তাঁর অভিনয় বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’, ঋত্বিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে থ্রিলার। আবার দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে হ্যাকিং নিয়ে সিনেমা করছেন পাওলি দাম। এসবের পাশাপাশি পাওলিকে দেখা যাবে ওয়েবসিরিজ কালী-র দ্বিতীয় সিজনেও। ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা উঠে এল POPxo Bangla-র সঙ্গে আড্ডায়।
খুব ভাল। আপনি?
থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।
হুম। ১৫ অগস্ট রিলিজ। প্রতিমের ছবি। সব চরিত্রই ও খুব যত্ন করে লেখে। ইউজুয়ালি আমাকে যেগুলো অফার করে সেগুলো খুবই ভাল। ‘আহা রে মন’ হোক বা ‘মাছের ঝোল’ সবকটাই দারুণ। এই ছবিটাতেও (Cinema) আমার চরিত্রটা দারুণ।
নন্দিতা। সে সুপারস্টার। এনজয়িং হার লাইফ। পলিটিক্স জয়েন করেছে। আসলে থ্রিলার তো, খুব বেশি বলা যাবে না। তবে একজন সাংবাদিকের (Journalist) সঙ্গে সুপারস্টারের কানেকশন। একজন সাধারণ মানুষের গল্প। তার মধ্যেও যে গোয়েন্দা থাকে, তাকে এক্সপ্লোর করা হয়েছে।
হ্যাঁ। শান্তিলাল ওয়েদার জার্নালিস্ট। হঠাৎই একটা লিড পেয়ে যায় সে। তারপর তার পিছনে ধাওয়া করতে থাকে। লিডটা ধরে সেই রহস্যটা ভেদ করতে চায় শান্তিলাল। এ দিকে নন্দিতা নাইস, গ্ল্যামারাস, লার্জার দ্যান লাইফ একটা ক্যারেক্টার। সাকসেসফুল হিরোইন। ওর লাইফ নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেক কিউরিওসিটি আছে। আপনি যদি ট্রেলারটা দেখেন সেখানে দেখবেন মীনাক্ষী নামের একটা ব্যাপার আছে। সেটা শোনার পর থেকেই খটকাটা শুরু হয়। সাম পার্সন যে মীনাক্ষি থেকে নন্দিতা হয়েছে।
ইয়েস। ছাপোষা জার্নালিস্ট থেকে ইনফরমেশন পেয়ে ডিটেকটিভ হয়ে ওঠার জার্নি শুরু হয়। ওদিকে নন্দিতার লাইফে এফরিথিং ওয়াজ ফাইন গোয়িং। যে পজিশনে ও বিলং করে সেখানে অনেক প্ল্যান, ক্যালকুলেশন দরকার। টাফ লাইফ। বাইরে থেকে যা-ই বলুক লোকে, সুপারস্টারের জীবন আদতে খুবই কঠিন। ইটস আ আনইউজুয়াল জার্নি ফর হার।
টুইটার
ইয়েস। এটা চার নম্বর। ওর সঙ্গে কাজ করতে সবসময়ই খুব ভাল লাগে। আমার খুব আনন্দ হয় বলতে পারেন। আর অভিনেতা হিসেবে তো অসাধারণ। প্রতিমের ছবি মানেই হোমকামিং ফর অল অফ আস। এতগুলো কাজ একসঙ্গে করেছি আমি আর ঋত্বিক, আন্ডারস্ট্যান্টিংটা খুবই ভাল হয়ে গিয়েছে। তবে যদি জুটি বলতে চান, তা হলে একটা কথা বলার আছে।
আমি চাইব জুটি হিসেবে ঋত্বিক-পাওলিকে (Paoli) আরও এক্সপ্লোর করা হোক। মানে, আমাদের যৌথ স্ক্রিন প্রেজেন্স আরও বেশি হোক চাইব। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, যে সব ছবি করেছি একসঙ্গে সেখানে জয়েন্টলি খুব বেশি স্ক্রিন প্রেজেন্স এমন নয়। সেটাই আরও বেশি হলে ভাল হয়।
হা হা হা…
