প্রায় ১০ বছর ডেট করে বিয়ে করার ৬ মাসের মাথায় আজ ঊর্মি আর সুগত আজ ম্যারেজ কাউন্সিলারের চেম্বারে বসে আছে। ভাবতেও অবাক লাগে যে আপাতদৃষ্টিতে এই ‘কিউট কাপল’-এর (do you have trust issues) মধ্যে এতো বেশি সমস্যা যে আজ তাদেরকে পরিস্থিতি এখানে এনে দাড় করিয়েছে! যাই হোক, অনেক ঝড়-ঝাঁপটার মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রায় বছরখানেক বাদে ম্যারেজ কাউন্সিলারের সাহাজ্যেই ওদের সম্পর্ক আজ বেশ স্থিত।
অনেকদিন বাদে অবশ্য আমি ঊর্মিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে ওদের মধ্যে কি এমন সমস্যা হয়েছিল যে কাউন্সিলারের সাহায্য নিতে হয়েছিল। ওর কাছে সব শুনে যেটা বুঝেছিলাম এক কথায় সেতাকে বলে ‘অবিশ্বাস’। চূড়ান্ত ভুল বোঝাবুঝি এবং অবাস্তব কিছু এক্সপেক্টেশনের জন্য ওদের সম্পর্কের মধ্যে দানা বেধেছিল ‘অবিশ্বাস’ নামক ক্ষতিকর বস্তুটি।
এরকম ঘটনা যে শুধুমাত্র ঊর্মি আর সুগতর জীবনে ঘটেছে তা কিন্তু নয়, আমাদের আশেপাশে অনেকের মধ্যেই সম্পর্কে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল (do you have trust issues) দেখা দেয়। মাঝে মাঝে মতান্তর তো সব কাপলের মধ্যেই ঘটে কিন্তু সেটাকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। আবার অনেকে হয়ত বলবেন যে কি করে বুঝব যে অন্য মানুষটি আবার বিশ্বাস ভাঙবে কি না। আসলে কি বলুন তো, বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস – এই দুয়ের মধ্যে জাস্ট একটা সূক্ষ্ম লাইন রয়েছে, আর আপনাকে সেই লাইনটাই মেইন্টেইন করতে হবে।
নতুন সম্পর্কে কিভাবে গড়ে তুলবেন বিশ্বাস
যদি আপনি আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে সদ্য একটা সম্পর্ক তৈরি করেন তাহলে সেখানে কিন্তু আপনারও একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায় নিজের বিশ্বাসের জায়গাটা (do you have trust issues) তৈরি করার ক্ষেত্রে। কীভাবে করবেন ভাবছেন? ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটা স্টেপ ফলো করুন –
- একে অন্যের সাথে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন
- জাজ করবেন না নিজের পার্টনারকে
- নিজের বন্ধুমহলে আপনার সঙ্গীকে পরিচয় করান
- কথা বলার সময়ে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন
- নিজের আবেগ তার সামনে প্রকাশ করুন
- নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসুন
সঙ্গীকে বিশ্বাস করুন, তবে নিজের বুদ্ধিও খরচ করুন
একটা সম্পর্কে যখন কেউ থাকে তখন ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার সাথে সাথে একে অন্যকে বিশ্বাস করাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। সুখী দাম্পত্যের সিক্রেট কিন্তু একে অপরের প্রতি ভরসা রাখা। তা কীভাবে বুঝবেন যে আপনি আপনার পার্টনারকে বিশ্বাস করতে পারেন কিনা (do you have trust issues) কিম্বা উনি আপনাকে বিশ্বাস করেন কিনা –
- যদি আপনাদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা হয় এবং সেটা খুব পরিস্কারভাবেই হয়, তাহলে কিন্তু বুঝতেই হবে যে আপনাকে উনি বিশ্বাস করেন।
- সমস্যা সব কাপলের মধ্যেই থাকে, কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান কি আপনারা একসাথে করেন এবং ঝগড়া হলে একে অন্যকে ক্ষমা করে দেন? যদি উত্তরতা হ্যাঁ হয়, তাহলে বুঝতে হবে সব ঠিক আছে।
- আপনি কি আপনার পার্টনারের সব বন্ধুদেরকে চেনেন কিম্বা আপনার পার্টনার কি আপনার সব বন্ধুদেরকে চেনেন
- আপনারা কি একে অন্যের কথা মন দিয়ে শোনেন নাকি একজন কথা বলেই যান আর অন্যজন ফোন না ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকেন?
- আপনারা কি বিল শেয়ার করেন?
- আপনার পার্টনার কি আপনাকে দেওয়া কথা রাখেন? যদি রাখেন, তাহলে তাঁকে চোখ বুজে বিশ্বাস করুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!