আপনি কি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করছেন? তা নিশ্চয়ই নয়! তা হলে ভালবাসার সম্পর্ককে সুন্দর রাখার দায়িত্ব আপনারই। এক্ষেত্রে আমরা আপনাকে কিছু টিপস (advice) দিতে পারি। কিন্তু সেটা অক্ষর-অক্ষরে মেনে চলতে হবে আপনাকেই। যদি মানেন, তা হলে ভালবাসার তার গভীরতা খুঁজে পাবে। ফলে যত সমস্যাই আসুক না কেন, একে অপরের হাত ছাড়তে দেখবেন মন চাইবে না। ভাবছেন, কী-কী টিপস মানলে সম্পর্কের ভিত শক্ত হবে? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।
সম্পর্ককে সুন্দর রাখার টিপস
১. ঝামেলা মেটান চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে
দু’জন ভিন্ন মানসিকতার মানুষ এক ছাদের তলায় থাকলে একটু গরমা-গরমি তো হবেই। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না! তাহলে কী করণীয়? মাথা ঠান্ডা হলেই পার্টনারের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে তাঁকে কাছে টেনে নিয়ে নিজের মনের কথা খুলে বলুন। তাঁর কথাও মন দিয়ে শুনুন। দেখবেন, ঝগড়ার ঝাঁজ কমতে সময় লাগবে না। কিন্তু ভুলেও বেশিক্ষণ রাগ করে থাকবেন না যেন! তাতে পার্টনারের অভিমান আরও বাড়বে। ফলে ছোট্ট ঘা থেকে গ্যাংগ্রিন হতে কিন্তু সময় লাগবে না। বাড়বে দূরত্বও। তাই যে-কোনও সমস্য়াই হোক না কেন, তা অল্পতেই মিটিয়ে ফেলুন। তাতে দু’জনেরই মঙ্গল।
২. দোষারোপ করা ঠিক নয়
কেউ তো আর জেনে বুঝে ভুল করে না। অজান্তে হয়ে যায়। তাই পার্টনার যদি কোনও ভুল করে ফেলেন, তা হলে দয়া করে চিমটি কেটে কথা বলবেন না। এমনকী চিৎকার চেঁচামেচি করাও উচিত নয়। তাতে দুঃখ বাড়বে বই কী। বাড়়বে অভিমানও। স্বাভবিকভাবেই ভালবাসা কমবে। দুর্বল হবে সম্পর্কের ভিত। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা করে কোথায় ভুলটা হয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে। সেই মতো পার্টনারকে বোঝাতে হবে, যাতে আগামী সময় একই ভুল না হয়। তাতে ভালবাসা আরও বাড়বে। বাড়বে একে অপরের প্রতি বিশ্বাসও। আর যে সম্পর্কের (relationship) বুনিয়াদ বিশ্বাস আর ভালবাসার উপর দাঁড়িয়ে, সেই সম্পর্ক ভাঙে এমন সাধ্য কার!
৩. ভাল দিকটা দেখুন, খারাপটা নয়
আমাদের প্রত্যেকেরই যেমন কিছু ভাল গুণ রয়েছে, তেমনই কিছু খারাপ অভ্যাসও আছে। আপনার কাজ হবে পার্টনারের খারাপ দিকগুলো উপেক্ষা করে শুধু ভাল গুণগুলো নিয়ে ভাবা। সেই সঙ্গে পার্টনারকেও একই রকম ভাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। এই টিপসটা মানলে দেখবেন কোনও সময়ই আপনাদের মনে একে অপরের প্রতি তিক্ততা জন্ম নেবে না।
৪. দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে ভুলবেন না যেন
গল্প করতে-করতে ঠিক করে ফেলুন তো বাড়ির কোন কাজটা কে করবে। সঙ্গে কে কত টাকা সংসার খরচের জন্য দিতে পারবে, সে বিষয়েও জেনে-বুঝে নিন। এভাবে দায়িত্ব ভাগ করে নিলে কারও উপরেই বেশি চাপ পড়বে না। ফলে কমবে অকারণ দুশ্চিন্তা। তাতে মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে গিয়ে অকারণ ঝগড়া-ঝাঁটি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকেব না।
৫. কোনও কথা লুকিয়ে রাখবেন না
প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে এক পেয়ালা চা বা কফিতে চুমুক মারতে-মারতে পার্টনারের সঙ্গে চুটিয়ে গল্প করুন। সারাদিন কেমন কাটল, তা জানতে চান। নিজের ছোট-বড় নানা অভিজ্ঞতার কথাও পার্টনারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন। ভুলেও কিছু লুকিয়ে রাখবেন না যেন! তাতে আপনাদের মাঝে দূরত্ব কমবে। বিশ্বাসের ভিতও আরও মজবুত হবে। ফলে সম্পর্কের বুনোট এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে যে হাজারও ঝড়-ঝাপটার পরেও ভালবাসার ইমারতে একটুও চিড় ধরবে না। বরং সময়ের সঙ্গে তা আরও মজবুত হয়ে উঠবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss করলে কি কি শারীরিক উপকার মেলে
ভালোবেসে মনের মানুষটি কে এই ডাকনামে ডাক দিও
রোমান্টিক ডায়লগ যা আপনাকে আপনার পার্টনারের আরও কাছে নিয়ে যাবে
ভালোবাসার মানুষটির জন্য দুষ্টু-মিষ্টি মেসেজ
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!