‘বলিউড’ – যেন এক স্বপ্নের জগৎ! সেই জগতেই রয়েছেন একাধিক রাজা। কেউ রোম্যান্সে পারদর্শী, কেউ বা ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ আবার কেউ এক হাতেই দুষ্টের দমন করেন তো কেউ বা ‘ট্র্যাজেডি কিং’। না, এখনকার বলিউড নায়কদের মধ্যে কেউ নিজেও কাঁদেন না, দর্শককেও কাঁদান না। তবে হ্যাঁ, এক ট্র্যাজেডির রাজা ছিলেন বটে! আর কেউ নন, দিলীপ কুমার ওরফে দিলীপ সাহাব ওরফে ইউসুফ খান। বলিউডের তিন ‘খান’-এর জনপ্রিয়তা যখন রুপোলি পর্দায় আকাশ ছোঁয়া, একই সময়ে অনেকেই জানেন না, বলিউডের প্রথম ‘খান’ ছিলেন আসলে অন্য কেউ। ‘দেবদাস’ ‘মুঘল-এ-আজম’-এর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন যিনি। আর কেউ নন, তিনি সবার প্রিয় দিলীপ কুমার ওরফে ইউসুফ খান। দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে ভারতীয় চলচ্চিত্রে এখন সত্য়িই ‘ট্র্যাজেডিকাল’, এক যুগাবসান…
বার বার নায়িকাদের প্রেমে পড়েছেন
বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কিং’ বলা হত দিলীপ কুমারকে। তবে বড় পর্দায় তাঁর চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ যেমনই হোক, দিলীপের ব্যক্তি জীবন কিন্তু রঙিনই ছিল বলে মনে করেন তাঁর সমসাময়িক ও তাঁর পরবর্তী অনেক তারকাই। বার বার প্রেমে পড়েছেন দিলীপ। বার বার প্রেম ভেঙেওছে। কিন্তু জীবন থমকে যায়নি। বরং, দিলীপের শেষ সময় পর্যন্ত পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। যিনি দিলীপ কুমারের থেকে প্রায় ২২ বছরের ছোট। ১৯৬৬ সালে দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সময়ে দিলীপ কুমারের বয়স ছিল ৪৪ বছর এবং সায়রা বানু তখন মোটে ২২। শোনা যায়, তাঁদের বিয়ের খবরে মানসিক আঘাত পান মধুবালা, দিলীপের প্রাক্তন প্রেমিকা। তার মাত্র তিন বছর পরেই মধুবালার মৃত্যু হয় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে।
দিলীপ ও সায়রা বানুর (dilip Kumar and his leading ladies) বিয়ের পর অনেকেই বলেছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক না কি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কিন্তু তাঁদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু। প্রায় পাঁচ দশকের বেশি সময়ের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। তবে আটের দশকে এক পাকিস্তানি নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল দিলীপ কুমারের। শোনা গিয়েছিল, সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সেই নায়িকার সঙ্গেই ঘর বাঁধেন তিনি। তবে সেই বিয়ে নাকি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দুই বছর পরে সেই বিবাহ বিচ্ছেদ করে আবার সায়রা বানুর সঙ্গেই বিয়ে করেন তিনি। তারপর দেখতে দেখতে একের পর এক দশক পার হয়ে গিয়েছে। আজ যখন তিনি মৃত্যু শয্যায়, তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী সায়রা বানু।
সায়রা বানু ও দিলীপ কুমার
হিন্দি ছবির ‘ট্র্যাজেডি কিং’ একের পর এক জনপ্রিয় ছবি (dilip Kumar and his leading ladies)উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বড় পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর রসায়নে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। বিখ্যাত কয়েকটি ছবির নায়িকাদের সঙ্গে বড় পর্দায় তাঁর বিভিন্ন মুহূর্ত (dilip Kumar and his leading ladies)আসুন ফিরে দেখা যাক…
ট্র্য়াজেডি কিং ও তাঁর নায়িকারা
মুঘল-এ-আজম -এ দিলীপ কুমার ও মধুবালা
দিলীপ কুমার ও মধুবালা, ছবি – মুঘল-এ-আজম
দিলীপ কুমার অভিনীত অন্য়তম সেরা ছবি এইটি। কে আসিফ পরিচালিত। অভিনয়ে ছিলেন মধুবালা ও দিলীপ কুমার। বড়পর্দায় তাঁদের রসায়ন মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। সেই নিয়ে যথেষ্ট আলোচনাও হয়েছিল সিনে পাড়ায়। এই ছবির এক একটি দৃশ্য সেই সময়ে আইকনিক দৃশ্য হয়ে ওঠে(dilip Kumar and his leading ladies)। নিজের আত্মজীবনীতে দিলীপ কুমার লিখেছিলেন, মধুবালার প্রতিও মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
দিলীপ কুমার ও বৈজন্তীমালা
দিলীপ কুমার ও বৈজন্তীমালা, ছবি – নয়া দৌড়
দিলীপ কুমার ও বৈজন্তীমালা একসঙ্গে অনেকগুলো ছবিতেই অভিনয় করেছেন। দুইজনের জুটিতে মুক্তি পেয়েছে দেবদাস, নয়া দৌড়, মধুমতী। নয়া দৌড় ছবির মাঙ্গ কে সাথ তুমারা গানের দৃশ্য এখনও জনপ্রিয়। দুই অভিনেতার মধ্য়ে সুন্দর রসায়নের জন্যই এই গানের দৃশ্য আরও বেশি জনপ্রিয় হয়।
দিলীপ কুমার ও ওয়াহিদা রহমান
দিলীপ কুমার ও ওয়াহিদা রহমান, ছবি – দিল দিয়া দরদ লিয়া
একাধিক নায়িকার সঙ্গে তাঁর অন স্ক্রিন রোম্যান্স প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে তাঁর জুটি যেন বার বার দর্শক মনকে আরও বেশি করে ছুঁয়ে গিয়েছে। তাঁর দুজনে একসঙ্গে রাম অর শ্যাম, আদমি, মশাল এবং দিল দিয়া দর্দ লিয়ার মতো ছবিতে অভিনয় (dilip Kumar and his leading ladies)করেছেন।
দিলীপ কুমার ও মীনা কুমারি
দিলীপ কুমার ও মীনা কুমারি, ছবি – আজাদ
বড় পর্দার এই জুটি শুধু দর্শক মন জয় করেছিল তাই নয়, একইসঙ্গে বক্স-অফিসেও একইভাবে হিট হয় তাঁদের স্টোরিলাইন ও রসয়ান। দিলীপ কুমার ও মীনা কুমারি একসঙ্গে ফুটপাথ ও কোহিনুর ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দুটি ছবিই দারুণ জনপ্রিয় হয় সেই সময়ে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!