আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী নামবে একটা বড় যুদ্ধে। হ্যাঁ, এটাকে যুদ্ধ বলেই ভেবে নেন অনেকে। অনেক বাবা-মায়ের কাছেও সন্তানের পরীক্ষা যুদ্ধেরই নামান্তর। এই যুদ্ধের আড়ালে আপনার সন্তান টেস্ট অ্য়াংজাইটির (test anxiety) শিকার নয়তো? ভেবে দেখুন। সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন। সর্বোপরি ওদের পাশে থাকুন। কীভাবে বুধবেন আপনার সন্তান টেস্ট অ্য়াংজাইটির শিকার? এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়? আমরা সে বিষয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
কীভাবে বুঝবেন?
- আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। হয়তো আপনার সন্তানের প্রিপারেশন খুব ভাল। কিন্তু হঠাৎ করেই পুরোটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও জানা জিনিস মনে করতে পারছে না।
- যেই বিষয়টা সকালে রিভিশন করেছে, সেটাই হয়তো আবার রাতে পড়ছে। অর্থাৎ সকালের রিভিশন করার বিষয়টা হয় আপনার সন্তান ভুলে গিয়েছে। অথবা সকালের রিভিশনের পরও ওই বিষয় বা নির্দিষ্ট কোনও চ্যাপ্টার নিয়ে সে ততটা কনফিডেন্ট নয়।
- এই শেষ মুহূর্তেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮-১৯ ঘণ্টাই যদি পড়ে আপনার সন্তান, তাহলে বুঝবেন সে টেস্ট অ্যাংজাইটির শিকার। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সারা বছর কোনও পড়ুয়া ঠিক মতো পড়ে, তাহলে পরীক্ষার সাতদিন আগে এতটা এফর্ট না দিলেও কোনও ক্ষতি নেই।
- পরীক্ষার আগে যদি আপনার সন্তানের মাথার যন্ত্রণা বা পেটের সমস্যার মতো কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেও বুঝবেন সে টেস্ট অ্যাংজাইটির শিকার। কারণ তার মনের মধ্যে যে আশঙ্কা বা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেটা সে কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারছে না। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।
- লাস্ট ল্যাপে এসে যদি আপনার সন্তান বারবার আপনার বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য অথবা বন্ধুদের কাছেও নেগেটিভ কথা বলতে শুরু করে, তাহলে বুঝবেন তার মধ্যে টেস্ট অ্যাংজাইটি তৈরি হয়েছে। আমি ফেল করে যাব, পরীক্ষা খারাপ হবে, পাশ করলেও ভাল মার্কস হবে না… এই ধরনের কথা কোনও পরীক্ষার্থী বলা মানেই সে অত্যন্ত উদ্বেগে রয়েছে।
কী করণীয়
সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন। সর্বোপরি ওদের পাশে থাকুন। ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম।
- মনে রাখবেন, আপনিই এখন সন্তানের বন্ধু। ফলে সব রকম ভাবে ওকে সাহস দিতে হবে।
- সারাদিন বই নিয়ে বসে না থেকে য়েন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিভিশন কমপ্লিট করতে পারে, সেদিকে নজর দিন। না খেয়ে বা কম ঘুমিয়ে যদি পড়াশোনা করতে থাকে, সেটাও অ্যালাও করবেন না। কারণ হালকা ডায়েট, পর্যাপ্ত ঘুম এখন খুবই প্রয়োজন।শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষার হলে গিয়ে পারফর্ম করতে পারবে না।
- এর আগের বিভিন্ন পরীক্ষায় যেখানে আপনার সন্তান ভাল পারফর্ম করেছে, ওকে এখন সেগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে কনফিডেন্স বাড়বে।
- সব থেকে বড় বিষয়, রেজাল্ট যেমনই হোক, আপনি রেজাল্ট দিয়ে যে ওর বিচার করবেন না, সেটা ওকে বুঝিয়ে দিন। অর্থাৎ ভাল বা খারাপ, যাই হোক আপনি ওর পাশে থাকবেন, এই বার্তা যেন আপনার পরীক্ষার্থী সন্তানের কাছে পরিষ্কার থাকে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!