কলকাতায় যেদিন বৃষ্টি হচ্ছে, সেদিন একটু ঠান্ডা। পরের দিনই আবার তাতাপোড়া গরম। এমন ঠান্ডা-গরমে সর্দি-কাশির (cold) খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা যে বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই সময় থাকতে থাকতেই কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরি, যা নিমেষে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাবে ও তার সঙ্গে নাক থেকে জল পড়া এবং জ্বর-জ্বালার মতো সমস্যাকেও দূরে রাখবে। বুকে জমে থাকা কফও বেরিয়ে যাবে। এত সব উপকার পেতে যে সব ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখা জরুরি, সেগুলি হল…
১. দুধ হলুদ
হলুদে রয়েছে curcumin নামক একটি উপাদান, যা প্রকৃতিতে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে, সঙ্গে প্রদাহের মাত্রা কমায়। ফলে সর্দি-কাশির প্রকোপ তো কমেই, বুকে জমে থাকা কফ বেরিয়ে যেতেও সময় লাগে না। এমনকী, বর্ষাকালীন নানা সংক্রমণকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এত সব উপকার পেতে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে হবে। আর যদি এই পানীয়তে এক কোয়া রসুন মিশিয়ে নিতে পারেন, তা হলে তো কথাই নেই! সেক্ষেত্রে আরও দ্রুত উপকার মিলবে।
২. লেবু, দারচিনি এবং মধু
অনেক দিন ধরেই কি বুকে কফ (cough) জমে রয়েছে? সঙ্গে লেজুড় হয়েছে নাক থেকে জল পড়া এবং সর্দি-কাশি? তা হলে আর সময় নষ্ট না করে ঝটপট হাফ চামচ মধুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দিনে বারদুয়েক এই সিরাপ খেলে অল্প দিনেই শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। কারণ, মধু এবং দারচিনি প্রকৃতিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। আর লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা নিমেষে এমন শারীরিক সমস্যাকে কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে Penn State College of Medicine-এর এক গবেষণায় একথা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সর্দি-কাশি এবং কফের মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে ‘ওভার দ্যা কাউন্টার’ অ্যালোপ্যাথি মেডিসিনের চেয়েও দ্রুত ফল মেলে নিয়মিত মধু খেলে।
৩. গোলমরিচ এবং ঘি
ঘি খেলে সর্দি-কাশি কমে যায়? এক্কেবারে! তাবে চটজলদি উপকার পেতে এক চামচ ঘিয়ের সঙ্গে হাফ চামচ গোলমরিচ মিশিয়ে নিতে ভুলবেন যেন! দিনে বারতিনেক এই ঘরোয়া ওষুধটি খাওয়া শুরু করলে কষ্ট কমতে সময় লাগবে না। তবে খালি পেটে কখনও ঘি আর গোলমরিচ খাওয়া চলবে না। বরং ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের খাবার খাওয়ার পর যদি খেতে পারেন, তা হলে দ্রুত ফল মিলবে।
৪. আদা, দারচিনি এবং রসুন দিয়ে তৈরি চা
এক কাপ লিকার চায়ে হাফ চামচ আদা, এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো এবং এক কোয়া রসুন ফেলে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন, উপকার পাবেন হাতে-নাতে! কারণ, এই তিনটে প্রাকৃতিক উপাদানই নানা উপকারী উপাদানে ঠাসা, যা শরীরকে ভিতর থেকে চাঙ্গা করে তোলে। ফলে কফ আর সার্দি-কাশির মতো রোগ-ব্যাধি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। এমনকী, ঠান্ডা-গরমের কারণে কথায়-কথায় জ্বর হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৫. তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি চা
এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক এবং analgesic properties, যা ড্রাই কফের মতো সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন উপকার পেতে কেমনভাবে খেতে হবে তুলসি পাতা? এক কাপ জলে দশ-বারোটা তুলসি পাতা ফেলে মিনিটপাঁচেক ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর জলটা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। দিনে বারতিনেক যদি এই পানীয়টি খেতে পারেন, তা হলে কষ্ট কমতে সময় লাগবে না।
৬. আমলকি
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই তো সিজন চেঞ্জের সময় সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটা করে কাঁচা আমলকি খেতে ভুলবেন না যেন! খেতে পারেন আমলকির রসও। তাতেও কিন্তু উপকার পাওয়া যায়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!