মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়িতে বিয়ের খরচ সামলে উঠতেই যেখানে হিমসিম খেতে হয়, সেখানে প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট মানে তো আরও হাজার বিশেক টাকার ধাক্কা! তাই বাড়তি খরচের বোঝা এড়াতে ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই pre wedding photo shoot না করার সিদ্ধান্ত নেন। তাতে কুয়ো থেকে এক বালতি জল তোলার মতো অল্পবিস্তর খরচ বাঁচে ঠিকই! কিন্তু সেই সঙ্গে যে বেশ কিছু লোকসানও হয়ে যায়। বলেন কি, প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট না করলে বর-কনের লোকসান হয়? আলবাত হয়! কেমন লোকসান হয় শুনি!
১. দুরু দুরু বুকে বিয়ে-বউভাতের দিনে ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয়
ছবি তোলা সহজ। কিন্তু নিজেকে ক্যামেরার সামনে ঠিক মতো মেলে ধরাটা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়! তাই একেবারে ফাইনালের দিন ক্যামেরা মুখোমুখি না হয়ে তার আগেই যদি একটু ম্যাচ প্র্যাকটিস করে নেওয়া যায়, তা হলে বিয়ে-বউভাতের ( Wedding) ছবি তোলার সময় গাল বাঁকা হাসি মুখে ঠিক ঠিক ‘এক্সপ্রেশন’ দেওয়াটা কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বই কী! তাই তো বলি, অনেকের মতো আপনারও যদি ক্যামেরা ভীতি থাকে, তা হলে কিচু টাকা খরচ করে প্রি ওয়েডিং ফোটোশুটের আয়োজন করেই ফেলুন! তাতে লজ্জা তো কমবেই, সঙ্গে ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে আগে থাকতেই বোঝাপড়া হয়ে যাওয়ার সুযোগ মিলবে। ফলে ক্যামেরার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ও আর থাকবে না। তাতে ওয়েডিং অ্যালবামের প্রতিটি ছবিই যে খাসা উঠবে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
২. লুক টেস্টের সুযোগ হাত ছাড়া করতে চান না নিশ্চয়ই
বিয়ে-বউভাতের দিন লেহঙ্গা না বেনারসি, কেমন ধরনের পোশাক পরলে দেখতে খাসা লাগবে, সেই পোশাকের সঙ্গে হেয়ার স্টাইলই বা কেমন হওয়া উচিত, এই সব সম্পর্কে বিয়ের আগে একটা ধারণা করে নিলে মন্দ হয় না বলুন! তাই তো প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট মাস্ট! তাতে ‘লুক টেস্ট’-এর সুযোগ মিলবে। ফলে আসল দিনে স্টাইলিং-এ কোনও ভুল যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না। সঙ্গে বেশ কিছু ভাল-ভাল ছবিও তো উঠবে, সেটাই বা কম কথা কী!
৩.পার্টনারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন
প্রি ওয়েডিং ফোটোশুট সারতে এক-দু’দিন তো লেগেই যায়। সেই কটা দিন পার্টনারের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানোর সুবাদে একে অপরকে আরও কাছ থেকে জেনে-বুঝে নেওয়ার সুযোগ মিলবে। ফলে লজ্জার দেওয়াল নিমেষেই ভেঙে যাবে। ফলে বিয়ের আগেই সম্পর্কের বুনিয়াদটা আরও একটু মজবুত হয়ে উঠবে!
৪. বিয়ের কার্ডে বৈচিত্র আনতে ফোটোশুট মাস্ট
বাকি অনেকের মতো আপনাদের বিয়ের কার্ডটাও সেই মান্ধাতার আমলের মতো করবেন কেন! বরং একটু ক্রিয়েটিভিটি ফলালে কিন্তু মন্দ হয় না! বিয়ের মাসদুয়েক আগেই ঝটপট করে ফোটোশুট সেরে নিয়ে সেই ছবি বিয়ের কার্ডে ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে আর একটা কাজ করলে মন্দ হয় না। কী কাজ? সেই আদি কাল থেকে বিয়ের কার্ডে ছেপে আসা চেনা লাইনগুলি ব্যবহার না করে, নিজেদের মতো করে দু-চার লাইন লিখে ফেলুন বিয়ের কার্ডে। তাতে কার্ডের লুকটা তো ‘হটকে’ হবেই। সঙ্গে নিজেদের ক্রিয়েটিভি ফলানোরও সুযোগ মিলবে ষোলো আনা!
প্রি ওয়েডিং ফোটোশুটের আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
১. কেমন ধরনের ছবি তুলতে চান সেই নিয়ে ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে আগে থাকতে আলেচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন! একই সঙ্গে কোন-কোন জায়গায় ফোটোশুট করা যেতে পারে, তার একটা লিস্টও তৈরি করে নেবেন।
২. কোন ডেটে শুট করবেন তা নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ে সেই মতো ফোটোগ্রাফারকে জানিয়ে রাখবেন।
৩. ফোটোশুট চলাকালীন কেমন ধরনের ড্রেস পরবেন, সেটা ঠিক করে ফেলাটাও একটা গুরুত্ব কাজ। এই বিষয়ে পার্টনারের পাশাপাশি মেকআপ আর্টিস্টের সঙ্গে একবার কথা বলে নিতে পারেন।
৪. প্রি ওয়েডিং ফোটোশুটে পরিবারের কোনও সদস্য বা বন্ধুদের না ডাকাই উচিত। তাতে অনেক খোলা মনে শুট করতে পারবেন।
৫. ফোটো শুটের আগের দিন বেশি রাত করে ঘুমতে যাবেন না যেন! কারণ, চোখের নীচে কালি আর একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ছবি তুলতে বিশ্রী ছবি উঠবে। তখন কিন্তু ফোটোগ্রাফারকে দোষারোপ করলে চলবে না।
picture courtesy: facebook
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!