বিশ্বাস করুন, ছোটবেলা থেকে যদি এই কাজটা গুরুজনেরা ঠিকমতো শেখাতেন, তা হলে হয়তো নিজের উপর আস্থাটা আরও অনেক আগে আসত এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সফল হওয়াটাও ঢের বেশি সহজ হত! নিজেকে ভালবাসা (Self Love) মানেটা আসলে কী? এর মানে হল, নিজের উপর বিশ্বাস রাখা, আমিও পারি, আমি লোকটাও নেহাত ফেলনা নই, এই সার সত্যটি বুঝতে শেখা। এটি বুঝলেই আপনার আত্মবিশ্বাস যাবে বেড়ে এবং তাতে ভর করেই আপনি সংসারের জটিল আবর্ত থেকে শুরু করে কেরিয়ারের গোলকধাঁধা, সবকিছুই পেরিয়ে যেতে পারবেন অনায়াসে! কিন্তু কী করে নিজেকে ভালবাসবেন, সেটাও একটা শিল্প! এটি করতেই আজ আপনাদের শেখাব (tips) আমরা…
১. আগে কেন নিজেকে ভালবাসবেন?
- নিজেকে ভালবাসলে তবেই আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, যা আপনাকে জীবনে সফল হতে সাহায্য করবে।
- আত্মবিশ্বাসে ভরপুর কোনও মানুষের কাছে কোনও বাধাই আসলে সাফল্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না। তাই নিজেকে ভালবাসুন।
- নিজেকে ভালবাসলে মনটাও খুশি-খুশি লাগবে!
- নিজেকে ভালবাসার (love) অর্থ হল, নিজের আরও সঠিক খেয়াল রাখা। এটি করতে পারলে আপনি নিজে তো ভাল থাকবেনই, আপনার আশপাশের মানুষদেরও ভাল রাখতে পারবেন।
- জীবনে চলার পথে যে ছোট-ছোট সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত আসে, সেগুলি আর বড় হয়ে দাঁড়াতে পারবে না, যদি আপনার মধ্যে নিজের উপর যথেষ্ট বিশ্বাস থাকে।
কীভাবে নিজেকে ভালবাসবেন
নিজেকে ভালবাসারও কায়দা আছে! জেনে নিন, কী-কী উপায়ে নিজেকে ভালবাসতে পারেন আপনি…
১) নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে বুঝতে এবং ব্যক্ত করতে শিখুন। কোনও কাজ আপনার ভাল লাগলে এবং কোনওটা না লাগলে, স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলুন। এতে হয়তো আপনার জনপ্রিয়তা কমবে, কিন্তু লাগাতার নিজের ভাল লাগা মন্দ লাগাগুলিকে দমিয়ে রাখতে থাকলে তা আপনাকে ভিতরে-ভিতরে এতটাই অখুশি করে তুলবে যে, নিজের উপর কোনও বিশ্বাসই আর অবশিষ্ট থাকবে না!
২) নিজের দিকে লক্ষ রাখুন! আপনি প্রথমে একটি একক ব্যক্তি, তারপর কারও মেয়ে, কারও বোন, কারও মা, কারও বন্ধু ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্য সব চরিত্রের দায়িত্ব পালন করে গিয়ে নিজের খুশিগুলো ভুলে যাবেন না যেন! নিজেকে নিজেই যত্নে রাখুন। অন্য কেউ আপনাকে যত্ন করলে তবে আপনি খুশি থাকবেন, কেন? যেটা করতে ভাল লাগে, সেটা করুন। কোনওদিন দৈনন্দিন কাজকর্মের একঘেয়েমি থেকে ছুটি নিয়ে স্রেফ আলসেমি করে দিন কাটাতে চাইলে সেটাই কাটান!
৩) নিজের সম্বন্ধে কোনও ভুল ধারণা মনের ভিতর বাসা বাঁধতে দেবেন না! আপনার স্বামী আপনাকে যতই মোটা বলুন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যদি আপনার নিজেকে রূপসী লাগে, তা হলে সেটাই বিশ্বাস করুন। কিংবা আপনার বাবা লোকজনকে বলে বেড়ান যে, মেয়ে অঙ্কে শকুন্তলা দেবীকেও চার গোল দিতে পারত, এদিকে ক্যালকুলাসের নাম শুনলেই আপনার পেটের ভিতরে গুরগুরানি হয়, কিন্তু বাবা বলেছেন বলে, আপনিও ভাবতে শুরু করলেন যে, আপনি অঙ্কে পণ্ডিত…এমনটা করলে শেষ পর্যন্ত বিপদ আপনারই!
৪) মাঝে-মাঝে নিজের সঙ্গেও একটু সময় কাটান! এই Me Time-টা খুবই জরুরি বলে মনে করেন মনোবিদরা। কোনও সিনেমা দেখুন একা-একা, শপিং করতে যান, ময়দানে গিয়ে ঘাসে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন, মোড়ের মাথার ফুচকাওয়ালার কাছে গিয়ে একটা গপাগপ ফুচকা খান…মোট কথা, আশপাশের গিজগিজ করতে থাকা লোকগুলিকে এড়িয়ে গিয়ে একটু নিজের জন্য বাঁচুন!্
৫) সব সময় সবকিছু নিখুঁত করে করা যায় না। তার চেষ্টাও করবেন না। ভুলের মধ্যে দিয়েই শিক্ষা নিন এবং ভুলগুলো মেনে নিতে শিখুন।
৬) সব কাজে সকলের অনুমতির অপেক্ষা করবেন না। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের, তারপর শিক্ষক-শিক্ষিকার, তারপর শ্বশুরবাড়ির…মেয়েরা অনুমতির তোয়াক্কা করতে-করতেই জীবন কাটিয়ে দেয়। বরং নিজের কাছে অনুমতি নিন, মন হ্যাঁ বললে তবেই এগোবেন।
৭) অতীতকে অতীতেই থাকতে দিন এবং বুক চিতিয়ে ভবিষ্যতের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
৮) নিজের প্রতিটি কাজকে খুঁটিয়ে বিচার করুন। এই সেলফ ক্রিটিসিজম ব্যাপারটা আসলে খুবই জরুরি এবং এটা করতে আমরা মোটেও পছন্দ করি না! কিন্তু অন্যদের মুখের ঝাল খাওয়ার চেয়ে এটি করলেই সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যায়!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…