একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে শরীরকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা যতটা জরুরি, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক ঘুমানোটাও। কারণ, ঘুমানোর সময় (effects of sleep deficiency) শরীর তার ক্ষতের চিকিৎসা করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রেন ফাংশন যাতে ঠিক মতো চলে, সেই সংক্রান্ত নানা কাজকর্মও হয়ে থাকে। তাই ঠিক মতো ঘুম না হলে এই সব কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে ছোট-বড় নানা সব রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ঘুম কম হলে কী কী শারীরিক সমস্যায় আপনি ভুগতে পারেন
মস্তিষ্কের ক্ষমতা হ্রাস পায়
দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে ব্রেন ফাংশনে ব্যাঘাত (effects of sleep deficiency) ঘটে, যে কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি মনোযোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। কমে শারীরিক ক্ষমতাও। এই কারণেই তো দৈনিক সাত-আট ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
অবসাদের আশঙ্কা বেড়ে যায়
২০১৮ সালে প্রকাশিত National Care Of Medical Health-এর রিপোর্ট অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬.৫ শতাংশ, মানসিক অবসাদ সহ নানা ধরনের মেন্টাল ডিসঅর্ডারের শিকার। সেই দলে যদি নাম লেখাতে না চান, তাহলে ঘুমের দিকে নজর ফেরান। কারণ, দিনের পর দিন ঠিক মতে ঘুম না হলে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও (effects of sleep deficiency) বাড়ে। তাই সুখে-শান্তিতে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে নিয়মিত সাত-আট ঘন্টার ঘুম জরুরি।
ওজন বাড়তে থাকে
একাধিক স্টাডির পরে একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে দৈনিক সাত-আট ধন্টা ঘুম না হলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রায় ৮৯ শতাংশ বেড়ে যায়। কারণ, সেক্ষেত্রে ghrelin এবং leptin নামে দুটি হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হয় না, যে কারণে ক্ষিদে খুব বেড়ে যায়। ফলে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরির প্রবেশ ঘটার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে সময় লাগে না। আর একবার ওজন বাড়তে শুরু করলে হার্টের ক্ষমতা যেমন কমে, তেমনই উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল এবং হাই প্রেসারের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই বুঝতেই পারছেন, ঘুমের কোটা পূরণ হওয়াটা কতটা জরুরি।
রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে
অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়তে চান না নিশ্চয়? তাহলে ঠিক মতো ঘুমচ্ছেন না কেন! বেশ কিছু স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে মাত্র ছ’দিন ঠিক মতো না ঘুমালেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে (effects of sleep deficiency), সে সময় যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হল, ঘুমের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? টানা কয়েকদিন ছয়-সাত ঘন্টা ঘুম না হলে insulin sensitivity কমতে শুরু করে, যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!