish) ভাবে নিন। দেখবেন, আপনার লুকটাই (looks) বদলে গিয়েছে। তাই জেনে নিন, স্টাইলিশ (stylish) লুকের (looks) জন্য কী কী ওড়না ওয়্যার্ড্রোবে রাখবেন।
ফুলকারি ওড়না
পঞ্জাবের ট্র্যাডিশনাল ওড়না (dupattas) হল ফুলকারি। ভীষণ কালারফুল এই স্টাইলটা (style) আমার ভীষণই পছন্দের। উয়োভেল কটনের এই ওড়নার উপর ফুটে ওঠে রং-বেরঙের ফ্লস সিল্ক সুতোর নানা ডিজাইন। বিশেষ করে জিওমেট্রিক ডিজাইন। আজকাল অবশ্য চান্দেরি, সিল্ক ও অন্যান্য ফ্যাব্রিকের উপরও ডিজাইন করা হচ্ছে।
ইক্কত ওড়না
সিম্পল লুকে একটা আলাদা গ্ল্যাম টাচ আনতে এই স্টাইলের (style) ওড়না (dupattas) দারুণ। খুব ঝলমলে না হলেও এটা আপনাকে একটা সফিসটিকেটেড লুক দেবে। যে কোনও ছোটখাট অনুষ্ঠানবাড়ি, কলেজ, অফিস- সব জায়গাতেই প্রায় চলবে এই ওড়না। আর এর সঙ্গে টেরাকোটা অথবা ট্রাইবাল জুয়েলারি দারুণ যাবে।
মধুবনী ওড়না
ঘর সাজানো থেকে শুরু করে ফ্যাশন- সব কিছুতে মধুবনী পেন্টিংয়ের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। কালারফুল আর সফিসটিকেটেড স্টাইলের এই ওড়না আপনার লুকেও (looks) একটা আলাদা ছোঁয়া আনবে। ট্র্যাডিশনাল কুর্তি বা সালোয়ার স্যুটের সঙ্গে এই ধরনের ওড়না ট্রাই করতে পারেন। আর যে কোনও অনুষ্ঠানেই দারুণ!
তসর সিল্ক
তসর সিল্ক তো নিশ্চয়ই পছন্দ করেন? প্লেন অথবা ক্লাসিক কুর্তির সঙ্গে বিয়েবাড়ি থেকে অফিসে অনায়াসে পরে চলে যেতেই পারেন।
কাঁথা স্টিচ ওড়না
কাঁথা স্টিচ শাড়ির মতোই ভীষণ স্টাইলিশ (stylish) আর গর্জাস। যে কোনও অনুষ্ঠানে পরে যেতে পারেন। তবে যদি ঠিক করেন, কোনও আর্ট এক্সিবিশনে বা কনসার্টে যাবেন, তা হলে একটা দারুণ কুর্তি আর ক্রপ টপের সঙ্গে এই ওড়না (dupattas) ট্রাই করুন।
পমপম ওড়না
শাড়ির আঁচলে পমপম পছন্দ করেন? তা হলে এই ওড়নাও (dupattas) আপনার পছন্দ হবে। এই ধরনের ওড়নার ধার দিয়ে সেজে ওঠে রংবেরঙের পমপম। এক কালারের কুর্তি অথবা সিম্পল লেহঙ্গা পরলে ট্রাই করুন এই ওড়না। যে কোনও অনুষ্ঠানে ক্যারি করুন এই ওড়না।
বেনারসি ওড়না
ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় এই ওড়না। সিল্ক জমির উপর জরির বেনারসি কাজ আপনাকে গর্জাস লুক দেবে। ধরুন, বিয়েবাড়ি যেতে হবে। কিন্তু শাড়ি পরতে ভাল লাগছে না। সে ক্ষেত্রে একটা সিম্পল কুর্তির সঙ্গে নিতে পারেন বেনারসি ওড়না। সিম্পল লেহঙ্গার সঙ্গেও এই ওড়নাও লুকে একটা আলাদা মাত্রা আনে।
চান্দেরি ওড়না
হাতে বোনা চান্দেরি ওড়না শুধু কালারফুলই নয়, এটা একটা ক্লাসি লুকও (looks) এনে দেয়। চান্দেরির পীঠস্থান মধ্যপ্রদেশ। চান্দেরি শাড়ি যেমন গর্জাস, ওড়নাও ঠিক তেমনই গর্জাস। যে কোনও অনুষ্ঠানে, কলেজে আরামসে পরে যেতে পারেন এই চান্দেরি ওড়না।
পশমিনা ওড়না
বুঝতেই পারছেন, কাশ্মীরেই তৈরি হয় এই ওড়না (dupattas)। এই ধরনের দোপাট্টায় আমরা যে কাজ দেখতে পাই, সেটা কাশ্মিরী কাজ। আর একটা ওড়না তৈরি হতে প্রায় ২ মাস মতো সময় লাগে। আর অন্যান্য ওড়নার থেকে এই ওড়নার দাম একটু বেশিই হয়। ঠান্ডার দিনে কোনও অনুষ্ঠানে পরলে এটা আপনাকে আরাম দেবে। আর শাড়ির সঙ্গে স্টোল অথবা শাল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!