বিয়ে করতে চলেছেন এই বছরেই? তাহলে নিশ্চয়ই আপনার বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ? বিয়ের কার্ড তৈরি নিয়েও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে আপনার। বিয়ের কার্ড ছাপাতে দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখুন। কেমন হতে পারে আপনার বিয়ের কার্ড, পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। বিয়ের কার্ড (wedding invitation card) তৈরি করার সময় কার্ডের সৌন্দর্যে তো গুরুত্ব দেবেনই, সঙ্গে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন।
কেমন হবে যদি আপনার বিয়ের কার্ডে (wedding invitation card) আপনাদের একটি সুন্দর পোর্ট্রেট থাকে। যে পোর্ট্রেটে আপনাদের সম্পর্কের এক প্রতিচ্ছবি দেখতে পান আপনারা। ইদানীংকালে অনেক শিল্পী এমন ছবি আঁকছেন। কার্ডের ডিজাইন করাচ্ছেন। আপনিও এরকম কার্ড করাতে পারেন। শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। একধারে থাকতে পারে আপনাদের পোর্ট্রেট, অন্য়দিকে বয়ান লিখুন নিজেদের।
যখনই কোনও বিয়ের কার্ড আপনি হাতে পাবেন, দেখবেন প্রত্যেক কার্ডে লেখার বয়ান প্রায় একইরকম। সেই আধা সাধু-আধা চলিত ভাষায় লেখা হয় বিয়ের কার্ডে। এবার সেইক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন আসুক না। বিয়ের কার্ডের বয়ানে একটু নতুনের ছোঁয়া থাক। আপনার পরিচিত কেউ যদি লেখায় পারদর্শী হন, তাঁকে দিয়ে লিখে নিন কার্ডের বয়ান। অন্য়রকম বয়ান হলে আপনার কার্ড পড়েও মানুষ খুশি হবেন। আকর্ষিত হবেন।
একসময় বাঙালি বিয়ের কার্ডে সেই বাঙালিয়ানার ছোঁয়া থাকত। এখন সেইসব আর কোথায়? অবাঙালি কার্ডের স্টাইলই ছেয়ে ফেলেছে বাঙালি বিয়ের কার্ডের বাজার। সেই একইরকম প্যাটার্ন থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং, সেখানে থাকুক বাঙালি ছোঁয়া। জামিনী রায়ের চিত্রকলার ছোঁয়া থাকতে পারে। কিংবা অন্য় কোনও বাঙালি বিষয়ও উঠে আসতে পারে আপনার বিয়ের কার্ডে। হ্যান্ডমেড পেপারের কার্ড করাতে পারেন আপনি। দেখতে ভাল লাগবে আপনার বিয়ের কার্ড (wedding invitation card) ।
কেমন হয় যদি আপনার কার্ডে থাকে সেই ভিন্টেজ লুক। অনেক শিল্পীই এখন বিয়ের কার্ড হাতে বানিয়ে দেন। সেরকম কার্ড করাতে পারেন আপনিও।
নানা আকারের আধুনিক কার্ডের প্রচলন দেখা যাচ্ছে। যেমন গোলাকার, ত্রিকোণ ইত্যাদি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা, আয়তাকার কার্ড তৈরির পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, অন্য আকার নতুন বর-বউয়ের জীবনে জটিলতা আনতে পারে। বিশেষ করে ত্রিকোণাকার কার্ড করতে একেবারেই বারণ করছেন তাঁরা। তবে আয়তকার কার্ডের মধ্য়েও আপনি নানা রকম ডিজাইন পাবেন। সেই ডিজাইন অনুযায়ী কার্ড তৈরি করুন। কার্ড (wedding invitation card) তো চৌকো হলেই দেখতে ভাল লাগে।
বিয়ের কার্ড লাল ও মেরুন রঙের হলেই দেখতে ভাল লাগে। কোনওরকম ধূসর রং কার্ডে ব্যবহার না কড়াই ভাল। বিশেষ করে কালো ও ছাই রং একেবারেই ব্রাত্য বিয়ের কার্ডে। কারণ এই রং পরবর্তীকালে বৈবাহিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও উজ্জ্বল রং দেখতে ভাল লাগে। তাই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়াই ভাল। বিয়ের কার্ডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল রং হল যে-কোনও উজ্জ্বল ও ঘন রং। লাল, নীল, মেরুন রং বেছে নিতে পারেন। এখন অনেকে সোনালি রঙের কার্ডও করছেন।
মূল ছবি – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!