প্রিয়ঙ্কা (priyanka) সরকার। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এখন প্রথম সারির নাম। খুব সাধারণ ভাবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধাপে ধাপে নিজেকে বদলেছেন। গ্রুম করেছেন। আপডেট করেছেন নিয়মিত। একের পর এক ভিন্ন ধারার ছবিতে কাজ করছেন। পাশাপাশি একার হাতে সামলাচ্ছেন ছেলে সহজের দায়িত্বও। আজ শুক্রবার মুক্তি পেতে চলছে অর্ণব কে মিদ্যা পরিচালিত ‘অন্দরকাহিনি’ (Andarkahini)। চারটি ভিন্ন গল্পকে এক ছবিতে বেঁধেছেন অর্ণব। চারটি গল্পেই মূল ভূমিকায় রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কার অন্দরকাহিনি
নায়িকা শেয়ার করলেন, এই ছবির চারটে গল্প চারজন মহিলার জীবনের অংশ। কখনও মেয়ে, কখবও বান্ধবী, কখনও বা স্ত্রী। দুই বান্ধবীর গল্প রয়েছে। দুই ভাইবোন রয়েছে আর এক গল্পে, যারা চায়ের দোকান চালায়। আবার এক গল্পে রয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত স্ট্রাগলিং স্বামী-স্ত্রী। প্রিয়ঙ্কার কথায়, “আসলে কোথাও গিয়ে তো মেয়েরা একই। এই ছবিতে আসলে উওম্যানহুডটাকে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
অ্যাওয়ার্ড-কাহিনি
প্রায় দু’বছর আগে তৈরি হয়ে গিয়েছিল ‘অন্দরকাহিনি’। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৯টি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে ছবিটি। প্রিয়ঙ্কা জানালেন, সব রকম ক্যাটেগরি মিলিয়ে মোট ৩৬টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ছবিটি। অর্থাৎ রিলিজের আগে বড় অংশের দর্শকের কাছে প্রশংসিত হয়েছে প্রিয়ঙ্কার কাজ।
ক্রাউড ফান্ডিং
‘অন্দরকাহিনি’র শুরু থেকেই আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল গোটা টিম। রিলিজও হচ্ছে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে। প্রিয়ঙ্কার কথায়, “এখন অনেক ইন্ডিপেনডেন্ট কাজ হচ্ছে। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম আছে বলে তাও সুবিধে। সেটা থাকলে অনেক ইন্ডিপেনডেন্ট কাজ হারিয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। এই ছবিটাও ক্রাউড ফান্ডিং করে রিলিজ করছি আমরা। কিন্তু ক্রাউড ফান্ডিংয়ের কনসেপ্টটাই ক্লিয়ার নয় এখনও অনেকের কাছে। আমি শুধু বলব, সাধারণ দর্শক এই সিনেমাকে সাপোর্ট করতে চাইলে টিকিট কেটে সিনেমা হলে গিয়ে দেখুন।”
নেক্সট প্রজেক্ট
রাহুলের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এখন চলছে প্রিয়ঙ্কার। যখন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হল, তখন কোয়ালিটির বিচার না করে কাজের কোয়ান্টিটির দিকে নজর দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, অর্থের প্রয়োজনেই বেশি সংখ্যক কাজ করেছেন। সময় কিছুটা হলেও বদলেছে এখন। তাই অনেক ক্ষেত্রেই চরিত্র পছন্দ না হলে কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন নায়িকা। কিছুটা বেছে কাজ করতে পারছেন। রাজীব কুমারের পরিচালনায় ‘প্রতিঘাত’-এর শুটিং শেষ করেছেন। এই ছবিতে সোহমের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে হয়েছে গোটা ছবির শুটিং। এই বছরের শেষের দিকে সম্ভবত মুক্তি পাবে এই ছবি। ওয়েব সিরিজ ‘হ্যালো থ্রি’র শুটিং শুরু হবে। জি-ফাইভের জন্য এনআইডিয়াজের প্রযোজনায় ‘ফিল্টার কফি লিকার চা’-এ অভিনয় করলেন প্রিয়ঙ্কা। এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দেবারতি গুপ্ত। “সাউথ ইন্ডিয়ান ছেলে আর বাঙালি মেয়ের গল্প। কমেডি। মেয়েটি ফুডি। কফি বা সাউথ ইন্ডিয়ান যে কোনও খাবার খুব অপছন্দ করে। এবার ওর ফ্ল্যাটমেট হিসেবে আসে একটি সাউথ ইন্ডিয়ান ছেলে। ওদের জার্নিটা রয়েছে। নিশান অভিনয় করছে। ঊষা উত্থুপও রয়েছেন” শেয়ার করলেন প্রিয়ঙ্কা। আর? প্রিয়ঙ্কা হেসে জবাব দিলেন, “আর একটা ভাল কাজের খবর দিতে পারব। তবে এখনই নয়। ফাইনাল হোক। জানাব। এখন কিছু বলা বারণ।”
সহজকে সামলানোর সহজ উপায়
ছেলে সহজকে কার্যত একাই সামলান প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু সেটা একেবারেই কঠিন কিছু নয় বলে দাবি করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আসলে আমার কাছে টাইম ম্যানেজমেন্টটা ডিফিকাল্ট নয়। শুট থাকলে টানা ১০-১২ দিন বাড়ির বাইরে থাকি। আমি একেবারেই পার্টি করি না। আড্ডা মারলেও সেটা বাড়িতেই। আর মা, বাবা, বোন এসে থাকে মাঝেমধ্যেই। তবে ফ্যামিলি সাপোর্ট ছাড়া এটা সম্ভব হত না।”
এবং রাহুল…
রাহুলের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের মামলা এখনও চলছে। ফলে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাইলেন না প্রিয়ঙ্কা। শুধু বললেন, “মাসে একদিন কোনও একটা কমন প্লেসে যেমন ধরুন সাউথ সিটি বা অন্য কোথাও সহজের সঙ্গে রাহুল দেখা করে।”
তথাগত কি শুধুই বন্ধু?
রাহুলের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের প্রায় শুরু থেকেই প্রিয়ঙ্কার জীবনের সঙ্গে তথাগতর নাম জড়িয়ে গিয়েছে। তথাগত পেশায় ফোটোগ্রাফার। ইদানীং প্রিয়ঙ্কার প্রায় সব ফোটোশুটই তিনি করেন। শোনা যায়, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নাকি তাঁর সম্পর্ক বন্ধুত্বের থেকেও কিছু বেশি। এমনকী রাহুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের নানা কারণের মধ্যে তথাগতও অন্যতম ফ্যাক্টর। আসল সত্যিটা কী? প্রিয়ঙ্কার সোজাসাপ্টা উত্তর, “আমি আগেও বলেছি তথাগত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। খুবই হেল্প করে আমাকে। সাপোর্ট করে। মরাল সাপোর্ট, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট…।” অভিজ্ঞতা হোক বা সাফল্য- দু’দিক থেকেই প্রিয়ঙ্কা এগিয়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, বেশ কিছু জায়গায় উল্টে তথাগতকে হেল্প করছেন আপনি? হেসে বললেন প্রিয়ঙ্কা, “ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। আমি কীভাবে ওকে হেল্প করব? হ্যাঁ, আমার কিছু এডিটোরিয়াল শুট ও করে দেয়। কারণ ওর সঙ্গে আমি কমফর্টেবল থাকতে পারি।”
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!