দেখুন, গোয়েন্দাদের বাজার সব সময়ই ভাল! থ্রিলার (thriller) পড়তে বা দেখতে, সকলেই ভালবাসেন। আসলে এতে টুইস্ট অ্যান্ড টার্নস থাকে অনেক বেশি। সেই এক্সাইটমেন্টটা এনজয় করে অডিয়েন্স। তবে শান্তিলাল কিন্তু বইয়ের মলাট থেকে উঠে আসা ডিটেকটিভ নয়। যে সব গোয়েন্দার গল্প থেকে ছবি হয়েছে তাদের নিয়ে অলরেডি একটা নলেজ মানুষের মনে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু ছাপোষা মানুষও যে ডিটেকটিভ হতে পারে, এই ছবিতে সেটা একটা নতুন দিক। আমি শিওর প্রত্যেকে রিলেট করতে পারবেন। ডিফারেন্ট কাইন্ড অফ কা ডিটেকটিভ। এরকম কিন্তু আগে দেখিনি আমরা। বলতে পারেন, স্টোরি অফ আ কমন ম্যান। এটাই ইউএসপি অফ দ্য ফিল্ম।
এটার পর পুজোতে আসছে ‘পাসওয়ার্ড’। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় দেবের প্রোডাকশন হাউজের ছবি। দেব অভিনয়ও করেছে। ওর সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম।
টুইটার
খুব ভাল। দেব মানুষ হিসেবেও খুব ভাল। হাই এনার্জি লেভেল সব সময়। ফান লাভিং। ও তো জনপ্রতিনিধিও বটে। এত কিছু অ্যাচিভ করার পরেও ও মানুষ হিসেবে এতটুকুও বদলায়নি। সেটে সকলেরই খুব খেয়াল রাখত।
হা হা হা…আমি অ্যাক্টর বা প্রোডিউসার দেবকে আলাদা করে মার্কিং করতে চাই না। ওই যে বললাম, ও মানুষ হিসেবেই খুব ভাল। আর একটা বিষয় হল, অ্যাক্টর যদি প্রোডিউসার হন তা হলে খুব ভাল হয়। এর একটা আলাদা অ্যাডভান্টেজ আছে। দে প্যাম্পারিং আ লট। এটা দেব বা পরমব্রতর প্রোডাকশনে কাজ করে বুঝেছি।
হ্যাঁ। ওয়ান্ডারফুল পার্সন। এক্সট্রিমলি প্রমিসিং। ও নিজেও প্রোডাকশনের অনেক কিছু দেখত।
খুব। সাইবার ক্রাইম নিয়ে ছবিটা। হ্যাকিং তো এখন অল ওভার ওয়ার্ল্ড হচ্ছে। কিন্তু এমন সাবজেক্ট বাংলা ছবিতে আগে দেখা যায়নি। ওয়ার্ল্ডওয়াইড কিন্তু হ্যাকিং নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে। এমন একটা কনটেন্ট অ্যাটেম্পট করার জন্য আমি প্রোডিউসার আর ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।
ক্রিসমাসে রিলিজ করবে বেঙ্গল টকিজের প্রোডাকশনে ‘সাঁঝবাতি’। লীনাদি, শৈবালদার ডিরেকশন। ওঁদের সঙ্গে ‘মাটি’ করেছিলাম আগে। খুব ভাল গল্প। এমন একটা চরিত্র যেটা কখনও করিনি আগে। ভীষণ ভাল লেখা লীনাদির। এখানেও দেবের সঙ্গে কাজ করলাম।
নেটফ্লিক্সের জন্য একটা কাজ করলাম। ‘বুলবুল’। ওটা হিন্দি। ডিসেম্বর থেকে দেখানো হবে। অনুষ্কা শর্মার প্রোডাকশন। বলছিলাম না, অভিনেতা যদি প্রযোজক হন, অ্যাডেড অ্যাডভান্টেজ থাকে। ওখানেও সেটা দেখেছিলাম। খুবই প্যাম্পার করেছিল। আর কমফোর্ট জোন থাকলে অফকোর্স কাজটাও ভাল হয়। এ ছাড়া পরমের প্রোডাকশনে ‘কালী সিজন টু’ শুরু করব। ভেরি ইন্টারেস্টিং স্টোরি লাইন। ওটা হিন্দি, বাংলা দু’টোতেই হবে।
টুইটার
(হেসে) নাইস অফ মাই হাজব্যান্ড, অর্জুন। আমার কাজের প্রেশার বলে ও আমার সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা চলে আসে। আবার আমি ফ্রি হলে আমি চলে যাই। এ ভাবেই চলছে। তবে ১৫ অগস্ট ‘শান্তিলাল…’ রিলিজ করার পর চার-পাঁচদিনের ছুটি নিয়েছি। আমি আর অর্জুন ফুকেত যাব।
থ্যাঙ্কস এগেন (হাসি)।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!