আজকাল সবাই এত ব্যস্ত যে নাওয়া-খাওয়ার সময়ই নেই কারও হাতে। কোনও মতে নাকেমুখে গুঁজে দল বেঁধে চুটে চলেছে। বিশেষ করে কাজের চাপে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ সারতে হয় তো ঘড়ি ধরে। অগত্যা গপাগপ করে খেয়ে পেট ভরানো ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। কিন্তু তাতে করে যে শরীরের বারোটা বেজে যাচ্ছে, সে খবর কি রাখেন? বিশেষজ্ঞদের মতে ধীরেসুস্থে, মনোযোগ সহকারে না খেয়ে যদি কাজ করতে করতে অথবা টিভি দেখতে দেখতে খাবার খান, তা হলে সেই খাবার শরীরের কোনও কাজেই লাগে না। উল্টে বেশ কিছু শারীরিক (body) সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। তাই চটজলদি খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা এবার থেকে এই অভ্যাসটা ছাড়ুন। না হলে কিন্তু…
১. ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে
shutterstock
খেতে-খেতে পেট ভরে গেলে আমরা বুঝতে পারি কীভাবে জানেন? খাবারের প্রয়োজন মেটা মাত্র ব্রেনে একটা সিগনাল যায়, তা আমাদের শরীরকে জানান দেয় যে আর খাবারের প্রয়োজন নেই। তখন আমরা বুঝতে পারি পেট ভরে গেছে। দ্রুত খাওয়ার সময় ব্রেনে এই সিগনাল ঠিক মতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীরের বুঝে ওঠার আগেই আমরা অনেক পরিমাণে খেয়ে ফেলি, তাতে করে দেহে প্রয়োজন অতিরিক্তি ক্যালরির প্রবেশ ঘটে, যে কারণে ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়। এই কারণেই তো সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২. বদহজমের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে
এক্কেবারে ঠিক শুনেছেন! দ্রুত খাবার খাওয়ার সঙ্গে গ্যাস-অন্বল এবং বদহজমের যোগ রয়েছে বই কী! আসলে তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার সময় আমরা এক এক বারে অনেক পরিমাণে খাবার মুখে নিয়ে বিশেষ না চিবিয়েই গিলে ফেলি। ফলে খাবার ঠিক মতো গুঁড়ো হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে বদহজমের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তবে আরেকটা কারণেও গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ঘাড়ে চেপে বসে। খেয়াল করে দেখবেন গপাগপ করে খেলে বারে বরে গলায় খাবার আটকে যায়। হেঁচকিও ওঠে। ফলে প্রতিবার জল খেতে হয়, যে কারণে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে হজমের সমস্যার প্রকোপ বাড়ে।
৩. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হওয়ার আশঙ্কা থাকে
ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের খপ্পরে যদি পড়তে না চান, তাহলে চটজলদি খাবার (eat) খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। কারণ, দ্রুত খাবার খেলে রক্তে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে insulin resistance দেখা দেয়। আর এমন ঘটনা ঘটলে ব্লাড সুগারের মাত্রাও বাড়তে থাকে, যা ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগকে ডেকে আনে। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মেনে চলুন এই টিপসগুলি
১. খালি পেটে অনেক্ষণ থাকবেন না। তাতে কী ক্ষতি হয়? ব্রেকফাস্ট না করে একদিন অফিস গিয়ে দেখবেন কী হাল হয়। এগারোটা বাজতে না বাজতেই খিদেতে পেট জ্বলে উঠবে, তখন বাধ্য হয়েই গপাগপ করে খাবার খাবেন, যাতে খিদের জ্বালাটা মেটে। তাতে করে স্বাভাবিকভাবেই বেশি খাওয়া হয়ে যাবে। ফলে হাজার রকমের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা বাড়বে।
২. টিভি বা মোবাইল দেখতে দেখতে খাওয়া উচিত নয়। এমনকী, কাজ করতে করতেও নয়। কারণ, মনোযোগ সহকারে না খেলে কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন, সেদিকে যেমন নজর থাকবে না, তেমনই দ্রুত খাচ্ছেন, না আস্তে, তাও বুঝে উঠতে পারবেন না। ফলে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যাবে।
৩. ভাল করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবার খাবেন, তাতে বদহজমের সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। তাছাড়া ধীরে সুস্থে খেলে খাবারে উপস্থিত প্রতিটি উপকারী উপাদান শরীর ঠিক মতো শোষণ করতে পারে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…