অতিমারি শুধুই মানুষকে সংক্রমিত করেনি । প্রভাব পড়েছে ব্যবসা, শিল্প অর্থনীতিতে । একইভাবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও অসুখের মতো ছড়িয়ে পড়েছে করোনার প্রভাব । যার জেরে প্রায় মাস কয়েক থমকে ছিল ইন্ডাস্ট্রির কাজ । বন্ধ ছিল সিনেমা হলগুলি । কিন্তু আনলক শুরু হতে আবার যখন সিনেমা হলগুলি খুলেছে । একটু একটু করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি । তাই যে ছবি ১০ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল । সে ছবি মুক্তি পেয়েছে পুজোয়, ২১ অক্টোবর । আর মাত্র ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়েই সে ছবি সুপার হিট । দর্শকের মন কেড়েছে অমল-মঞ্জরীর প্রেম । দেবালয় ভট্টাচার্য ( Debaloy Bhattacharya ) পরিচালিত ড্রাকুলা স্যার ( dracula sir )- র কথাই বলছি !
হিন্দিতেও মুক্তি পাবে ড্রাকুলা স্যার
তবে ড্রাকুলা স্যার বাংলা ভাষায় শুধু মুক্তি পেয়েছে, এই ভেবে যাঁরা দুঃখ করছিলেন । তাঁদের মুখে স্বস্তির হাসি ফেরাবে এসভিএফ । কীভাবে ? দীপাবলিতে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পাবে ড্রাকুলা স্যার ( dracula sir in hindi ) । অনির্বাণ ভট্টাচার্য ( Anirban Bhattacharya) – র অভিনয় যেভাবে বাঙালি মন কেড়েছে, একইভাবে ভারতের অন্যান্য দর্শকেরও মন জয় করবে বলে আশাবাদী ছবির নির্মাতারা ।
বিদেশি ভাবনায় মিশেছে বাঙালি উপাদান
শারদীয়ায় মুক্তি পেয়েছে ড্রাকুলা স্যার ( dracula sir ) । অমলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও মঞ্জরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী । আর অভিনেত্রীর জন্য এই ছবি বেশ স্পেশাল । কেন ? কারণ মিমি অনেকদিন পর দেবালয় ভট্টাচার্য ( Debaloy Bhattacharya ) – র এই ছবিতেই আবার ফিরলেন । সেই একইরকম দক্ষতায় তাঁকে বড় পর্দায় অভিনয় করতে দেখা গেল । এ ছবি যে বাঙালি মনে জায়গা করে নেবে, আগেই ভেবেছিলেন পরিচালক। সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, বিদেশি ছবিতে ড্রাকুলা চরিত্রকে একভাবে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক । তারও একটা নির্দিষ্ট আবহ আছে । দুর্গের মতো বাড়ি থাকে ড্রাকুলার । কফিন, ঘোড়ার গাড়ি… এই অনুষঙ্গগুলো ড্রাকুলা ভাবনাটির সঙ্গে অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে আছে । তবে ‘ড্রাকুলা স্যার’ বানানো হয়েছে বাঙালি দর্শক ও ভারতীয় দর্শকের কথা মাথায় রেখে । আর সে কারণেই কাহিনিতে মিশেছে বাঙালি উপাদান । কাহিনি ও তার প্রেক্ষাপটে সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে বাঙালিয়ানা ।
ছবির ব্যাকস্টোরি কি সত্তর দশক ?
ছবিতে কখনও উঠে এসেছে সাতের দশক । সে সময় এক আন্দোলনের ছায়া পড়েছে ছবির গল্পে । কখনও সেই আন্দোলনের অন্যতম সদস্য , কখনও আবার স্কুল শিক্ষকের ভূমিকায় ধরা দিয়েছেন অনির্বাণ । আবার ছাত্রদের ড্রাকুলা স্যার ( dracula sir ) হয়ে উঠেছেন অনির্বাণ । কিন্তু কেন ? ছবির ব্যানারে যেমন লেখা হয়েছিল, ‘রক্তপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’, এক্ষেত্রেও কি জড়িয়ে আছে সেরকম কোনও বিষয় ? না কি ইতিহাস ও স্মৃতির মাঝেই কোথাও ড্রাকুলা স্যারের আসা যাওয়া ! প্রশ্ন তৈরি হয়েছে অনেক । একইভাবে সেসব প্রশ্নের দক্ষ উত্তর দিয়েছেন পরিচালক ছবিতে । কেউ স্মৃতির প্রেক্ষাপট বলেছেন কেউ সিনেম্যাটোগ্রাফি ও আলোর ব্যবহারের প্রশংসা করেছেন ।
প্রশংসনীয় ভূমিকায় মিমি ও অনির্বাণ
অনির্বাণকে দেখা গিয়েছে বিদীপ্তা চক্রবর্তীর স্বামীর ভূমিকাতেও । মঞ্জরীর ভূমিকাতে নজর কেড়েছেন মিমি । অনির্বাণের আন্দোলনে তাঁর জায়গা হবে কি না, সেই প্রশ্নও করতে দেখা গেল যায় তাঁকে অর্থাৎ মঞ্জরীকে ।
হিন্দি ভাষাতেও জনপ্রিয় হবে ছবি, আশাবাদী নির্মাতারা
বাঙালি মন তো বেশ ভালই জয় করেছেন পরিচালক ও তাঁর টিম । পুজোর বাজারে রমরমিয়ে চলেছে ড্রাকুলা স্যার । এবার ভারতীয় দর্শকের মন জয়ের পালা । অন্তত এসভিএফ টিমের পরিকল্পনা তো সেরকমই বলে শোনা যাচ্ছে টলি পাড়ায় । হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পাবে ড্রাকুলা স্যার ( dracula sir in hindi ) । সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কথা জানিয়ে হিন্দি ট্রেলার ও পোস্টার শেয়ার করেছে এসভিএফ । এখন শুধু আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা । তারপরেই বোঝা যাবে, বাংলার বাইরের দর্শকও ড্রাকুলা স্যারের স্মৃতির সেই আসা যাওয়ায় হারিয়ে গেল কি না !
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে
থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!