মস্তি ভরি হ্যায় কলেজ (college) কে উও দিন! আহা স্কুলে পড়ার সময় থেকে আমরা এমনটাই ভেবে থাকি যে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পা রাখলেই দারুণ মস্তি হবে। স্কুলে এত ডিসিপ্লিন, এত নিয়মের চাপ নিতে নিতে মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তখন নিজেই নিজেকে স্বান্তনা দিতে হয়। আহা, আর তো মাত্র কয়েকটা দিন। কোনওরকমে দুঃস্বপ্নের মতো সেইদিন কটা পার হলেই কলেজ শুরু হয়ে যাবে। তখন নো চাপ, নো টেনশান! কলেজে তো কোনও ডিসিপ্লিন থাকে না, কোনও বিধি নিষেধ থাকে না। কলেজ মানে তো কুছ কুছ হোতা হ্যায়! কলেজ মানে স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার! বস, একটু স্বপ্নের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসো এবার। স্বপ্নে (expectations) যা দেখেছ সেটা বাস্তবে (reality) হয় না। সিনেমায় যা দেখেছো সেটা থেকে এবার বাস্তবের জমিতে নেমে এসো! আমাদের জীবনে এরকম দিন নিশ্চয়ই এসেছে তাই না। অর্থাৎ স্বপ্নে বা কল্পনায় যে কলেজলাইফ দেখেছি, তার সঙ্গে বাস্তবের কলেজের কোনও মিল নেই! আরও একবার সেই দিনটার কথাই তুলে ধরছি আমরা। দেখে নেব স্বপ্ন বনাম বাস্তবের প্রেক্ষাপটে কেমন ছিল কলেজের প্রথম (first) দিনটা (day)।
১) স্বপ্নঃ ভেবেছিলাম কলেজে শাহরুখ খানের মতো স্যার আছে। যে কিনা মনের দুঃখে বেহালা বাজায়, সব ছেলেদের প্রেমিকা জুটিয়ে দেয়। আর হেব্বি রোম্যান্টিক মুখ করে জামার পিছনে সোয়েটার বেঁধে ঘুরে বেড়ায়!
বাস্তবঃ এরকম কোনও স্যার হয়না গো কলেজে। গিয়ে দেখলাম বেশিরভাগ স্যারেরই বয়স পঞ্চাশের উপরে। কলেজের টিএ, ডিএ, মায়নে হ্যানত্যান ইত্যাদি নিয়ে তারা খুব বিরক্ত থাকে সব সময়। বেহালা বাজানো তো দুরের কথা, তাদের মুখ দেখে মনে হয় সকালে চিরেতা, করলা আর নিম একসঙ্গে খেয়ে এসেছে।
২) স্বপ্ন
ভেবেছিলাম স্লিভলেস ব্লাউজ আর পাতলা শিফনের শাড়ির সঙ্গে ডিপ চোলি কাট ব্লাউজ পরে সুস্মিতা সেনের মতো ম্যাডাম আসবেন। যিনি সোয়্যাগ দেখাবেন দুর্দান্ত লেভেলে।রসায়ন নামক রসকষহীন বিষয়কে এমন ইন্টারেস্টিং করে তুলবেন যে মনে হবে জন্মেই কেন কেমিস্ট্রি পড়িনি গো!
বাস্তব
আর সোয়্যাগ!আমাদের কেমিস্ট্রি পড়াতে এলেন মিসেস খাস্তগির। তাঁকে দেখে মনে হল কলেজের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিই। একশ একটা ব্যাধি আছে ওর। তার পরেও যে আমাদের মতো অর্বাচীনদের উনি পড়াচ্ছেন তার জন্য আমাদের চির কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ সেটা দুশ বার বললেন।
৩) স্বপ্ন
কলেজে ঢুকলেই রাজ, রাহুল ইত্যাদি নামের হ্যান্ডসাম ছেলেরা চোখ ছানাবড়া করে দেওয়ার মতো বাইক চড়ে হুস করে মেয়েদের সামনে এসে দাঁড়ায়। চোখে সানগ্লাস পরে থাকে। তাদের দারুণ মাসলওয়ালা বডি হয়। সেই সানগ্লাস চোখে থেকে খুললেই চার চক্ষুর মিলন ঘটবে আর প্রেম হয়ে যাবে।
বাস্তব
ঘোড়ার ডিম! আমাদের সঙ্গে আসত সুজিত। এই মোটা চশমা পড়ত। আর টিং টিং করে সাইকেল বাজিয়ে আসত। আর মাসল? বাংলার চন্দন স্যার বলতেন, “ওরে ঝড় আসছে, সুজিতকে কেউ দড়ি দিয়ে বেঁধে দে, নইলে যে বেচারা খড়কে কাঠির মতো উড়ে যাবে!”
৪) স্বপ্ন
কলেজে শুধু লাভ, ইশক, মোহাব্বত এইসবের ক্লাস হয়। শুধু সাহিত্য পড়ানো হয় যেখানে রোমিও, জুলিয়েটের কথা বলা হয়।
বাস্তব
তোমার মুণ্ডু! কলেজে বাংলা, ইংরিজি, ইতিহাস, ভূগোল, সব পড়ানো হয় বুঝলে, স-অ-অ-ব!
৫) স্বপ্ন
কলেজ থেকে সুইতজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড এসব জায়গায় ক্যাম্প করাতে নিয়ে যায়!
বাস্তব
একবার এক দিনের জন্য শান্তিনিকেতন আর আর একবার দিঘা। দ্বিতীয়টায় যেতে দেয়নি বাবা, জলে ফাঁড়া আছে যে!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!