নতুন বছরে নতুন কী-কী স্বপ্ন পূরণ করবেন, তার লম্বা ফর্দ নিশ্চয়ই তৈরি হয়ে গেছে? আচ্ছা, সেই লিস্টে সুস্থ থাকতে কোনও resolution-এর উল্লেখ রয়েছে কি? যদি না থাকে, তা হলে এখনই এই পয়েন্টগুলো যোগ করুন। শরীরই যদি সুস্থ না থাকে, তা হলে মোটা মাইনের চাকরি বা প্রোমোশন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়ে কী লাভ বলুন! তবে নিয়মগুলি মানা তেমন কঠিন নয়। একটু চেষ্টা করলেই মেনে চলতে পারবেন। আর যদি তেমনটা করতে পারেন, তা হলে নতুন বছরে (2020) শরীরবাবাজিকে নিয়ে যে কপালে একবারও ভাঁজ পড়বে না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই!
একটা বেসরকারি ইনশিওরেন্স কোম্পানির করা একটি সমীক্ষা অনুসারে আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৯ শতাংশ স্ট্রেসের শিকার, যে কারণে হার্টের রোগ সহ ছোট-বড় একাধিক অসুখের প্রকোপ বেড়েছে এদেশে। বাকি অনেকের মতো আপনিও যে স্ট্রেসের শিকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, আজকের সাংসারিক-কর্পোরেট জীবনে কাজের চাপ যা বাড়ছে, তাতে করে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির খপ্পরে পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু তাই বলে চুপ করে বসে থাকলে তো চলবে না। বরং স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কীভাবে কমবে স্ট্রেস, তাই ভাবছেন? নিয়ম করে মিনিটকুড়ি প্রাণায়াম করুন। পছন্দের গান শুনুন। দেখবেন, স্ট্রেস কমতে সময় লাগবে না। এছাড়াও আরেকটা কাজ করতে পারেন। কী কাজ? অফিসের পরে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ম করে আড্ডা মারুন। দেখবেন, স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি দূরে পালাতে সময় লাগবে না। আর স্ট্রেস যত কমবে, তত মন আনন্দে থাকবে। রোগ-ব্যাধিও দূরে থাকতে বাধ্য হবে। ইচ্ছে হলে স্ট্রেস কমাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সাহায্যও নিতে পারেন। অশ্বগন্ধা নাকি অ্যাংজাইটি কমাতে বেশ কাজে আসে। মোট কথা, যেন-তেন প্রকারেণ স্ট্রেসকে হারাতেই হবে। আশা করি, নতুন বছরে নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং আনন্দে থাকতে এইটুকু কাজ নিশ্চয়ই করতে পারবেন?
নতুন বছরে নিজেকে কথা দিন যে প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমাবেনই। আমরা ‘ঘুম’কে সেভাবে গুরুত্ব দিই না ঠিকই। কিন্তু শরীরের ভাল-মন্দের সঙ্গে ঘুমের যোগ বেজায় নিবিড়। দিনের পর দিন ঠিকমতো না ঘুমালে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যে কারণে নানা ধরনের রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যেমন ধরুন, হজম ক্ষমতা কমে যেতে পারে, হার্টের উপর চাপ বাড়বে, সেই সঙ্গে ব্রেনের ক্ষমতাও কমতে থাকবে। তাই বুঝতেই পারছেন সুস্থ থাকতে গেলে ঠিকমতো না ঘুমালে চলবে না।
এটা আবার কী জিনিস মশাই? গোদা বাংলায় বললে মোবাইল-ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে। সারা দিন আমরা কম্পিউটারের সামনে মাথা গুঁজে কাজ করে যাই। অফিসের পরেও যদি মোবাইল-ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে না পারি, তা হলে কিন্তু বিপদ। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত গ্যাজেটের ব্যবহারের কারণে স্ট্রেস লেভেল তো বাড়েই, সঙ্গে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। এমনকী, ব্রেন পাওয়ার কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় গ্যাজেটের থেকে দূরে থাকতে হবে। একেই Digital Detox বলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘুমানোর মিনিদশেক আগে থাকতে মোবাইল ব্যবহার করবেন না। কারণ, মোবাইল স্ক্রিনের নীল আলোর কারণে আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়, যে কারণে অনিদ্রার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে চোখের বারোটাও বাজে। তাই সাবধান!
পাস্তা, স্প্যাগেটি, বার্গার খেতে কার না ভাল লাগে বলুন! কিন্তু এই সব জাঙ্ক ফুডের কারণে যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়, সেদিকে নজর রাখেন কি? তাই এই সব খাবার খাওয়া আর চলবে না। বরং নতুন বছরে নিজেকে কথা দিন যে যখনই খিদে পাবে তখনই পুষ্টিকর খাবার খাবেন। কাজের ফাঁকে পেট ভরাতে চিপসের পরিবর্তে আমন্ড, কিশমিশ বা খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিঙ্কের জায়গায় পান করুন চিনি চাড়া ফলের রস। হাতের কাছে কিছু না থাকলে লেবু জলও খেতে পারেন। এছাড়াও আরেকটা নিয়ম মানতে হবে। কী নিয়ম শুনি? ভুলেও কোনও দিন ব্রেকফাস্ট স্কিপ করা চলবে না। ঘুম থেকে ওঠার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই প্রাতরাশ সেরে নিন। লাঞ্চ সারবেন দুপুর একটা নাগাদ। আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে রাতের খাবার ন’টার মধ্যে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। এই নিয়মগুলি মেনে চলার পাশাপাশি অল্পবিস্তর হাঁটাহাঁটি বা এক্সারসাইজ করতে ভুলবেন না যেন! দেখবেন, ফল পাবেন হাতে-নাতে!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…