গত সপ্তাহে অনেকগুলো অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রন ছিল। কি পরে যাওয়া যায়, সেটা ভাবতে ভাবতে মনে হল যে শাড়ি (saree) তো খুব একটা পরা হয়ে ওঠেনা, তাই এই উপলক্ষ্যে শাড়িগুলোই পরি। কিন্তু আলমারি খুলে শাড়ি রাখার জায়গাটা দেখে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে কোন শাড়িটা পরা উচিত। এমনিতে আমি একটু গোলগাল (curvy) চেহারার অধিকারিণী (women), তাই জামাকাপড় পরার আগে একটু ভাবতে হয়। শাড়িটা (saree) পরতে পছন্দ করি, তার অবশ্য আরও একটা কারন আছে, শাড়ি পরলে আমাকে একটু স্লিম (slim) আর লম্বা দেখায় 😉 যাই হোক, যেটা বলছিলাম, কোন শাড়ি পরব, ভাবতে ভাবতে একটা সুন্দর কালো রঙের হ্যান্ডলুম শড়িই শেষ পর্যন্ত বেছে নিলাম। আসলে পরে ভেবে দেখলাম, যদিও ‘কারভি ওম্যান’-দের (curvy) (women) একটা আলাদা অ্যাপীল রয়েছে, তবুও যে কয়েকটা ছোট ছোট ব্যাপার মাথায় রাখলে একটু বাল্কি চেহারার মহিলাদেরকে শাড়িতে বেশ স্লিম (slim) দেখায়। কি সেই টিপস (tips)? এক্ষুনি বলছি –
Tips ১। গাঢ় রঙ বাছুন
যারা একটু বাল্কি (curvy), গাঢ় রঙ পরলে তাদেরকে তুলনামুলকভাবে একটু স্লিম (slim) দেখায় – এটা সবাই জানে। কিন্তু গাঢ় রঙের শাড়ি পরতে বলছি বলে কিন্তু এটা ভাববেন না যে চকমকে রঙ পরতে বলছি। তার চেয়ে বরং একরঙা শাড়ি পরুন, সেলফ কালারের ছোট ছোট মোটিফের কাজ করা শাড়িও পরতে পারেন। কালো, নেভি ব্লু, মেরুন, খয়েরি এই রঙগুলো বেছে নিতে পারেন।
Tips ২। সঠিক ফ্যাব্রিক
যেকোন জামাকাপড়ের ক্ষেত্রেই সঠিক ফ্যাব্রিক (fabric) বাছাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চেহারা যদি একটু ভারির দিকে হয় তাহলে শাড়ি (saree) কেনার সময় এমন ফ্যাব্রিক (fabric) বাছুন যেটা গায়ের সাথে লেপটে থাকে এবং ফুলে না থাকে। তাঁতের শাড়ি কিম্বা বেনারসি, ব্রোকেড এই জাতীয় ফ্যাব্রিক (fabric) যেহেতু ফুলে থাকে, তাই এগুলোতে চেহারা ভারি (fatty) দেখায়। শ্যাটিন, শিফন, ক্রেপ কিম্বা জর্জেট – এই ধরনের শাড়ি (saree) পরার চেষ্টা করুন। এই ফ্যাব্রিকগুলো গায়ের সাথে সুন্দরভাবে জড়িয়ে যায় এবং এর ফলও ভালো থাকে। এছাড়া এই ধরনের ফ্যাব্রিক (fabric) যেহেতু হাল্কা হয়, তাই শাড়ি পরে হাঁটাচলা করতেও অসুবিধে হয়না।
Tips ৩। শাড়ির লেন্থ কতটা
শাড়ির লেন্থ কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতিরিক্ত বড় শাড়ি হলে কুঁচি (pleats) করার সময়ে পেটের কাছটা ফুলে থাকে, ফলে দেখতে বাজে লাগে, আর যাদের একটু ভারি (fatty) পেট, তাদেরকে দেখে আরও চওড়া মনে হয়। একটা শাড়ির (saree) লেন্থ সাধারণত সাড়ে পাঁচ মিটার হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, এই মাপটা কিন্তু ব্লাউজপিস বাদ দিয়ে বলছি।
Tips ৪। শাড়ি ড্রেপ করাটা জরুরি
যতই গরজিয়াস শাড়ি (saree) পরুন না কেন, আলুথালুভাবে পরলে কিন্তু গোটা সাজটাই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি একপল্লা করে আঁচল (draping) দিন কিম্বা প্লিট করে সেটা সম্পূর্ণ আপনার পছন্দ। যাদের একটু বাল্কি (fatty) চেহারা, তারা অনেকসময়ে পিন-আপ করে শাড়ি (saree) পরতে পছন্দ করেন যাতে তাদের কার্ভগুলো (curvy) বোঝা যায় এবং খুব বেশি মোটা (fatty) না লাগে। আবার অনেকেই একপল্লা করে আঁচল (draping) দেন, যদি শাড়ির আঁচলে বিশেষ কোন রকমের নক্সা (design) করা থাকে।
বোনাস টিপস (Bonus Tips)
- খুব বেশি জবরজং নক্সার (design) শাড়ি পরবেন না, তার চেয়ে বরং ছোট নক্সার বা প্রিন্টের শাড়ি পরুন।
- যদি জ্যামিতিক নক্সার শাড়ি পরতে হয়, তাহলে লম্বাকার কিম্বা কোনাকুনি নক্সা (design) করা শাড়ি পরুন। এতে দেখতেও স্লিম (slim) লাগে আর লম্বাও লাগে।
- আপনি যদি কোন গরজিয়াস শাড়ি (saree) পরেন তাহলে ব্লাউজটা খুব বেশি গরজিয়াস পরবেন না, মোটা দেখায় এতে।
- ব্লাউজের হাত নিয়েও একটু সচেতন থাকা উচিত। থ্রি-কোয়াটারস কিম্বা কনুই পর্যন্ত হাতাওয়ালা ব্লাউজ একটু ভারি চেহারার (curvy) মহিলাদেরকে (women) মানায় বেশি। তবে আপনি যদি স্লিভলেস ব্লাউজে স্বচ্ছন্দ হন, তাহলে কিন্তু সেটা পরতে মানা নেই।
ছবি সৌজন্যে – Pinterest এবং Youtube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন