বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুজো নিয়ে আমাদের অনুভূতি ও ভাবনাগুলো একটু একটু করে বদলে গিয়েছে। চারটে দিনের আনন্দ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু আনন্দের কারণগুলো বদলে গিয়েছে। ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি তবে বেশ প্রিয়। দুর্গাপুজোর নস্টালজিয়া (durga Puja nostalgia) বড্ড প্রিয়, আপনার নয় কি?
পুজোর চার দিন পড়ার ছুটি
পুজোর চারদিন কোনও পড়াশোনা করতে হত না আমাদের। এই চারদিন পড়ার ছুটি। সন্ধ্যাবেলায় নিয়ম করে পড়তে বসতে হত না। মায়ের বকা শুনতে হত না। এই কয়েকটা দিন শুধুই আনন্দ আর খেলে বেড়ানো। কখনও বাড়ির অন্যান্য় সদস্যের সঙ্গে, কখনও পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গেই সারাদিন খেলতাম আমরা। তারপর লক্ষ্মী পুজোর পরে আবার পড়তে বসতাম।
পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত স্কুল (durga Puja nostalgia)
তখন পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত স্কুল হত। যদিও সেদিন কোনও ক্লাস হত না। পুজোর নতুন জামাগুলোর থেকেই একটা নতুন জামা পরিয়ে মা স্কুলে নিয়ে যেত। সেদিন স্কুলে ছোট একটা ফাংশনও হত (durga Puja nostalgia) । সবাই নিজের মতো করে পুজোর গল্প বলতাম। কেউ গান গাইত, কেউ বা নাচ করত। তারপর স্কুল ছুটি পড়ত। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই পুজোর আনন্দ শুরু।
ক্যাপ বন্দুক
আমাদের সবারই একটা ক্যাপ বন্দুক ছিল ছোটবেলায়। একটা করে ক্যাপের বাক্সও ছিল। সেটাই বন্দুকে লাগিয়ে নিতাম। সারাদিন বাড়ির মধ্য়ে, পাড়ায় আর পুজো মণ্ডপের সামনে খুদেরা (durga Puja nostalgia) সেই ক্যাপ বন্দুক ফাটাত। শুধুই বন্দুক না, অনেকে তো পা দিয়েও ক্যাপ ফাটাতে পারত। প্রতি বছর পুজোর একটা নতুন বন্দুক লাগবেই। যদিও এখন বাচ্চাদের মধ্য়ে সেই চল আর দেখতে পাওয়া যায় না। তাই সেসব দিন এখন নস্টালজিয়াই।
রঙিন বেলুন! (durga Puja nostalgia)
পুজোর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বেলুন কিনব না এমন হয় না। প্রতিদিনই একটা করে নতুন বেলুন কিনে দিতেন বড়রা। সেই বেলুন হাতে ঠাকুর দেখতাম। কারও কারও সেই স্মৃতি এখনও নতুন। বাড়ি এসে খাটের গায়ে বেলুন বেঁধে রাখা হত। এখনও বেলুন দেখলে পুজোর সেই সব দিনের কথা (durga Puja nostalgia) বেশ মনে পড়ে যায়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!