সময়টা একদমই ভাল নয়। আশেপাশে নানা জটিল রোগের প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে যে কারও কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য়। বিশেষ করে গত কয়েক দশকে ব্রেস্ট ক্যান্সারে (breast cancer) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যে হারে বেড়েছে, তাতে প্রত্যেক মহিলারই সবধান হওয়ার সময় এসে গেছে। ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার ইন্ডিয়া’র প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে আজ থেকে বছর পঁচিশেক আগে ১০০ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলার মধ্যে কুড়ি-তিরিশ বছর বয়সি মহিলাদের সংখ্যা ছিল কম-বেশি দুই শতাংশ। ৩০-৪০ বছর বয়সিদের সংখ্যা ছিল সাত শতাংশ। প্রায় ৬৯ শতাংশই ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব। কিন্তু আজ ছবিটা একেবারে পাল্টে গেছে। এখন পঞ্চাশ বছরের নীচে ব্রেস্ট ক্যান্সারে (breast cancer) আক্রান্ত মহিলাদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে। তাই বুঝতেই পারছেন, হাতে সময় থাকতে-থাকতে সাবধান না হলে চিন্তার বিষয়।
এই মুহূর্তে হয়ত সম্ভব হচ্ছে না ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করানো। এক্ষেত্রে নিয়ম করে ব্রেস্ট এক্সামিনেশন (breast examination) করলে রোগের উপস্থিতি সম্পর্ক জেনে ফেলা সম্ভব। আর এই পরীক্ষাটি বাড়িতেই করা যায়। এর জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধু স্তন পরীক্ষার নিয়মগুলি জেনে নিতে হবে।
জেনে নিন বাড়িতেই কিভাবে ব্রেস্ট এক্সামিনেশন করতে পারেন
১। বাথরুমে যদি আয়না থাকে, তা হলে তো কোনও কথাই নেই! না হলে যে ঘরে আয়না রয়েছে, সেই ঘরের সব আলো জ্বালিয়ে আয়নার সামনে টপটা খুলে দাঁড়ান। খেয়াল রাখবেন, এই সময় কাঁধ এবং হাত যেন রিল্যাক্সড থাকে। এবার ব্রেস্ট এবং তার আশেপাশের অংশ ভাল করে চেপে চেপে দেখুন তো কোনও লাম্পের (lump) সন্ধান পাচ্ছেন কিনা। ব্রেস্টের সাইজে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা, সেটাও একটু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। যদি মনে কোনও সন্দেহ জাগে, তাহলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না
আয়নায় নিজের ব্রেস্ট এক্সামিনেশন করতে পারেন (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
২।ইদানীং আপনার নিপল বা স্তনবৃন্তের রং বদলে গেছে কি? এটা খেয়াল করার পরে ব্রেস্টের এই অংশে চাপ দিয়ে দেখুন তো রস বেরচ্ছে কিনা। অনেক সময় ব্রেস্ট ক্যান্সারের (breast cancer) প্রাথমিক স্টেজে এমন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। স্তনবৃন্ত এবং তার আশেপাশে চুলকালে খোসা ওঠার মতো চামড়া উঠলে জানবেন সাবধান হওয়ার সময় এসে গেছে।
৩। বগলের আশেপাশে আঙুল দিয়ে সার্কুলার মোশনে চিপে চিপে দেখুন তো কোনও লাম্প (lump) হয়েছে কিনা। বগলের চামড়ায় যদি কোনও পরিবর্তন আসে, তা হলেও চিন্তার বিষয়। যদি বোঝেন চামড়া মোটা হতে শুরু করেছে, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। বগলের আশেপাশের চামড়ায় কোনও পরিবর্তন এসেছে কিনা বুঝবেন কীভাবে? প্রথমে ডান দিকের বগলের চামড়া পরীক্ষা করুন, তারপর বাঁদিকের। তাতেই পরিবর্তনটা বুঝে যাবেন।
কিছুই যদি বুঝতে না পারেন, সত্ত্বর ডাক্তারের সাহায্য নিন (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)
৪। এবার চূড়ান্ত পরীক্ষার (breast examination) পালা। চিত হয়ে শুয়ে ব্রেস্ট এবং তার আশেপাশে আঙুল দিয়ে সার্কুলার মোশনে চিপে-চিপে ব্রেস্ট টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে বগল থেকে ক্লিভেজ পর্যন্ত অংশ মন দিয়ে পরীক্ষা করে বুঝে নিতে হবে কোনও বৈসাদৃশ্য রয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে দু’টি ব্রেস্টেরই পরীক্ষা করবেন, তাতে তফাতটা বুঝতে সুবিধে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!