দু’জনে মিলে যখন একটা সম্পর্কে জড়ান এবং দু’জনে একসঙ্গে অনেক স্বপ্ন দেখেন, তখন অনেক প্রত্যাশা মনের মধ্যে তৈরি হয়। আর আজকালকার দিনে সেই প্রত্যাশার মুখ্য কথা হল সব কিছুতেই যেন দু’জনের সমান অধিকার থাকে। অর্থাৎ আপনাকে প্রশ্ন করার অধিকার যেমন আপনার প্রেমিকের (boyfriend) আছে ঠিক তেমনই তাঁকে প্রশ্ন করার অধিকারও আপনি রাখেন। তাঁর যেমন কাজ থাকতে পারে তাই তিনি সিনেমা দেখতে বা ডেটে যেতে না পারেন সেরকমই আপনারও কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে দেখা করতে না পারার জন্য। এখন এই সমান সমান ভাগের পাল্লাটা যদি আচমকা একদিকে ভারী হয়ে প্রেমিকের দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে যে তিনি আপনাকে ডমিনেট (dominating) করছেন বা দাবিয়ে রাখতে চাইছেন। আর সেটা দিনের পর দিন হতে দেওয়া যায় না। প্রেমিকের কোন কোন আচরণ এই বিষয়ের দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত করে জানেন কি?
১) তিনি আপনাকে কোনও ব্যক্তিগত পরিসর বা স্পেস দেন না
বেশি ভালবাসায় অনেক সময় কিন্তু দমবন্ধ হয়ে আসে। সব সময় একই মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে বসে থাকা যায়না। আর সেটা সম্ভব হলেও সেটাকে আর যাই হোক না কেন ভালবাসা বলা যায়না। ভাবুন তো আপনি সারাদিন প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরছেন আবার বাড়ি এসেও তিনি আপনাকে ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছেন, হোয়াটসঅ্যাপ করছেন। আপঞই বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সেখানে তিনি গিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন! এতটা বোধহয় নেওয়া যায়না তাই না?
২) তিনি আপনাকে বিশ্বাস করেন না বা সব সময় ভুল বোঝেন
একটা সুস্থ সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে বিশ্বাসের ভিতের উপর। সেই বিশ্বাসই যখন থাকে না, তখন সেই সম্পর্কের গাছও আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়। আপনি যদি বলেন যে আজ দেখা করতে পারবেন না কারণ আপনার মা অসুস্থ বা আপনার বোনের পরীক্ষা আছে, সেটা একজন সহৃদয় প্রেমিকের বিশ্বাস করার কথা। দেখা না করা বা ফোনের উত্তর না দেওয়া মানেই এটা নয় যে তাঁকে আপনি ভালবাসেন না বা আপনি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছেন।
৩) উনি চান আপনার পুরো আকর্ষণ তাঁর দিকে থাকুক
সোজা ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় যে উনি একজন অ্যাটেনশান সিকার। অর্থাৎ উনি চান আপনি সব সময় তাঁর কথাই ভাববেন, তাঁর জন্য জিনিস কিনবেন এবং তাঁর সঙ্গেই দিনের বেশিরভাগ কাটাবেন। আপনি অন্য কারও কথা বললেই যদি প্রেমিক চটে যান তাহলে বস প্রবলেম আছে।
এছাড়া যে লক্ষণগুলি চিন্তা করার মতো
৪) উনি যখনই আপনাকে ডাকবেন আপনাকে সব কাজ রেখে চলে আসতে হবে।
৫) আপনাকে প্রতি পদে নিজের ভালবাসার প্রমাণ দিতে হচ্ছে।
৬) কোনও কিছু ঘটলেই তিনি আপনাকে দায়ী করেন।
৭) তাঁর কোনও কারণ ছাড়াই ঘন ঘন মুড সুইং হয়, আর তার দায় আপনাকে সামলাতে হচ্ছে।
এই দশকটি আমরা শেষ করতে চলেছি #POPxoLucky2020-র মাধ্যমে। যেখানে আপনারা প্রতিদিন পাবেন নতুন-নতুন সারপ্রাইজ। আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার আগামী বছরটা POPup করে ফেলুন!