আমরা অনেকেই অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের (activated charcoal) কথা শুনেছি, নানা বিউটি প্রোডাক্টে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয় এবং ইদানীং এটি বেশ জনপ্রিয়। বহুকাল ধরে চারকোল বা কাঠকয়লা মাজন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন তো আবার নানা ধরনের ফেস মাস্ক (face mask) এবং ফেসওয়াশেও কাঠকয়লার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। কাঠকয়লা ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা টেনে বের করে ত্বককে পরিষ্কার করতে সক্ষম, কাজেই এই ব্যবস্থা। আপনিও যদি ত্বকের যত্নে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (activated charcoal) ব্যবহার করতে চান তা হলে বাড়িতে তৈরি এই ফেস মাস্কগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ত্বকের হারানো জেল্লা ফেরাতে দইয়ের ফেসমাস্ক
বেকিং সোডা, নারকেল তেল এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক
আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে এই অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ফেস মাস্ক আপনার জন্য উপযুক্ত। আগেই বলেছি অ্যাক্টিভেটেড চারকোল বা কাঠকয়লা ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বকের সমস্ত ময়লা টেনে বার করে কাজেই বুঝতেই পারছেন যে এই ফেস মাস্কটি আপনার ত্বকের ডিপ ক্লেনজিংয়ের জন্য কতটা উপকারী!
উপরকণ – আধ টেবিল চামচ অ্যাক্টিভেটেড চারকোল গুঁড়ো, আধ টেবিল চামচ বেনটোনাইট ক্লে, ১/৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং আধ টেবিল চামচ নারকোল তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন – একটি কাচের বাটিতে সব উপকরণ একে-একে নিয়ে কাঠের চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন স্মুদ হয় এবং কোনও দানা যেন তাতে না থাকে। যদি খুব বেশি শক্ত হয়ে যায় সামান্য জল মেশাতে পারেন। এবারে একটি ফেস মাস্ক লাগানোর ব্রাশ নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন, এর বেশি সময় রাখবেন না। এরপর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন এবং একটি নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে মুখ মুছে নিন। ঘষে-ঘষে মুখ মুছবেন না কিন্তু এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করার পর।
কত বার ব্যবহার করবেন – আপনি এই ফেস মাস্কটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
এসেনশিয়াল অয়েল এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক
ত্বকের ডিপ ক্লেনজিং ছাড়াও যেকোনোও ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এই ফেস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন।
উপরকণ – এক টেবিল চামচ বেনটনাইট ক্লে, এক টেবিল চামচ অ্যাক্টিভেটেড চারকোল, ১ টেবিল চামচ অরগানিক মধু, দুই টেবিল চামচ জল এবং দুই ফোঁটা করে ল্যাভন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল এবং টি-ট্রি অয়েল
কীভাবে ব্যবহার করবেন – ঠিক আগের ফেস মাস্কটির মতোই প্রতিটি উপকরণ মিশিয়ে নিন কাঁচের বাটিতে, কাঠের চামচ দিয়ে এবং মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা জলে হালকা হাতে ধুয়ে ফেলুন। নরম একটি তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে সামান্য ময়শ্চারাইজার লাগাতে পারেন।
কত বার ব্যবহার করবেন – সপ্তাহে একবারের বেশি নয়
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করার সময়ে কী কী মাথায় রাখা উচিত
- কাঠের চামচ এবং কাচের বাটি-ই ব্যবহার করবেন ফেস মাস্ক তৈরি করার সময়। ধাতুর তৈরি পাত্রে কিন্তু অ্যাক্টিভেটেড চারকোল এবং বেনটোনাইট ক্লে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে যা আপনার ত্বকের জন্য ভাল নাও হতে পারে।
- আপনার ত্বক যদি শুষ্ক বা সংবেদনশীল হয়, তা হলে কাঠকয়লা ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়িয়ে তোলে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব শুষে নেয়। তবুও যদি আপনি ব্যবহার করতে চান, তা হলে ফেস মাস্ক তোলার পর ভাল করে ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগান।
- যদি আপনি অ্যাক্টিভেটেড চারকোলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে রূপচর্চা করেন সেক্ষেত্রে সপ্তাহে একবারের বেশি করবেন না কারণ তা না হলে ত্বকে র্যাশ বেরতে পারে।
- অ্যাক্টিভেটেড চারকোল (activated charcoal) দিয়ে ফেস মাস্ক ত্বকে ব্যবহার করার সময়ে পারলে পুরনো পোশাক পরুন। কারণ, কাঠকয়লার দাগ কিন্তু জামাকাপড় থেকে খুব সহজে যায় না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!